মাহবুব লীলেন
কোনো ভালো মানুষ চাকরি করে না। চাকরি করে ইতর-কমিন-কমজাতের বাচ্চারা। চাকরি করলে মানুষের কইলজা-গুর্দা-মন ছোট হতে হতে আত্মা পর্যন্ত ছোট হয়ে যায়। মাথা নিচু হতে হতে হাইট কমে যায় দুই থেকে তিন ফুট। তারপরে তারা হয় গোলাম।
গোলাম বলতে আলাদা কোনো জাত নেই। সারাজীবন চাকরি করার শর্ত মানলেই মানুষের জাত নষ্ট হয়ে সে গোলামজাত কিংবা বান্দিজাত হয়ে যায়। এবং তাদের ছেলেমেয়েদেরকে বলা হয় গোলামবাচ্চা কিংবা বান্দিবাচ্চা। এরা শিং মাছ খেয়ে কাঁটা আর শুঁড় পানিতে ভিজিয়ে রাখে পরের মাসে খাওয়ার জন্য। এরা একটা গামছাকেই গামছা-লুঙ্গি আর শাড়ি; তিনভাবে ইউজ করে।
এরা ভাড়া বাসায় থাকে- ভাড়া বাসায় মরে- ভাড়া কবরে পচে আর নরকে গিয়ে আল্লাকে আগুনের ভাড়া দেয়ার জন্য অন্যের পুঁজ পরিষ্কারের চাকরি খোঁজে
কথাগুলো বড়ো চাচার। লোকটা দু-তিন বছর পরপর এসে চোখ রাঙিয়ে- ঘুসি পাকিয়ে প্রথমে বাবার সাথে হাউকাউ করে। তারপর আমাদেরকে বোঝায়। তারপর আমার মাকে- একটা গোলামের সাথে থেকে থেকে তুমিও বান্দি হয়ে গেছো’ বলে আবারও দুতিন বছরের জন্য হাওয়া হয়ে যায়
চাকরিতে ঢুকে বংশের ইজ্জত মারার অপরাধে দাদা নাকি আমার বাপকে ত্যাজ্যপুত্র করার হুমকি দিয়েছিল। ঝাড়ি খেয়ে আমার বাপ গায়েব হয়ে যায়।
কয়েক বছর পরে গিয়ে দাদাকে কবরে নামিয়ে এসে ঝাড়া চব্বিশ বছর পরে বাড়ি যায় বড়োচাচার লাশ লাশ দেখতে। তার দু বছর পর আবার বাড়ি যায় তার পিঠেপিঠি ছোট ভাইর মরার খবর শুনে। তার আরো আট বছর পর গত সপ্তায় বাড়ি গিয়ে কবর দিয়ে এসছে তার নিজের মাকে...
এছাড়া বাকি সময় সে চাকরিই করেছে। এর মধ্যে কোনো ভাড়াকরা কবরে ঢুকে না পড়লে আমার বাবাকে আরো বারোবার নিজের বাড়িতে যেতে হবে তার বাকি বারোটা ভাইবোনকে কবরে নামানোর জন্য। অবশ্য তারা জীবিত তেরো ভাইবোনের মধ্যে বয়সের দিক থেকে মরার সবচে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছে আমারই বাপ...
কিন্তু চল্লিশ বছর চা বাগানে কুলিগিরির পর রিটায়ার করে তার হাত পা অবশ হয়ে যাচ্ছে বলে সাম্প্রতিককালে কোন বাগানে নাকি আবার গাছের গোড়ায় নাড়াচাড়া কিংবা টিলায় টিলায় হাঁটাহাটির ব্যবস্থা করে নিয়েছে সে।
তার মানে চা গাছের গোড়াতে মরেই সে টিলা থেকে গড়িয়ে পড়তে চায়
মরুকগে
চা গাছের গোড়ায় মরলে সে জৈবসার হবে। তার কোনো পরকাল নেই বলে নরকে গিয়ে আগুনের ভাড়া দিতে হবে না কাউকে
কিন্তু ঝামেলাটা আমার। চা বাগানে জন্মানো ছেলেরা চারটা হাত-পা নিয়ে কোনোমতে বড়ো হতে পারলেই বাগানে একটা চাকরি হয়ে যায়। অথচ যে পাবলিকের কারণে জন্মসূত্রে আমরা গোলামবাচ্চা সেই লোক জীবনেও বলেনি- চাকরি করো। আর মায়ের সোজা কথা- রাস্তায় ভিক্ষা করে খাও।
বাট নো চা বাগান
সেই সূত্রে গোলাম বাচ্চা হয়েও সম্ভাবনা ছিল নিজে গোলাম না হবার। কারণ আমার দাদার বংশের লোকজন দেশেই চুরি-চামারি-বাটপারি করে কিন্তু কেউ গোলামি করে না। আর নানার বংশের লোকজন দেশের বাইরে গিয়ে হাঁড়িপাতিল ধোয় কিন্তু দেশে চাকরি করে না কেউ
কিন্তু ঝামেলাটা করলেন দৈনিক সংবাদের সিলেট প্রতিনিধি আল আজাদ...
- ওঠো। রিকশায় ওঠো
মিরাবাজারের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমি কার সাথে যেন সাহিত্য ফাটাচ্ছিলাম। আমাকে রিকশা করে নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে চার তলা উপরে তুলে একটা টেবিলে বসিয়ে দিলেন- এই প্রেস রিলিজটা পঞ্চাশ শব্দের মধ্যে বানাও
বানিয়ে তার হাতে দিয়ে বললাম- যাইগা আজাদ ভাই
- কোনো যাওয়া-যাওয়ি নেই।
সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকো
- আর তো কোনো কাজ নেই
- না থাকলেও বসতে হবে। এটা চাকরি তো...?
- এ্যাঁ?
আমাকে না জানিয়ে আমাকে দিয়ে চাকরি করিয়ে ফেলছে লোকটা?
তারপর আরো কয়েকটা পত্রিকা ঘুরলাম। কোনোটা আজাদ ভাইয়ের সাথে কোনোটা একা। ইংরেজি ওয়ান আর সেভেন কিংবা বাংলা দন্তিয় ন আর মূর্ধাণ্য ণ লিখতে পারতাম না পরিষ্কার করে। আজাদ ভাই শিখিয়ে দিলো- উপরে আংটাওয়ালা ডান্ডার নিচে মাত্রা দিলে হয় ওয়ান আর আংটাওয়ালা ডান্ডার নিচে মাত্রা না থাকলে হয় সেভেন।
আর বাংলা নয় সংখ্যার মতো কিছু একটা লিখে উপরে মাত্রা দিলে হয় দন্তিয় ন আর মাত্রা না থাকলে হয় মূর্ধাণ্য ন
প্রেস রিলিজ- প্রুফ- নিউজ- ফিচার- সাহিত্য পাতা- প্রিন্টিং এবং পত্রিকার দুই নম্বরি শিখে টিখে একখান ভারী পদ নিয়ে আজাদ ভাইর ভাষায়- আমাদের পত্রিকা সুপান্থে বসার কিছুদিন পরেই হাসপাতালে গিয়ে শুয়ে পড়লাম জন্ডিস বাঁধিয়ে
আড়াই মাস পরে ফিরে গিয়ে বললাম- সামনের সপ্তা থেকে অফিস করব
- অফিস করবে কোথায়? তোমার তো চাকরি নেই
- এ্যাঁ?
আল আজাদের হাতেই আমার প্রথম চাকরি পাওয়া এবং প্রথমবার চাকরি যাওয়া। দুটোই তার মুখের উপর
আমি এবার দোতলা থেকে নিজেই নেমে এলাম নিচে। যেখান থেকে আজাদ ভাই কয় বছর আগে তুলে নিয়েছিল তার এক কিলোমিটার পেছনে; শিবগঞ্জের রাস্তায়
কিন্তু ততদিনে গোলামি ছাড়া আমার পেটের ভাত হজম হয় না আর। কথাকলির নাসু আপার সুপারিশে আমার চুল-দাড়ি ব্যাগ-বুট সাহিত্য-নাটক সাংবাদিকতা- সমাজতন্ত্র সবসহ এক উন্নয়নবণিক আমাকে কিনে নিয়ে ধন্য করল...
তারপর
রাত বাড়ে কমে ঘুম তারও চেয়ে কমে যায় নিজের নিয়ম
সকালে গোলাম হোসেন জো হুকুম জাহাঁপনা বান্দা হাজির তার দাসখত মেনে
আদেশ করুন শুধু মাথা বিক্রির আগেই আমি বন্ধক রেখেছি মগজ...
গোলামে গোলাম চরায়। গোলামে গোলাম খায়।
গোলামে ধরে আনে নতুন গোলাম। এবং সব গোলামই হতে চায় গোলামরাজা স্পার্টাকাস...
কত বছর? কে জানে কত বছর...
ইন্ডিয়ার পাহাড় থেকে ধরে আনা গরুগুলো পথে পথে শরীরে-পাছায় লোহা গলানো সিল- ছাপ্পড় নিয়ে কুরবানি বাজারে ঢুকে গলায় ফুলের মালা পরে বিশেষ তারিখে ছোরার অপেক্ষা করে প্রতি বছর। কারণ তারা জানে গলায় ছোরা না পড়লে তাদের চামড়া ছাড়ানো হবে না। আর চামড়া ছাড়ানো না হলে তাদের শরীর থেকে সিল উঠবে না কোনোদিন
কতটা সিল আর কতটা ছাপ্পড় জমা হলো আমার মগজে? কে জানে কবে সেই ছোরা আর চামড়া ছিলার তারিখ আমার...
ভদ্রলোক হবার অনেকগুলো কারখানা পেরিয়ে গেছেন বলে বড়ো মামার শব্দগুলো বেশ বার্নিশ মারা। তার বাবার আম্রিকা-বিলাতে গোলামি করে পাঠানো টাকায় তার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ হয়ে গেলে বাড়িতে আসার টিকিট কেটে বিমানে উঠার আগে মুরগি খেতে বসে হাড্ডি গলায় বিঁধে বিলাত থেকেই বিনা টিকিটে নানাজিকে নরকের রাস্তা ধরতে হয়।
তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে নানির নামে খালি চিঠি আসে- এইখানে তোমার স্বামী অতটাকা রেখে গেছেন সেটা কার নামে পাঠাব জানাও। ওইখানে তার একটা অ্যাকাউন্ট আছে সেটা কী হবে বলো। তার পেনশন কীভাবে কী করবে জানাও...
যথারীতি সবগুলো চিঠির উত্তরে যায় বড়ো মামার নাম এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মামাজি সেই টাকায় রাশিয়া-বুলগেরিয়া-কিউবায় গিয়ে কমিউনিস্ট হবার ট্রেনিং নিয়ে সব শেষ করে ফিরে এসে দেখে তার বাপ এত বেশি জমি কিনে গেছে যে তা দিয়ে ছোটখাট একটা সমাজন্ত্রই বানানো যায়
- যাদের শরীরে শুয়োরের রক্ত তারাই চাকরি করে। আর ব্যবসা করে কুত্তার বাচ্চারা...
সমাজতন্ত্রী কণ্ঠে এই বয়ান দিয়ে বড়ো মামা খেতে নেমে দিয়ে পাক্কা চাষা বনে গেলেন। আর তার ভাইবোন এবং ছেলেমেয়েরা বাড়ি থেকে সরতে সরতে দেশ থেকেও সরে গেলো অনেকে।
রাক্ষসের মতো বিশাল একটা বাড়িতে গরু ভেড়া হাঁস মুরগি লাঙ্গল ট্রাক্টর নিয়ে নিজের চাষি মায়ের সাথে তিনি পড়ে থাকলেন একা। কিন্তু তার মায়ের আবার শখ একমাস পৃথিবীর এই মাথায় থাকা তো আরেক মাস আরে বংশধরের কাছে গিয়ে পৃথিবীর ওই মাথায় থাকা
অবশেষে তার চাষিমা কবরে যাবার পরে বড়ো মামা পুরো বাড়িতে গুহার রাক্ষসের মতো একা। মাসে দুমাসে ফলের বোঝা নিয়ে এসে হাজির হন শহরে তার কোনো বোন কিংবা ভাইর কাছে। কিংবা ছেলেমেয়ের হলে। তার পিঠেপিঠি ছোটবোন আমার মা কয়েকদিন ধরে ঢাকায় আছেন বলে গত পরশু সেই বিয়ানিবাজার থেকে এক গাট্টি আম-কাঁঠাল আনারস- লেবু আমার বাসায় ফেলে দিয়ে এক কাপ চা খেয়ে আবার গেছেন তার চাষি বাড়িতে
- এগুলোতো সব জায়গায়ই পাওয়া যায়।
অত দূর থেকে টেনে আনার কী দরকার?
কথাটা শুনলে কমিউনিস্ট স্টাইলে তিনি একটু হাসেন- গাছের ফল আর কেনা ফল এক হলো? ফল আর দুধ কিনে খায় রাস্তার লোক কিংবা শরণার্থীরা
- বলেছে আপনাকে? কেনা ফল আর কেনা দুধ কি পানিতে জন্মায়?
- ওসব তোমরা বুঝবে না। চাকরিজীবী ঘরে জন্মে তোমাদের আত্মা এবং রুচি দুটোই নষ্ট হয়ে গেছে
কয়েকদিন পরে নাকি তিনি তার বড়ো মেয়েকে দেখতে আম্রিকা যাবেন। জিজ্ঞেস করলাম- সেখানেও কি কাঁঠাল নিয়ে যাবেন?
- লিপির হাতে লাগানো একটা গাছে এইবার প্রথম কাঁঠাল ধরেছে। দেখি...
আম্রিকা পর্যন্ত নিতে একেকটা কাঁঠালের জন্য কত খর্চা হবে সেটা বোধহয় বিমানমন্ত্রীও বলতে পারবে না। তবে ইউক্রেনে থাকা আমার এক ভেতো বাঙাল ভাইয়ের লাগেজ ভর্তি চালের জন্য এয়ারপোর্টে আমাকে দশ পনেরো হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স গুনতে হয়েছে তিন চারবার...
কী কী সব যেন আমাকে আজকের মধ্যে করতে হবে।
নাহলে মহাভারত নষ্ট হয়ে রসময়গুপ্তের উপন্যাস হয়ে যাবে। কোত্থেকে কোত্থেকে যেন সাদা-কালো-বাদামি ছোটবড়ো মাঝারি গোলাম বাচ্চারা আসবে এবং তাদের সাথে আমাকে কয়েক কিস্তিতে কয়েক ঘণ্টা গোলামালাপ করতে হবে...
সে জন্য অন্য দিনের চেয়ে কমপক্ষে দুঘণ্টা আগে আজ আমাকে হুজরাতে গিয়ে- বান্দা হাজির বলতে হবে। কিন্তু আমি গোলাম বাচ্চার ঘুমটা আবার নবাবি খান্দানের। সেজন্য প্রতিদিন ফোনে একটা ডাকিনি আমাকে কয়েক কিস্তিতে ডেকে দেয় বলে দেয়া টাইম অনুযায়ী
আজ দুবার ডাকতেই লাফ দিয়ে উঠলাম। বাথরুমে যাবার সময় চোখ পড়ল বারান্দার বাইরে- এ কী? এতো আমার শৈশবের বৃষ্টি...
বৃষ্টির ফোঁটার ভেতরেই দেখলাম চুলহীন মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে হাসছেন বড়োচাচা- গোলামের বাচ্চা গোলাম...
চোখ কচলে আবার তাকাতেই দেখি পান খাওয়া দাঁত বের করে ভুঁড়ি দুলিয়ে হাসছে বড়োমামা- গোলামের বাচ্চা গোলাম...
গুষ্টি মারি অফিসের
আমি বৃষ্টি দেখতে থাকলাম গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে।
বাসার নিচেই ছোট একটা চৌরাস্তা। পুরো রাস্তা জুড়ে রেইনকোট- ছাতা- পলিথিনমুড়ি হয়ে প্যান্ট গুটিয়ে- শাড়ি সামলিয়ে- লুঙ্গি কাছা মেরে শুয়োরের পালের মতো মাথা নিচু করে গোলাম বাচ্চারা ছোটাছুটি করছে এদিক থেকে সেদিকে...
গেট দিয়ে আমার ছোটবোনকেও বের হয়ে যেতে দেখলাম। সাত ভাইবোনের মধ্যে গোলাম বাচ্চা আমরা এই দুইজন। বাসার সামনে ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে রিকশাশূন্য রাস্তা দেখে সে সোজা হাঁটা ধরল পানি ভাঙা রাস্তায় মাথা নিচু করে। মনে মনে বললাম- গোলামের বাচ্চা গোলাম।
যা। নরকের আগুনের ভাড়া কামাই কর গিয়ে
এক মগ চা বানিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বারান্দার গ্রিলে ঠ্যাং তুলে বিড়িতে একটা টান দিয়ে ডাক দিলাম- ঠাকুরের বাচ্চা ঠাকুর। লবণ পাইকারের নাতি এদিকে আয়...
মুখ কাঁচুমাচু করে এসে দাঁড়াল রবীন্দ্রনাথ। বললাম- বুড়ার বাচ্চা বুড়া দেখিস না আমার পাহাড়ি বৃষ্টি এসেছে আজ?
- জ্বি হুজুর দেখি তো
- তাহলে যা এই বৃষ্টিকে অক্ষয় কর...
জোব্বা কাছা মেরে সুড়–ৎ করে আমার পিসিতে ঢুকে গেলো রবীন্দ্রনাথ। একটু পরেই শুনলাম- আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদর দিনে...
রবীন্দ্রনাথের সাথে এসে গলা মিলাল লোপামুদ্রা কিংবা আরো অন্য কেউ।
আর আমার ঠ্যাঙে- মুখে চায়ের মগে- বিড়ির আগুনে উড়ে এসে পড়তে লাগল একটার পর একটা বৃষ্টির জল...
২০০৮.০৭.০১ মঙ্গলবার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।