বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা সদরকে কেবলমাত্র মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে পূর্বের মতই বিশাল এই অঞলকে যোগাযোগ প্রযুক্তির এই সেবা হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
মজার বিষয় হলো ভারতীয় সীমান্ত হতে ২০-৩০ কি:মি: অভ্যন্তরেও ওপারের ২-৫ টি অপারেটরের সবল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। কষ্ট করে একটু উচুঁ জায়গায় উঠতে হয়, এই যা। অথচ নিজের দেশের কোন অপারেটরকে গাছের মাথায় উঠেও পাবেন না।
খাগড়াছড়ি-রাংগামাটির দিঘীনালা, পানছড়ি, করলাছড়ি এবং লংগদু এলাকায় বিষয়টি কেউ চাইলে পরখ করে দেখতে পারেন।
পার্বত্য এলাকায় দূস্কৃতিকারী বলে যাদেরকে জানি, তাদের অনেকেরই ভারতীয় সিমকার্ড সংগ্রহ করে যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে, নেই শুধু শান্তি প্রিয় মানুষদের। কারন তারা যে শুধু দেশীয় অপারেটরের উপর নির্ভরশীল! দেশীয় নেটওয়ার্ক সহজ লভ্য হলে সেনাবাহিনী সহ অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীকে দূস্কৃতিকারীদের সংবাদ দিয়ে সাধারন লোকজন বিরক্ত করতে পারে, তা থেকে দূরে রাখার জন্যও নেটওয়ার্ক কভারেজ না দেওয়া হয়ে থাকতে পারে,কে জানে!
এক সময় আমরা নিরাপত্তার কথা বলে সাবমেরিন কেবল ফ্রি নেইনি, যা পরে অনেক কাঠখড় পেরিয়ে বহু টাকার বিনিময়ে নিতে হয়েছে। তাতেও আমাদের শিক্ষা হয়নি। মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকায় পার্বত্য জেলা সদর থেকে এই ব্লগটি লিখতে পেরেছি।
এটা কি আমাদের উপর ওয়ালারা বুঝেন না?
অবশ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড থাকলে ইন্টারন্যাশনাল রোমিং এ্যাকটিভ করে এ এলাকায় প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয দেখতে বেড়াতে আসবেন, পাশের বাড়ী ফোন করবেন ভারতীয় নেটওয়ার্ক দিয়ে, খারাপ কি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।