আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি! আমার খুব ছোট হতে ইচ্ছে করে। একদম ছোট। আমার বিকাশটা আমি ঠিক অন্যভাবে দেখতে চাই। জীবনে যেসব জায়গায় ভুল করেছি সে সব জায়গায় আমি জাদুকাটির পরশ বুলিয়ে দিতে চাই। একজন সঠিক মানুষ হওয়ার জন্য যে সব গুনাবলী দরকার।
সব আত্মস্থ করতে চাই। যে মানুষটি হবে একদম পরিপূর্ণ মানুষ। মাঝে মাঝে আমাকে হত্যোদ্যম মনে হয়। যখন দেখি প্রতিটি কাজে হোঁচট খাচ্ছি। যখন দেখি আপন পর হয়ে যাচ্ছে।
যখন দেখি আত্মীয়রা দূরে চলে যাচ্ছে। যখন দেখি অন্যায় আমার চারিধারে ঘুরছে। তখন নিজেকে উন্মাদের মত মনে হয়। মনে হয় এ পৃথিবীটা আমার জন্য নয়। মনে হয় এ পৃথিবী আমার জন্য এক বিভীষিকাময় অধ্যায়।
আমি ছোটকালে ঠিক অন্যরকম মানুষ ছিলাম। ঠিক এখনকার বিপরীত মেরুর। একদম চঞ্চল হাসিখুশী। মাঝে মাঝে মারকুটে। আমার জ্বালায় আমার মা হয়ে যেত অতিষ্ঠ।
প্রতিদিন হাজার হাজার নালিশের সুরাহা করতে হতো তাকে। তখন জীবনের মানে খেলাধূলা। জীবন মানে মার্বেল সঞ্চয়। জীবন মানে পুকুরে দিনভর সাঁতার। জীবন মানে হেমন্তের ধানকাটা জমিতে ফুটবল।
জীবন মানে ফুটবল নিয়ে মারামারি। জীবন মানে শুধুই জেতা। হারতে জানতাম না তখন। আবার ক্লাসেও সবার আগে এগিয়ে থাকতাম।
এখন জীবন মানে ঘোর অন্ধকার।
জীবন মানে যুদ্ধ। প্রতি পদে পদে বাধা বিগ্রহ। জীবন মানে কষ্ট পাওয়া। জীবন মানে শুধুমাত্র বাঁচার জন্য লড়া। আমি হেরে যেতে যেতে এখন পাহাড়ের শেষ প্রান্তে উপনীত।
এরপর আর কোন ভূপৃষ্ঠ নেই। এরপর আর কোন আশ্রয় নেই। আমি ছিলাম এক আশাবাদী মানুষ। দূরাশার দুরন্ত ঘোড়া আমার পিছে ছুটছে। যে ঘোড়া মিশমিশে কালো।
চোখ বড় বড় গোলগোল। কাধে বড় বড় লোম। সতেজ শরীর। নাক দিয়ে শোশো করে বাতাস বের হচ্ছে। ঠিক রেসের ঘোড়া।
আমি দাঁড়িয়ে আছি পৃথিবীর শেষ প্রান্তে। এরপর আর কোন আলো নেই। এরপর আর কোন সূর্যোদয় নেই। এরপর আর কোন সূর্যাস্ত নেই। মহাপ্রলয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শুধু করজোড়ে প্রার্থনা করছি।
পৃথিবীতে এমন কোন অলৌকিক শক্তি আছে যা আমাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।