আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুক রিভিউ।। রেজা ঘটক

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা... বুক রিভিউ। । রেজা ঘটক আমার লেখালেখির বয়স প্রায় ২৫ বছর। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র সৃজনশীল বই প্রকাশিত হয়েছে ৮/৯টি। মা, উপন্যাস, ২০১২ (আল-আমিন প্রকাশন, বইমেলায় স্টল নং ১৯৪, আমতলা) ছোটগল্প সংকলন ৪টি: বুনো বলেশ্বরী, পাঠসূত্র, ২০০৮ (বইমেলায় স্টল নং২২৫-২২৬) সোনার কঙ্কাল, বিবর্তন, ২০১০ (বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে ১৯৪ নং স্টলে) সাধুসংঘ, আল-আমিন প্রকাশন, ২০১১ (বইমেলায় স্টল নং ১৯৪, আমতলা) ভূমিপুত্র, ২০১৩ (এ বছর মেলায় আসছে) শূন্য দশমিক শূন্য, সমালোচনা, ২০১১ (আল-আমিন প্রকাশন, বইমেলায় স্টল নং ১৯৪, আমতলা) গপ্পো টপ্পো না সত্যি, শিশুতোষ, ২০১১, জয়তী পাবলিকেশান, (বইমেলায় স্টল নং ২৮২) বয়োঃসন্ধিকাল, কিশোরগল্প, ২০০৫ ময়নার বয়স তেরো, শিশুতোষ, ২০০৩ বিগত ৯০ দশক ও শূন্য দশকের বাংলাদেশের যতো উদীয়মান লেখক, কবি, সাহিত্যিক, আর্টিস্ট, সমালোচক, গবেষক, সঙ্গীত শিল্পী এবং মিডিয়া ও কালচারাল পাড়ার মানুষজন, তাদের অনেকের সঙ্গেই আমার সখ্য, ভাব বিনিময়, আড্ডা, লেনদেন, খাট্টুস-খুট্টুস, পুটুস-পুটুস, এমনকি গলায় গলায় খাতির।

নাম উল্লেখ না করেই একটি মনের কষ্ট না বলে আর পারছি না। আজ পর্যন্ত এরা কেউ আমার কোনো বইয়ের রিভিউ করলো না। আফসোস। মহা আফসোস। আমি নিজে অনেকের বইয়ের অনেক রিভিউ করেছি।

এখনো কেউ বইয়ের রিভিউ করতে দিলে সানন্দে করে দেই। আমার বন্ধুদের মধ্যে অনেকের বইয়ের শুধুমাত্র বইমেলা চলাকালীন সময়েই একই বইয়ের অনেক রিভিউ বের হবে। মনের দুঃখ মনে রেখেই আমিও সেই রিভিউগুলো পড়ব। নিজের বোধবুদ্ধি দিয়ে নিজের পড়ার সঙ্গে সেই রিভিউ মেলানোর চেষ্টা করব। সেই রিভিউ-এর উদ্দেশ্য ও বিধেয় সম্পর্কে ভবিষ্যৎ ব্যাপার স্যাপার কী ঘটতে যাচ্ছে মনে মনে মিলিয়ে নেব।

আর বায়বীয় মনের কষ্ট মনে পুষে আবারো নিজের লেখায় আরো মনযোগী হব। কারণ, মিডিয়া মুঘলদের কারবারীটা আমার পছন্দ নয়। কেউ কেউ বলেন, ওই মিঞা তোমার তো চোপার দোষ। কথা পেটে রাখতে পারো না। তেল মারতে পারো না।

সম্পাদককে তোয়াজ করতে পারো না। সাহিত্যের রাজনীতির তুমি রোমাডাও জানো না। খাঁটি কথা। আমি সাহিত্য রচনা করতে চাই স্রেফ আমার নিজের মত করেই। সাহিত্যের রাজনীতি ওরাই করুক যাদের ওটা দরকারী।

কিন্তু রেজা ঘটকের কোনো গল্প যে পাঠক একবার পড়বেন, তাকে আমার অন্য গল্প পড়ার প্রতি আগ্রহটা কোনো কুতুব আটকে দিতে পারবে না। এটা আমি খুব হলপ করেই বলতে পারি। কারণ, আমার গল্পগুলো একটু আলাদা। আমার গল্প বলার ভঙ্গি আলাদা। আমার বর্ণনা, গল্পকাঠামো, গল্পের পাত্র-পাত্রী আলাদা।

গল্পের বিষয়-আশয় আলাদা। পাঠক আমার গল্পের নতুনত্বের প্রতিই আরো আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সেখানে আমার কোনো বাহাদুরী নেই। আমার জীবদ্দশায় কোনো বইয়ের রিভিউ যে হবে না এটাও আমি জানি। এটা আরেকটা আফসোস।

অথচ যাদের পেছনে আমি আমার ৪৩ বছরের হাজার হাজার মুহূর্ত ব্যয় করেছি, যাদের সঙ্গে শুধু সাহিত্য নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টার খরচ করেছি, যাদের সঙ্গে গল্প নিয়ে, গল্পের অনুসঙ্গ নিয়ে বছরের পর বছর আমার চিলেকোঠার ব্যাচেলর বাসায় সন্ধ্যার মাতাল হাওয়ায় বৈরাগী মনের কৈবর্তকাল কাটিয়েছি, এরা কেউ আমার গল্পের কোরো রিভিউ করলো না। অথচ এরা সবাই আমার বন্ধু। আমার গল্পের কেউ এরা বন্ধু নয়। হায়!!! এ বছর আমি ঠিক করেছি, নিজের বইয়ের নিজে রিভিউ করব। সমালোচনার তুরিতে আমার লেখালেখির বারোটা বাজিয়ে দেব।

দেখি, কোন কোন বন্ধু আমার সেই দশা দেখে মুখ টিপে হাসে। তখন সেই হাসিতে আমি নতুন কোনো ট্যাক্স বসাব। এটা আমি ঘোষণা দিয়েই রাখলাম। আমার বই যারা কিনবেন, না পড়লে টাকা নষ্ট করবেন না ভাই, প্লিজ। শুধু পড়ার জন্যে যদি আমার বই কিনতে চান, তাহলে আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া শোনার অধিকার জীবদ্দশায় এই অধমেরও থাকা উচিত বলে মনে করি।

কতো অধিকার যে পৃথিবীতে আছে? আহা অধিকার। বন্ধুরা বইয়ের রিভিউ করবে না, সেই অধিকার কী সংবিধানে পাস হয়েছে? আপনারা কেউ জানেন নাকি? ভাই আওয়াজ দেন.... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।