আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোট গল্প ..... এ্যানিমেটেড মুভি ....

সখা, নয়নে শুধু জানাবে প্রেম, নীরবে দিবে প্রাণ, রচিয়া ললিতমধুর বাণী আড়ালে গাবে গান। গোপনে তুলিয়া কুসুম গাঁথিয়া রেখে যাবে মালাগাছি। এই ব্লগের©শান্তির দেবদূত।

১. সকাল থেকেই আকাশটা কেমন মেঘলা মেঘলা, দুপর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলো তবুও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এমন গুমোট পরিবেশ লীয়েমের একদমই ভালো লাগে না, কেমন বিষণ্ণ বিষণ্ণ লাগে।

যদিও প্রকৃতি এখন সম্পূর্নরূপে মানুষের নিয়ন্ত্রণে কিন্তু পৃথিবীর সবদেশের বিজ্ঞান কাউন্সিল একমত হয়েছে যে কিছু কিছু ব্যাপারে তারা প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রন করবে না। লীয়েমের দূর্ভাগ্য প্রাকৃতিক বৃষ্টি এই একমতের আউতায় পড়েছে। বৃষ্টি যে লীয়েমের ভালো লাগে না তা কিন্তু নয় বরং ঝুম বৃষ্টি, একেবার যাকে বলে আকাশ পাতাল এক করা বৃষ্টি সে ভালোই উপভোগ করে। কিন্তু এমন মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি হবে হবে ভাব কিন্তু হচ্ছে না, চারদিকে হালকা একটা আধাঁর, যেন কালো কোন সানগ্লাসের ভিতর দিয়ে তাকিয়ে আছে, এমন পরিবেশ তার মনের উপরেও একাটা বিষণ্ণাতার চাদর বিছিয়ে দেয়। বিষণ্ণ মন নিয়ে লীয়েম ধোঁয়া উঠা সিনথেটিক কফির মগটা হাতে নিয়ে অনেক্ষণ ধরে ব্যালকনিতে বসে আছে , তার দৃষ্টি একটু দুরে একটা বিল্ডিং এ স্হির হয়ে আছে।

দুই বিল্ডিং এর মাঝখানে অনেক গুলো মাঝারি উচ্চতার গাছ যার প্রায় কোনটার নামই সে জানে না। সে ঠাঁয় তাকিয়ে আছে ঐ বিল্ডিংটার ছাদের উপর, সেখানে একটা মেয়ে আর একটা ছেলে অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে। ছাদে লিফ্ট ঘরের নিচে বসে মেয়েটা হাত নেড়ে নেড়ে খুব উৎসাহ নিয়ে একনাগাড়ে কি সব বলে যাচ্ছে আর ছেলেটা শুধু মাথা নাড়ছে একটু একটু। তারা কি কথা বলছে তা এত দুর থেকে শুনা না গেলেও লীয়েম বুঝতে পারছে তারা অপেক্ষা করছে ঝুম বৃষ্টির জন্য । লীয়েম নিজের অজান্তেই মনে মনে বলে উঠলো, "ঈশ্বর, প্লিজ একটু বৃষ্টি নামাও, প্লিজ ! " যেন ঐ প্রেমিক জুটি বৃষ্টিতে ভিজলেই তার সব হতাশা, বিষণ্ণতা কেটে যাবে ।

ঈশ্বরের অস্হিত্য জানান দেওয়ার জন্যই কি না জানি, হঠাৎ করে ঝিরঝির বৃষ্টি শুরু হলো, লীয়েম হাতের মগটা আরও জোরে চেপে ধরে এক দৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে, মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে টেনে খোলা ছাদের উপর নিয়ে আসলো। দুইজনেই মুখ উপর দিকে করে হা করা মুখের ভিতর ফোঁটা ফোঁটা পানি ঢুকাতে ব্যাস্ত , অনেক দুর থেকে যে একজন তাদের দিকে তাকিয়ে আছে আর একটু একটু করে তার বিষণ্ণ মন অদ্ভুত এক শিহরণে ভরে যাচ্ছে সেই দিকে তাদের কোন খেয়াল নেই। হঠাৎ করে তার কমিউনিকেশন মডিউল বিপ বিপ করে উঠলে, মিস্ মাইশার নাম দেখে খানিকটা বিরক্তি মাখানো ভয় নিয়েই সে ইয়েস বাটনে ক্লিক করে। এই মেয়েটাকে কেন যেন অফিসের সবাই ভীষন সমীহ করে চলে। তার কারন যে, সে এই কোম্পানির এম.ডি. তা কিন্তু নয়।

এই মেয়েটার মধ্যে অন্য কিছু একটা আছে যা লীয়েম এখনও ধরতে পারেনি। তবে রূপ ও গুনের এমন অপূর্ব সমাহার তার চোখে আর পড়েনি এই জীবনে। সেই কারনেই এত অল্প বয়সে এই মেয়ে দেশের শীর্ষস্হানিয় ফিল্ম প্রোডাকশন কম্পানির এম.ডি. তা কখনও দৃষ্টিকটু মনে হয়নি। তার খুব শখ মিস. মাইশার মস্তিষ্কটা ল্যাবে নিয়ে একটু কেটেকুটে দেখা। ভাগ্যিস মানুষের চিন্তা স্কেন করার কোন যন্ত্র এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি, তাহলে বহুদিন আগেই তার এই চাকরি ছাড়তে হতো।

ব্যালকনিতে মিস্ মাইশার তৃীমাত্রিক অবয়ব ফুটে উঠলো ধীরে ধীরে, লীয়েম মনে মনে ভাবে ইস, কি নিঁখুত দেহ গঠন ! একদম পুরানো দিনের সেইসব প্রতিমার মতন, যেন ঈশ্বর নিজ হাতে তাকে বানিয়েছেন। ওফ! কি সব ভাবছে সে আজ ! ওর কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো ? লীয়েম একটু মাথা ঝাকিয়ে, ছোট করে কাশি দিয়ে সে বললো, "হ্যালো, ম্যাডাম" মাইশা বললো, "হ্যালো, আপনি কি ব্যস্ত ?" না, একদমই না, কিন্তু আপনি ছুটির দিনে অফিসে কেন ? লীয়েমের এই প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে মাইশা বললো, "আপনি কি কিছুক্ষণের জন্য অফিসে আসতে পারবেন ?" লীয়েম মনে মনে একটা দুই অক্ষরের গালি দিয়ে বললো, "আমি এক্ষণি আসছি " ওকে, দেখা হচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে, বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলো মাইশা লীয়েম হঠাৎ করে অনুভব করতে লাগলো, তার বিষণ্ণতা কেটে সেখানে একটু একটু করে বিরক্তি ভর করছে। সে এই এ্যানিমেশন ফিল্ম কোম্পানির চিফ নিউরো সাইন্টিস্ট, সারা সপ্তাহ পাগলের মত ল্যাবে কাজ করে, সপ্তাহের এই একটা দিন নিজের জন্য রাখে তাও আজকে ডেকে পাঠিয়েছে। ২. মিস্ মাইশা এইচ.ডি.সি.ভি.ডি. প্লেয়ারে একটা এ্যানিমেটেড মুভি চালিয়ে লীয়েমের পাশে এসে বসলো। আজকাল এ্যানিমেশন গুলো এতই জীবন্ত যে নন-এ্যানিমেটেড মুভির সাথে এর কোন পার্থক্য নেই।

নন-এ্যানিমেটেড মুভি বানানো অনেক অনেক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে, এ্যানিমেটেড মুভির জোয়ারে। লীয়েম এখন পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারছে না কি কারনে তাকে ডেকে আনা হয়েছে। শুধু একসাথে মুভি দেখার জন্য যে নয় তা সে শতভাগ নিশ্চিত। সে গলাটা একটু ঝেড়ে ছোট করে একটু কাশি দিয়ে বললো, "ম্যাডাম, আমার কি কাজের কথা শুরু করতে পারি ?" মাইশা একটু হেসে বললো, আপনি কি জানেন কাল রাত থেকে কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত প্রডাকশন বন্ধ ছিলো? মুভিটা একটু খেয়াল করে দেখতে থাকুন, এটাই রিলিজ হওয়া লাষ্ট মুভি । আমি ক্লাইন্টদের কম্প্লেইন পেয়ে সাথে সাথে প্রডাকশন বন্ধ করে দিয়েছি।

কাল রাত থেকে আমাদের এক্সপার্টরা অনেক চেষ্টা করে ডেমেইজ মস্তিষ্কটা রিপ্লেস করেছে। এখন আবার সম্পূর্ন সিসটেম ঠিকমত চলছে। লীয়েম মনযোগ দিয়ে মুভিটা দেখতে থাকে এক ফাঁকে জিজ্ঞেস করে , "এত বড় একটা দূর্ঘটনা, আর আমাকে কেন জানানো হয়নি ? আর এখন সব কিছু ঠিকঠাক করে কেন আমাকে ডেকে এনেছেন ?" আপনি সারা সপ্তাহ যে পরিমান সময় দেন তার পর আবার আপনাকে ঐ রাতের বেলা ডেকে পাঠানোটা উচিৎ মনে করিনি, আর আপনিতো আর টেকনিশিয়ান নন, আপনি সাইন্টিষ্ট। আর আপনাকে এখন ডেকে পাঠিয়েছি কেন এই সমস্যাটা হলো তা খুজে বের করার জন্য। চলতে চলতে হঠাৎ এক সময় মুভিটার সবকিছু সাদা কালো হয়ে গেল, কোন রঙ নেই মুভির কোথাও, আর সবকিছু ঠিক মতই চলছে, এইখানে এসে মিস্ মাইশা থামিয়ে বললেন, "এই হচ্ছে সমস্যা, কাল রাতে হঠাৎ করে সবকটা কালার কোন্ট্রোল মস্তিস্কগুলো বিকল হয়ে যায়।

" আমার মনে হচ্ছে এইটা দূর্ঘটনা না, বরং স্যাবোটাজ। লীয়েমের চোখ কুচঁকে গেলো খানিকটা ! সে বললো, "এইটা ইম্পোসিবল, হতেই পারে না "। আমাদের সম্পূর্ন সিস্টেমটাই সয়ংসম্পূর্ন। প্রথমে বেশকিছু ক্লোন করা মানুষের শুধু মস্তিষ্ক একসাথে লিংক করা যেটাকে আমরা "থিংক ট্যাংক" বলি। এইগুলোর কাজ হলো শুধু নতুন নতুন স্ক্রিপ্ট লিখে পরবর্তী লেভেলে তা পাঠিয়ে দেওয়া।

এর পরের লেভেলে কয়েক হাজার মস্তিষ্ক একযোগে কাজ করে শুধু মাত্র এই স্ক্রিপ্টাকে এ্যানিমেশন করার জন্য। এই লেভেলের মস্তিষ্কগুলোর "ওয়ার্নিকাশ" অংশটাকে বিশেষভাবে উত্তেজিত করা হয় শুধু মাত্র এই কাজের জন্য। তার পরের লেভেলেও কয়েক শ'মস্তিষ্ক একসাথে লিংক করা শুধু মাত্র রঙের কাজ করার জন্য। তাহলে বুঝা যাচ্ছে সমস্যা হয়েছে এই লেভেলেই। এর পরের লেভেলের কাজ শব্দ সংযোগ করা।

তারপর তা সয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ক্লাইন্টের রিকোয়েষ্ট অনুসারে তাদের কাছে এইচ.পি.ও. ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মুটামুটি এই চারটি মূল অংশ নিয়ে আমাদের সম্পুর্ন সিস্টেম। মাঝখানে আরও কিছু ছোট ছোট কাজ আছে সেগুলো এত গুরুত্বপূর্ন কিছু না। এখন যা ঘটেছে তা আমার মতে হওয়ার সম্ভাবনা শত কোটি ভাগের এক ভাগেরও কম। যে অংশটা রঙের কাজ করে, সেই অংশের মস্তিষ্কগুলোর "মোটর কর্টেক্স" অঞ্চল বিশেষভাবে ক্লোন করা।

এখন যদি কোন একটা মস্তিষ্কের ঐ অংশ অকেজ হয়ে যায় তাহলে তা সয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা হয়ে যাবে এবং বাকি মস্তিষ্কগুলো এর কাজ ভাগ করে নিয়ে নিবে। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে, দুই একবার। তবে একসাথে নেটওয়ার্কের সব মস্তিষ্কগুলোর অকেজ না হলে এমন সাদা কালো মুভি রেকর্ডের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। মিস্ মাইশা বললেন, "এক্সপার্টরা বলেছে, মাত্র দুইটা মস্তিস্ক বিকল হয়েছিলো আর এই বিকল মস্তিষ্ক দুইটা নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে কাজ চালিয়ে গেছে ! এখন আপনার কি মনে হয় ? এইটা কি আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বি কোন কোম্পানির ষড়যন্ত্র ? " লীয়েম বললো, "ম্যাডাম, আমার মনে হয় না, কারন এত কঠোর নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে কেউতো ঢুকতে পারার কথা না ? তার উপর এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে না তা কিন্তু নয় ! তার পরও আপনি যদি মনে করেন তদন্ত করা জরুরী , তাহলে আমি এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে আপনার কাছে রিপোর্ট করতে পারি। " ঠিক আছে , আপনি তদন্ত শুরু করেন।

ও আর একটা কথা, আপনি কি যেন একটা নতুন বিষয়ের উপরে গবেষণা করার জন্য ফান্ডের আবেদন করেছিলেন, ঐটা আগামী বোর্ড মিটিং এ পাস হবে আশা করি। আপনার আর কিছু বলার না থাকলে এখন বাড়ি যেতে পারেন। ৩. লীয়েমের মনটা খুব ফুরফুরে, আজ তার গবেষনার জন্য নতুন ফান্ড বরাদ্ধ হবে। তার অনেক দিনের স্বপ্ন আজ স্বার্থক হতে চলেছে। সে একটু পর পর আয়নার সামনে দাড়িয়ে তার টাই সুট ঠিক করছে আর বক্তৃতা প্যাকটিস করছে।

অবশেষে মিটিং শুরু হলে, একগাদা ভার্চুয়াল ফাইল নিয়ে সে হলরুমে প্রবেশ করে। সবার সাথে কুশল বিনীময় শেষ হলে, মিস মাইশা দাড়িয়ে বলেল, "তাহলে এখন আপনার রিসার্চের বিষয়ের বিস্তারিত তুলে ধরুন, মিস্টার লীয়েম" লীয়েম, উঠে হলোগ্রফিক স্ক্রিনের সামনে দাড়িয়ে তার বক্তব্য শুরু করে। তার অবস্হান থেকে সরাসরি মিস্ মাইশাকের দেখা যাচ্ছিলো, তার চোখে চোখ পড়তেই একটা শীতল একটা স্রোত তার মেরুদন্ডের ভিতর দিয়ে পায়ে গিয়ে নামে, সে মূহুর্তের জন্য অপ্রস্তুত হয়ে যায়। তার পর আবার একটু কাশি দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করে। লীয়েম বলতে থাকে , "আসলে আমাদের কম্পানি এ্যানিমেটেড ফিল্ম প্রডাকশনের দিক দিয়ে বিশ্বের এক নাম্বার, তবে ইদানিং আমাদের ফিল্মের ব্যাপারে কাস্টমাররা একটা অভিযোগ খুব বেশি বেশি করছে।

তা হলো আমাদের ফিল্মগুলো নাকি সব একঘুয়েমিপূর্ন। কোন চমক নেই, নেই এক্সট্রাঅর্ডিনারি কোন কিছু। আসলে সবাই একই জিনিষ বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখে দেখে হয়রান। আমি খোজ নিয়ে দেখেছি অন্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। এখন আমার নতুন আইডিয়া হলো আমাদের 'থিংক ট্যাংক' অংশটাকে আপডেট করা।

এখন পর্যন্ত আমরা 'থিংক ট্যাংক' এ শুধু মানুষের মস্তিস্ক ব্যবহার করছি, কিন্তু আমার চিন্তা হলো, শুধু মানুষের মস্তিস্ক না ব্যবহার করে, এর সাথে বিভিন্ন প্রানীর ডি.এন.এ. এর সাথে মিউটেন্ট করে ক্লোন মস্তিস্কটাকে করে আপডেট করা। যেমন যদি ঈগলের সাথে মিউটেন্ট ক্লোন করি তাহলে আকাশে উড়ার ব্যপারে বা এই সংক্রান্ত মুভিগুলোতে ব্যাপক বৈচিত্র আসবে। আবার যদি ডলফিনের সাথে মিউটেন্ট ক্লোন করি তাহলে পানির নিচের জগৎ নিয়ে যে সব মুভি গুলো লেখা হবে সেই সবগুলোতে ব্যাপক চমক থাকবে ও আরও জীবন্ত মনে হবে ঐ মুভিগুলো। এই হলো আমার মূল বিষয়। " এর পর লীয়েম ট্যাকনিক্যাল দিকগুলো, আইনি দিকগুলো একের পর এক বিস্তারিত বর্ননা করে যাচ্ছিলো।

হঠাৎ, করে লীয়েম দেখতে পেল, রূমের সব কিছু সাদাকালো হয়ে গেছে। কোন রঙ নেই, সব কেমন যেন ধূসর !! সে আশে পাশে সবার দিকে অস্হির ভাবে তাকাতে থাকে। সে দেখে সবাই তার মত এইদিক ওদিক তাকাচ্ছে। এক মিনিট, তিন মিনিট, পাঁচ মিনিট হয়ে গেলো কেউ কোন কথা বলছে না, সবাই যেন থ্ মেরে গেছে। পাক্কা দশ মিনিট পরে আবার সব কিছু ঠিক হয়ে গেলো।

লীয়েম দেখলো সবাই যেন কেমন হাপ ছেড়ে বাঁচলো আর একটু নেড়েচেড়ে বসলো, ভাবখান এমন, "কিচ্ছু হয়নি এবার আপনার বক্তব্য শুরু করুন"। কি হয়ে গেলো সে কিছুই বুঝতে পারছে না। হঠাৎ করে তার মাথায় একটা চিন্তা বিদ্যুতের মত ঝিলিক দিয়ে উঠলো, সাথে সাথে সব রক্ত সরে তার মুখমন্ডল ফ্যাকাশে হয়ে গেলো। তার কাছে, বৃষ্টি, আকাশ, সেই প্রেমিক জুটি, মিটিং, গবেষণা সব কিছু অর্থহীন মনে হয়। সে ভয়ে ভয়ে মিস্ মাইশার দিকে তাকায় দেখে সেও মুখ ফ্যাকাশে করে বসে আছে, মুখে কোন কথা নেই শুধু দুচোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে টীকা: ১. এইচ.ডি.সি.ভি.ডি : হাই ডেনসিটি ক্রিষ্টাল ভিডিও (কাল্পনিক) ২. এইচ.পি.ও. ইন্টারনেটের : হাই স্পীড ওপটিকেল ইন্টারনেট (কাল্পনিক) ৩. মিউটেশন : জিনের স্ট্রাকচার পরিবর্তন কারার বা হওয়ার প্রোসেস


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।