ওলফ-রেয়াট সুপারনোভার কারণে সৃষ্ট গামা-রে পৃথিবীর ক্ষতি করতে পারে-- বিষয়টি আবিষ্কারের প্রায় ১৫ বছর পর দুজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরও টিকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে পৃথিবীর। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আদ্রিয়ান মেলোট এবং গ্রান্ট হিল নামে দুজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সম্প্রতি এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির জ্যোতির্বিজ্ঞানী পিটার টার্নহিল এবং তার সহকর্মীরা ১৯৯৮ সালে ওলফ-রেয়াট নক্ষত্রটির সুপারনোভা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। তারা তখন দেখতে পান, নক্ষত্রটির কক্ষপথ পৃথিবীর দিকে ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি বেঁকে রয়েছে।
পরবর্তী কয়েক বছর পর তারা আবিষ্কার করেন, নক্ষত্রটির কক্ষপথ বাঁক পরিবর্তন করেছে ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি। আট হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত নক্ষত্রটির সুপারনোভার কারণে সৃষ্ট গামা রে পৃথিবীর বায়ুম-লে ওজোনস্তরের ক্ষতি করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রান্ট হিল বলেন, “এ সুপারনোভাটি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে যে কোনো সময়। তা আজও হতে পারে, আবার পাঁচ লাখ বছর পরেও হতে পারে।”
তিনি জানান, এটা থেকে সৃষ্ট গামা-রে এবং অপটিকাল ফোটন পৃথিবীতে একযোগে আঘাত হানতে পারে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।