উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
চূর্ণ হই
আমি চূর্ণ হই, ফিরে আসেনা লাটাই ঘুড়ি
দহনের দেহ চেটে লাল জিভেতে সবুজ দাগ
উঠে আসে। রোদ ছায়া সার্কাস তাবুতে খুঁজে নেয়
রাধাচোখি বালুঝড়।
বাঘের খাচায় বাহু খুলে রেখে অন্ধ শিকারী
হৃপিন্ড ছুড়ে দিতে চায় শাদা বাঘিনীর মুখে।
বিষাদের বাদ্যযন্ত্র
থেমে গেলে, ফের শুরু হয় নটিনীর আর্তনাদ।
পর্দা উঠলে ভাগাড়ে জমে ওঠে নৈ:শব্দ সাঁতার
কুমিরের লেজে গেঁথে দিই লাঙলের নয়া ফলা
কৃষানীরা বিলাপের
সুরে গেয়ে ওঠে গান।
ধানের ছড়াতে বাঘিনীর
মুখের ঘ্রাণ আর রক্তের দাগ মিশে থাকে। আমি
দীর্ণতার জানালায়
চোখ রেখে দেখি তাবুর ভেতর বাঘিনীর মাথা
একটি রুমালে ঢেকে দিচ্ছে
যাদুকর। আমি চূর্ণ হই, উড়ে যায় ঘুড়ি, পাখি
বাঘিনীর খাচার ভেতরে।
রান্না
সমর্পণে দেহ সন্ধার ঘাটে স্বেচ্ছায় যার চেতনার গভীরে নামি
তাঁর মুগ্ধ বালুকণা আঙুলে ছুঁয়ে দেখি
উন্মাদনার খোলে ছড়িয়ে পড়া সাপলুড়ো – খাঁচা ভরতি
সুদীর্ঘ পাখিরা ওড়ে – স্নেহশীল
শুকনা পাতায় অপেক্ষার চিহ্ন ফুটে থাকে
যারা চলে গেছে গোধূলী বেলার রঙ চোখে
তাদের বিষাদে ভরা হৃপিন্ড আমি কুড়িয়ে রাখি টেবিলের কোণে
মোমালোয় সেগুণ কাঠের গন্ধ চিরে
ফুড়ে ওঠে যাদুকরেরর কালো পাগড়ী – বালিকাদের বাঁকানোদেহভঙ্গি
নৌকার পাটাতনে প্রসাধনী মাখা মুখের সমস্ত স্লেট ভেঙে যায়
জলের গভীরে আত্মসমর্পণ করি
পুথিবীব্যাপি সমুদ্রঘ্রাণের গারদে অন্ধ দম্পতিরা রান্না শুরু করে
আমি বুদ্ধিবৃত্তির চাদোর সরিয়ে তাদের রান্না দেখি
দেহের হেসেলে ভরে ওঠে পাখিতে, পশুতে
নিশানা
তোমার দেহভঙ্গিতে উদ্ভাসিত শীতলপাটির ডোরা – তার সূক্ষ্ণ সূচিতে
ফুটে উঠতে দেখি অসংখ্য মুখের আর্তি; কুন্ডলীপাকানো কালোনাগ।
লুপ্তবনাজ্ঞ্চলের মাটিতে গড়ে উঠেছে রাবার বাগান।
পাখিহীনে দহনের
কাঁটাঝোপে
আমি নতুন স্বপ্নের ব্রিজ দেখছি।
তোমার ডোরা দাগের দূতাবাসে সুরের দেওয়ালে হর্ষ-লিপির মার্জিনে
আমি নির্মাণ করছি মৃত্তিকা নিবাস। শ্রমিকের বাহুতে লেপটানো
সূর্যের তাপে
পুড়ে যাওয়া সবুজ গ্রামের ছবি; তার অভ্যন্তরে কলপাড় – সুপারিবাগানের
দুপুর – পুকুরঘাট – নীলকুঠির ভেঙে পড়া দেওয়াল – এইসব
তোমার ইটের লালধুলোতে দেখছি কৃষকের মুখের ন্যায়
ভেসে উঠছে বাথরুমের পুরনো চাঁদে।
সেই সঙ্গে ভগ্নির দেহসৌষ্ঠবেও তোমার ভঙ্গি তোমার কোমরজড়ানো নদী
বটবৃক্ষের ঘনকালোচুল – ঘরছাড়া হয়ে মিশে যাচ্ছে
খোলা আকাশের ছাদে।
আমি স্বাধীনতার পক্ষে গচ্ছিত সমস্ত মোহরানাগুলা ছুড়ে দিচ্ছি কোমরসমান
পানিতে
পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দে – মোহরানা আড়াল হয়ে গেলে
আমি তোমার চোখের মধ্যে সূর্য উঠতে দেখি
মায়ের দেহভঙ্গিতে তুমিই ফের ভূমির গন্ধ ঢালো – ডোরা পাড়ে ওড়ে
লাল নিশানা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।