কি জানি কিসের ও লাগি প্রান করে হায় হায় ...
আজ নাকি অঙ্ক দিবস। এই পোষ্ট অঙ্ক দিবসের নামে উৎসর্গীকৃত ...
আমি বরাবর ই অঙ্কে কাচা। কাচা মানে যেই সেই কাচা না, কঠিন কাচা। জীবনের অর্ধেক চলে গেল, এখনো চেষ্টা করে পাকা হতে পারলামনা। যার হয়না নয় এ তার হয়না নব্বই এ, সে কথা মনে করে এখন আর পাকা হবার চেষ্টা করে লাভ নাই বুঝে পাকা হবার চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছি।
বরং এখন আমি অঙ্কে কাচা, এইটা নিয়ে সুক্ষ গর্ববোধ করা শুরু করেছি...
অঙ্ক নিয়ে আমার প্রথম ঘটনা ক্লাস ফাইভ এ। ফাইনাল পরীক্ষায় একটু’র জন্যে গর্বের সহিত পাশ করতে পারলাম না। পেয়েছিলাম ৩০। পেয়ে মনে মনে ভাবছিলাম আর ৩ নম্বর দিয়ে দিলে কি টিচার দের টাকা লাগত নাকি? সেই শুরু। আমি যথারীতি বাসায় এসে বলিনি।
খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে ঘুরছি। কোথাও কোন সমস্যা নাই।
আমার স্কুলের এক স্যার ছিল আমাদের পারিবারিক বন্ধু। এই ঘটনার ২দিন পর উনি কোন এক কাজে আমাদের বাসায় আসলেন। আমার বাবার সাথে এটা সেটা আলাপ করার পর হঠাৎ করে উনি বাবাকে বললেন "আপনি সাঝু কে কিছু বলেন নাই তো? এরকম হয়, পরের বার ভালো করে পাশ করে যাবে..." আমার বাবা তো অবাক, একবার আমার দিকে তাকায়, আরেকবার আমার স্যার এর দিকে।
বাবার তুমুল ভরসা ছিল যা আমি অন্তত ভালো ভাবে পাশ করে যাব ...
তারপরের ২ঘন্টার কথা আর বলতে চাচ্ছি না, যার যার কল্পনা শক্তি দিয়ে অনুমান করে নেন।
এই যে শুরু, এর শেষ এখনও হয় নি, ভার্সিটি তে অঙ্কের ৪টা কোর্স ছিল ৪ ক্রেডিট করে। বলাই বাহুল্য, পাশ করেছি তবে মনে হয় আমি এখনো সিউর না, স্যার রা দয়া করে পাশ করিয়ে দিয়েছিলেন কিনা। আমার অঙ্কের রেজাল্ট তো তাই বলে ...
এখন আমি আর এটা নিয়ে আপসেট না, এখন আমি এটা নিয়ে গর্বিত ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।