হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়।
বিশ্বব্যাংক কে বুড়ো আংগুল দেখানোর শখ নিশ্চয় উন্নয়নশীল সব দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিশেষ করে অর্থমন্ত্রীর থাকে। কিছু টাকা দিবে, তাও ঋণ তারপরও এত এত খবরদারী! আমাদের দেশও দেখিয়েছে। সে হিসাবে আমাদের খুশী হবার কথা। কিন্তু বাদ সেধেছে আমাদের পুর্বপুরুষদের শিখিয়ে যাওয়া সেই প্রবাদ “আঙ্গুল ফল টক”।
সরকার বলেছেন এবার বিকল্প অর্থে হবে পদ্মা সেতু। দেখা যাক সরকার কি করে। তবে অর্থ কোথা থেকে নেয়া হবে, তার জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণের তুলনায় কত বেশি টাকা গুনতে হবে সেটা নিশচয় হিসাব হবে এবং জনগণ তা জানবে। বিশেষজ্ঞগণ এ বিষয়ে কথা বলছেন। আশা করি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থকে বড় করে দেখা হবে যদিও দুর্ণীতিবাজদের প্রশ্রয়দানের সরকারের সিদ্ধান্ত দেখে মনে হয় যে সে আশা করাটা ছোটকালে শেখা বাগধারা “অরণ্য রোদন” কে বাস্তব জীবনে দেখার এক মহান সুযোগ।
নিজস্ব অর্থে হবে বলে এর নান্দনিক দিক সমুহ বাদ দিয়ে নতুন ডিজাইন করা হচ্ছে। তথাস্ত!
আমার নদী পার হওয়া নিয়ে কথা, নান্দনিকতা দিয়ে আমি কি করব? যার ঘরের নাই বেড়া সে কে দরজায় খিল আটকিয়ে ঘুমাবে?
কিন্তু যে জিনিষটা মানতে কষ্ট হচ্ছে তা হলো খরচ কমানোর স্বার্থে রেল লাইন বাদ দেয়ার খবর পড়ে। বাংলাদেশের মত দেশে জনবহুল গরীব দেশে সহজ, নিরাপদ ও কষ্ট-ইফেক্টিভ যোগাযোগের জন্য রেলের বিকল্প নাই। বিষয়টা বর্তমান সরকারও ভালাভাবে উপলব্ধি করে বলেই মনে হয়। রেলের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় হয়েছে, রেলের বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
আর পদ্মা সেতু এমন কোন প্রকল্প নয় যে আমরা তা বছর বছর করব! আবার শেষ মুহুর্তে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে রেল কে যুক্ত করতে যেয়ে একটা ন্যাংড়া রেল সেতু বানাতে না হয় যেমন হয়েছিল যমুনা সেতুতে!
যে অর্থেই পদ্মা সেতু হোক না কেন, তা যেন শুরুর ডিজাইন থেকেই রেল লাইন সহ হয়, এটাই প্রত্যাশা, এটাই দাবী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।