এক কথায় চমৎকার গেল! ফোন, এস এম এস কিংবা সরাসরি শুভকামনায় ভরে ছিল সারাটা দিন। শুরু হয়েছে ঠিক ২৪ তারিখ হওয়ার ৩৫ মিনিট আগ থেকে। এখানে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দিলেন সাজি'বু। অনেক অনেক ধন্যবাদ তাঁকে। তাঁর সাথে আরো যারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেনঃ
বিবেক সত্যি,
চাঁদ,
চিকনমিয়া,
কণা,
চাচামিঞা,
আমি ও আমরা,
বিবর্তনবাদী,
আন্ধার রাত,
চিকন মিয়া,
ইউনুস খান,
তামিম ইরফান,
ফারহান দাউদ,
রাশু,
চিটি,
নুরুন্নবী হাছিব,
রাতমজুর,
জনারন্যে নিসংগ পথিক,
শফিউল আলম ইমন,
নিশীত রাতের বাদলধারা,
মিলটন,
আবু সালেহ,
লিপিকার,
আরিফ জেবতিক,
একরামুল হক শামীম,
আরুনাভ,
মেহরাব শাহরিয়ার,
উত্তরাধিকার,
অদ্ভুত আঁধার এক,
কুম্ভকর্ণ,
চাঙ্কু,
তারার হাসি,
বুলবুল আহমেদ পান্না,
~টক্স~,
শেখ রহিম,
দুরন্ত, এবং
উত্তরাধিকার দা
.................................(কারো নাম বাদ পড়ে গেলে দুঃখিত)
এদের সবার কাছেই অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
এরপর রাত বারোটা বাজার ২ মিনিটের মাথায় শুরু হল ফোন রিসিভ করার পালা। একটা কলে কথা বলতে ২/৩ টা কল ওয়েটিং থাকছিল। একই সাথে ব্লগিং আর ফোনিং দুটোই চলল রাত সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত। ঘুম কাতুরে আমি(আমার কলিগরা খুব ভালো জানে), অবশেষে গেলাম ঘুমিয়ে। ভীষণ সৌভাগ্য আমার।
জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি ঘোষিত ছিল এদিন। আমার নয়" শ্রী কৃষ্ণের"। হা...হা...। কি কাকতালীয়, কি কাকতালীয়!!
ছুটির প্রশ্রয়ে সেই ঘুম ভেঙ্গেছে সকাল দশটায়!!
খালার বাসায় আমার জন্মদিনের কেক কাটা হবে বলে সেই রাত থেকেই তাড়া দিচ্ছিল ছোট খালা। সাথে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া।
সুতরাং, গেলাম সেখানে। গিয়ে দেখি এলাহী কান্ড!! অনেক আয়োজন। যাবতীয় পর্ব সম্পন্ন করে ফিরে এলাম ডেরায়। পরবর্তী মিশন আরো জটিল। বিকালে একজনের সাথে দেখা করা শেষ করেই যেতে হল বন্ধুদের গেট-টুগেদার এ।
সাথে নিয়ে গেলাম কুপারস্ এর কেক। ভীষণ মজা হল। অনেক দিন পরে ক্লাসমেটদের সাথে দেখা সাক্ষাতে পুরো সময়টা কোন দিক দিয়ে মিলিয়ে গেল টেরই পেলাম না। অবশেষে ডেরায় ফিরলাম রাত সাড়ে দশটায়।
মাঝখানে মা ও বাবা ফোন করেছিলেন।
ছেলের জন্মদিনে কাছে থাকতে পারলেন না বলে আফসোস। কি আর করা!! এমনটাই হয়ে আসছে বেশিরভাগ সময় গত ১৫ বছর ধরে! গত ১৫ বছর ধরে ঘর ছাড়া হয়ে বাইরে বাইরে ঘুরছি। ছুটি পেলে ঘরে যাই। মেহমানের মত।
আজ মায়ের কথা মনে পড়ছিল খুব।
মাঝে মাঝে মায়ের সাথে ফোনে কথা হওয়ার সময় মা কেঁদে দিয়ে বলে-"খাওয়া দাওয়া করছিস বাবা"? আমি বলি - " হু , তোমারা?" মা বলে- " দেশি মুরগী রান্না করছি, কিন্তু মুখে দিতে ইচ্ছা করে না বাপধন। খালি তোর মুখ মনে পড়ে" । এপার থেকে আমি বিরাট হাসি দিয়ে উড়িয়ে দেই এসব, আর মনে মনে কেঁদে ফেলি। মাকে খুব দেখতে মন চেয়েছিল আজ। কেমন হয়েছে মুখটা তাঁর এখন?
বাবা'র পিঠে মাইনর একটা অপারেশন করতে হয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগে।
খুব ইচ্ছে ছিল যেয়ে দেখে আসি। হল না। আজ বাবা ফোন করে বললেন, " বাবা, কেমন আছো"? বললাম, "ভালো"। বাবা বললেন, " শুভ জন্মদিন বাবা। আমি তোমার মাকে ঢাকায় যেতে বললাম কতবার।
গেল না। খাওয়া দাওয়া করছ বাবা"? আমি কেন যেন কিছু বলতে পারলাম না। গলাটা কেমন বাষ্পরুদ্ধ হয়ে আসছিল। শুধু বললাম-" বাবা, আপনার শরীর কেমন"?
সবকিছু নিয়ে ভালোই চলে গেল দিনটা, কাটায় কাটায় ঊনত্রিশটা বছর সম্পন্ন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।