নিজের গতিবিধির ওপর স্বচ্ছন্দ নজর এড়িয়ে যেতে না পারলেও
মনখারাপের দিনগুলোকে ভুলে যেতে হলো
চৌবাচ্চার পানি, ব্যাঙের ছা আর তেলাপিয়া মাছের সখ্যের দিন
চাচি আম্মার স্কুলে যাবার হুড়ো
সিড়িঘরের ওপর কবুতরের একটা কলোনী, মাচান ভরা শিম
হলুদ ও গোলাপি ফুল বাহার জমিয়ে দিতো গ্রীষ্মে
শিম আলু টমেটো আর শিং মাছের ঝোল- চোখ বন্ধ করে খেয়েছিলাম।
এমনও দিন আষাঢ়ের মেঘ গর্জন, আর
পাড়ে লাফিয়ে ওঠা কৈ মাছ ধরেছিলাম আম্মার সঙ্গে
একটা সাপ বসে বসে দেখছিল এসব
আব্বা সেদিন রাত করে খালি হাতে বাড়ি ফিরে
পাতে পেয়ে কৈ মাছ হেসে উঠেছিলেন।
তখন কী বাঁশঝাড়ে শব্দ করে ডেকেছিল প্যাঁচা!
তার নিচ দিয়ে রোজ রাতে হেঁটে যেতো মাছখেকো ভোঁদড়
একদিন দেখেছিলাম- দেখে হাসি পেয়েছিলো।
সেই ভোঁদড়ের গলায় ঘন্টা বাজিয়ে নাচ দেখাতে এসেছিল যে মানুষটা
সে অনেক গল্প বলতো- তার কাছেই শিখেছিলাম কী করে সুন্দর করে
মিথ্যে কথা বলতে হয়।
এই যেমন আমি এতক্ষণ আপনাদের যা বললাম
কেমন অদ্ভুত সত্যের মত- নিষ্পাপ ও সরল স্মৃতিবচন- সেরকম।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।