আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার পাপ কাজ (ইনকাম টেক্স অফিসে একদিন)

ভালবাসি প্রাণ প্রিয় মা ও জন্মভূমিকে

আরও আগের থেকে ইনকামের উপর টেক্স দেওয়া হয়। কিন্তু রিটার্ন জমা দেওয়া শুরু গতবার থেকে। জমা দেওয়ার সময় যে টাকা (ঘুষ) দিতে তা আমার জানা ছিল না। তাই তারা আমাকে পরে এসে রশিদ নিতে বলে। আমি তাই করলাম।

পরে অফিসে আসার পর জানলাম কিছু মেরে দিলে সাথে সাথে সব হয়ে যায়। যাক এক বছর আর এর খোঁজ খবর নিই নাই। এখন আবার রিটার্ন জমা দেওয়া সময় হইছে। তাই আগের TIN নম্বর আনার জন্য গেলাম আমি ও আমার আরেক কলিগ। তারা আমাদের রিসিট দেখে ফাইল দু'টো বের করল।

কিন্তু আমার ফাইল দেখে বলল ছবি এটেস্টেট করা নাই, তাছাড়া আমার কলিগের টিন ফরম্যাট টা নাই। কিন্তু আমার কলিগ বলল, আর-এ ভাই আমি সব দিছি, আমার কাছে এর ফটোকপি আছে। কিন্তু তারা বলল, আপনার ফাইলে সব আছে এটা গেল কই। যাক কিছুক্ষণ পর সে আবার খুঁজে বের করল, বলল সরি কাগজ খুলে ছিল। এরপর বলল আপনারা পরে আসেন, আমরা রেডি করে রাখব আর ছবিগুলোও এটেস্টেট করে রাখব।

কিন্তু আমরা বলল, আমাদের আর আসার সময় নাই বলে ২০০টাকা দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে সব ঠিক হয়ে গেল। আর কোন সমস্যাই থাকল না। এরপর বললাম আপনারা বলে আমাদের সার্টিফিকেটগুলো দিয়ে দিবার ব্যবস্থা করেন। বলল, নারে ভাই আমরা বললে কি কম্পিউটার ম্যান শুনবে।

আর এই কম্পিউটারের কাগজ, কালি এগুলো কম্পিউটার ম্যানকে কিনতে হয়। সরকারে এগুলো নাকি তাদের দেয় না। পরে আমাদের পীড়াপিড়িতে বলল, এ মুহুর্তে সার্টিফিকেট দিয়ে কি করবেন? এছাড়া এ অর্থ বছরে আবারতো রিটার্ন জমা দিবেন। তখন সার্টিফিকেট নিয়ে নিয়েন। কি আর করা তার যুক্তি শুনে শুধু টিন নাম্বারটা নিয়ে ফেরত চলে আসলাম।

এ হলো আয়কর অফিসে আমার দূর্নীতির কাজকে সহায়তা করার কাজ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।