আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে হতে চায় ডাক্তার...

এবারের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ২০১২ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।

মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ৪ অক্টোবর হলে হাতে সময় আছে মাত্র ২৫ দিন। এক মাসেরও কম সময়ে নতুন করে কীই-বা পড়া যাবে। আমি বলব, এ সময় পড়ার চেয়ে সুস্থ থাকা বেশি জরুরি। যারা আত্মবিশ্বাসী হবে, তারাই ভালো করবে।

ভর্তি প্রস্তুতির সময় নানা দুশ্চিন্তা ও ভয় এসে মনকে অস্থির করে তুলতে পারে। বিশেষ করে, যারা অল্পের জন্য জিপিএ-৫ পাওনি, তাদের তো মনে হতে থাকে, ‘আমি ভর্তি হতে পারব তো?’ তাদের জন্য বলছি, মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকা তৈরি হয় মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে। এতে ১০০ নম্বর নেওয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জিপিএ মিলে (মাধ্যমিকের জিপিএর সঙ্গে ৮ এবং উচ্চমাধ্যমিকের জিপিএর সঙ্গে ১২ গুণ করে)। আর বাকি ১০০ নম্বর থাকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য। ধরা যাক, তুমি মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছ, কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে পেয়েছ ৪.৮০।

তাহলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলে তোমার স্কোর হচ্ছে ৯৭.৬০। আর তোমার যে বন্ধুটি দুটোতেই জিপিএ-৫ পেয়েছে, তার স্কোর হচ্ছে ১০০। বুঝতেই পারছ, স্কোরের ব্যবধান মাত্র ২.৪০। এই ব্যবধান ভর্তি পরীক্ষায় অনায়াসে উতরানো সম্ভব, যদি তুমি এই শেষ সময়টুকু কাজে লাগাতে পারো। এই শেষ সময়ে নতুন করে কিছু পড়তে যেয়ো না।

জানা বিষয়গুলোই বারবার পড়ো, ভালোভাবে মনে রাখার চেষ্টা করো। সামনের কয়েক সপ্তাহে জীববিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন ও ইংরেজি—কোন দিন কোন কোন বিষয় পড়বে, তার একটা ছক করে নাও। সাধারণ জ্ঞান নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত রেডিও-টেলিভিশনের খবর শোনো আর পত্রিকার পাতায় নজর দাও। এটা খুবই কাজে দেয়।


আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এত দিন যা পড়েছ, সেটাই তোমার প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট। আমি ভর্তি প্রস্তুতির সময় বিগত বছরগুলোর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বারবার সমাধান করেছি। অনেক সময় নিজে নিজেই মডেল টেস্ট তৈরি করে পরীক্ষা দিয়েছি। এটা আমার অনেক কাজে লেগেছে। প্রথমত, পরীক্ষাভীতি দূর হয়েছে, আর এক ঘণ্টায় ১০০ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়জ্ঞান তৈরি হয়েছে।

তোমরাও বাসায় বসে এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারো। তোমাদের জন্য শুভকামনা।
(অনুলিখিত)
l আবেদনের শেষ সময় ১৮ সেপ্টেম্বর।
l ভর্তি পরীক্ষা ৪ অক্টোবর, সারা দেশে একই সময়ে।
l এমসিকিউ-পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের জন্য ১০০টি প্রশ্ন থাকবে।

প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর।
l সরকারি ও বেসরকারি সব মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের জন্য একই প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে এই ভর্তি পরীক্ষা।  
l আবেদনের যোগ্যতা: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা মিলিয়ে ন্যূনতম জিপিএ-৮। বিস্তারিত তথ্য: dghs.gov.bd/bn3।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।