আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

।। ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক: কিছু খোলামেলা কথা।।

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর বাংলা দুই ভাগ হল। পশ্চিমবঙ্গ পেল ভারত। পূর্ববঙ্গ পেল পাকিস্তান। ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান সরকার পূর্ববঙ্গের নাম বদল করে করল পূর্ব-পাকিস্তান। যদিও পশ্চিমবঙ্গ আর ত্রিপুরার জনসাধারণও পূর্ববঙ্গের মতো বাংলায় কথা বলে।

ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য অনেক কিছুতেই অনেক মিল। তারপরেও দেশ বিভাগের পর উভয় দেশের সম্পর্কে একটা টানাপোড়ন শুরু হল। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সালের দিকে কলকাতা বন্দরের কাছে হুগলি নদীতে পলি জমা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। হুগলি নদীর পলি জমাকে অযুহাত হিসেবে নিয়ে ভারত ফারক্কা বাঁধ তৈরি করে কলকাতা বন্দরকে পলি জমা থেকে রক্ষা করার জন্য উদ্যোগী হল। সেই খবরে ২৯ অক্টোবর, ১৯৫১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার গ্রীষ্মকালে গঙ্গা নদী হতে বিপুল পরিমাণ পানি পশ্চিমবঙ্গের ভাগরথি নদী পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অপসারণ করার ভারতীয় পরিকল্পনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করল।

ভারত জবাব দিল যে, তাদের এই পরিকল্পনা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আর এ নিয়ে পাকিস্তানি উদ্বেগ কেবল একটি তত্ত্বীয় ব্যাপার মাত্র। তখন থেকেই গঙ্গার পানি বন্টন নিয়ে উভয় পক্ষ লম্বা আলাপ-আলোচনার সূত্রপাত। সেই আলোচনার মধ্যেই ভারত একতরফা ভাবে ১৯৬১ সালে ফারক্কা বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করল। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক আলোচনা করতে থাকে।

কিন্তু সেই আলোচনা চলাকালীন সময়েও ভারত ফারাক্কা বাঁধের নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছিল। আর ১৯৭০ সাল নাগাদ মূল বাঁধের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করল ভারত। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে ফারাক্কা বাঁধ মাত্র ১৮ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার মনহরপুর নামক স্থানে ২,২৪০ মিটার (৭,৩৫০ ফুট) লম্বা ফারাক্কা বাঁধের অবস্থান। আর ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল ফারাক্কা বাঁধ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল।

মাঝখানে এই দীর্ঘ সময়ে ভূ-রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কারণেই পাকিস্তান ভেঙে দু'টুকরো হল। পাকিস্তানের পূর্ববঙ্গ অংশের দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে ভারত একতরফা ভাবেই গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করতে সক্ষম হল। আর বিষয়টি তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তান সরকার কেন তুললো না সেটাও আরেকটা রহস্যময় রাজনীতির অংশ। আন্তর্জাতিক মহলের মোড়লরা তখন এটাকে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে এড়িয়ে গিয়েছিল। ভারত সেই সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করেছিল।

কিন্তু গঙ্গা নদীর উপর একতরফা ভাবে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ ভারতের একটি নির্লজ্ব অবৈধ তৎপরতা। যদিও আন্তর্জাতিক নদীর উপর কোনো দেশ অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু ভারত সেই আন্তর্জাতিক নদী'র আইন কানুনের তোয়াক্কা করেনি গায়ের জোরেই। পাকিস্তানকে পূর্ববঙ্গের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সামাল দিতে গিয়ে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ নিয়ে ভারতের সঙ্গে তেমন জোড়ালো বিতর্কে লিপ্ত হবারও ইতিহাস পাওয়া যায় না। অথচ জম্বু ও কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭ ও ১৯৬৫ সালে দু'বার যুদ্ধ করেছিল।

কিন্তু ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কোনো যুদ্ধে যায়নি। ১৯৭১ সালে ফারাক্কা বাঁধের সমস্যা মাথায় নিয়েই বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হল। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করল। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে ভারত বাংলাদেশ গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে এক যৌথ ঘোষণায় একটি চুক্তি করার ব্যাপারে একমত হয়। কিন্তু পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের তালবাহানার মধ্যেই ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল ফারাক্কা বাঁধ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল।

কিন্তু ভারতকে গঙ্গার পানি অপসারণে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বাংলাদেশ গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার বিষয়টি জাতিসংঘে উপস্থাপন করে। যার ফলে, ২৬ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ভারতকে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টির সুরাহা করার নির্দেশ দিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। কয়েকবার বৈঠকের পর উভয় দেশ ৫ নভেম্বর ১৯৭৭ সালে একটি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করে। চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশ ও ভারত পরবর্তী পাঁচ বছরের (১৯৭৮-৮২) জন্য শুষ্ক মৌসুমে গঙার পানি ভাগ করে নেবে। ১৯৮২ এর অক্টোবরে উভয় দেশ ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে পানি বন্টনের আরেকটি চুক্তি করে।

নভেম্বর ১৯৮৫ সালে আরও তিন (১৯৮৬-৮৮) বছরের জন্য পানি বন্টনের আরেকটি চুক্তি করে। কিন্তু একটি দীর্ঘ ও কার্যকর চুক্তির অভাবে বাংলাদেশ তার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য গঙার পানি ব্যবহারে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ১৯৮৯ সালে উভয় দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি না থাকায় শুষ্ক মৌসুম থেকে ভারত একতরফা আবারো প্রচুর পরিমাণ পানি গঙ্গা থেকে সরিয়ে নেয়। যার ফলে বাংলাদেশর নদ-নদীতে পানি প্রবাহের চরম অবনতি ঘটে। পদ্মা শুকিয়ে খাঁক হয়ে যায়।

গোটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষিজমির উপর ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পদ্মার সকল শাখা ও উপনদীগুলো মরতে শুরু করে। ১৯৯২ সালের মে মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, ভারত বাংলাদেশকে সমান পরিমাণ পানি দেবার ব্যাপারে সম্ভাব্য সকল কিছু করবে। এরপর দুই দেশের মধ্য কোন মন্ত্রী বা সচিব পর্যায়েও আর কোনো বৈঠক হয়নি। ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে মাত্র ২৬১ কিউসেক পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।

যেখানে ফারাক্কা-পূর্ব সময়ে একই পয়েন্টে ১৯৮০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হত। ১৯৯৩ সালের মে মাসে যখন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীরা আবার মিলিত হন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশেকে দেওয়া তার কথা রাখতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি সই করেন। কিন্তু গঙ্গার পানি চুক্তি কি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষির ব্যাপক ক্ষতি রোধ করতে পেরেছে? আবার ভারত কি গঙ্গার পানি বণ্টনের সর্বশেষ চুক্তি পুরোপুরি পালন করছে? ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদীর সকল শাখা ও উপনদীগুলো প্রায় মরে গেছে। গড়াই নদী তো এখন মৃতপ্রায়।

কুমার, বলেশ্বর, মধুমতী মরে গেছে। পদ্মা নিজেও মরার পথে এক পা দিয়ে আছে। পদ্মা নদীর নাব্যতা কমার ফলে এসব নদী মরে যাবার পাশাপাশি শুরু হয়েছে বন্যার প্রকোপ। নদী ভরাট হওয়ায় বন্যার মাত্রা বছর বছর বাড়ছে। আবার পদ্মার মিঠা পানি বছর বছর এভাবে কমে যাওয়ায় সমুদ্র থেকে বন্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে লবন পানি।

যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঢুকে প্রায় সব ফসলি জমি নষ্ট করছে। পদ্মার পানি স্তর নেমে যাওয়ায় কৃষি চাষবাদে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের নদীগুলোর মাছ প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। এসব নদীগুলোর নৌ-পরিবহণ ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। বেকার হয়ে গেছে হাজার হাজার পরিবার।

বাংলাদেশের ভূ-অভ্যন্তরের পানির স্তর বেশিরভাগ জায়গায়ই ৩ মিটারের বেশি কমে গেছে। ফলে বিভিন্ন দ্রবিভুত পদার্থের যেমন ক্লোরাইড, সালফেট ইত্যাদির ঘনত্ব বেড়ে গেছে। যা আবার পানির স্তর আরো কমিয়ে দিচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়ে ১২০০ মিলিগ্রাম/লিটার দ্রবিভুত পদার্থ সম্পন্ন পানি পান করছি। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)'র মতে, ৫০০ মিলিগ্রাম/লিটারের কম দ্রবিভুত পদার্থ সম্পন্ন পানি-ই কেবল মানুষের পান করার জন্য উপযুক্ত।

আর কি কি হয়েছে বাংলাদেশে? পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে মানুষের মধ্যে ব্যাপকহারে রোগব্যাধীর সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ আবার সেই রোগের চিকিৎসা করাতে ভারতে যাচ্ছে। রোগ নিরাময়ের অযুহাতে দিয়ে আসছে কোটি কোটি বাংলাদেশী টাকা। ফারাক্কা বাঁধ দেওয়ার সময়েই ভারতের বিশেষজ্ঞরা জানতো, কি কি প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। কিন্তু আমরা জানতাম না।

আমাদের নদী মরে যাবে। আমাদের পানি স্তর কমে যাবে। আমাদের দ্রবীভূত পদার্থ বেশি করে হজম করতে হবে। আমাদের কৃষিখাত ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের লবন পানি বেড়ে গোটা ভূ-অভ্যন্তর কৃষিজমির অনুপযুক্ত হয়ে যাবে।

আমাদের মানুষের নানাবিধ রোগবালঅই হবে। আর উন্নত চিকিৎসা সেবার নামে ভারত সেই সুযোগে টাকা রোজগারও করবে। তীলে তীলে একটি দেশ ধ্বংস করার জন্য এক ফারাক্কা বাঁধই ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। আর আমাদের মাথা মোটা রাজনীতিবিদরা কি করছেন? ভারত তোষণ করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করছে ভারত আমাদের জাতবন্ধু।

বিএনপি মনে করছে, শুধু নির্বাচনের সময় ভারতকে কিছু গালি দিয়ে সস্তায় কিছু ভোট হজম করা যাবে। আর তলে তলে ভারত তোষণ ঠিকই করছে। এখন আবার টিপাইমুখী বাঁধ দিতে পারলে ভারতের ষোলকলা পূর্ণ হয়। টিপাইমুখী বাঁধ শেষ হলে সুরমা, মাতামুহুরী, ফেনী, এমন কি যমুনা নদীর গোড়ায়ও ভারত ভবিষ্যতে বাঁধ নির্মাণ করবে। আর তখন বাংলাদেশ এক বিরানভূমিতে পরিনত হবে।

আমাদের পররাষ্ট্র নীতিতে ভারতের সঙ্গে আমরা দর-কষাকষিতে পুরোপুরি ব্যর্থ। সেই সুযোগে ভারতের টিভি মিডিয়া বাংলাদেশে রাজত্ব করছে। ভারতের কাপড়, পেঁয়াজ, গরু, চিনি, লবন, ডাল, মসলা বাংলাদেশে এক আধিপত্যের পসলা সাজিয়ে বসেছে। ভারতের বিএসএফ কথাবার্তা ছাড়াই পাখির মতো গুলি করে সীমান্তে মানুষ মারছে। আমরা নতজানু পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়ে ভয়ে ভয়ে একটু ঠোঁট নাড়ছি।

আহারে আমাদের দেশপ্রেম ! আহারে দূরদর্শী রাজনীতি!! ভারতের সঙ্গে শুধু সীমান্তের সমস্যা নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলে কোনো লাভ নেই। ভারতের সঙ্গে সকল সমস্যার একটি মাস্টার প্লান আমাদের সকলকেই এক টেবিলে বসেই ঠিক করতে হবে। সীমানা কিভাবে সমাধান হবে? সীমান্তপথে চোরাচালান কিভাবে প্রতিরোধ হবে? তিস্তা, গঙ্গা, ফেনী, সুরমা, মাতামুহুরী, যমুনাসহ সকল নদীর পানির কিভাবে হিস্যা হবে? ভারতের পণ্য আমরা কতোটুকু ব্যবহার করব? ভারতের টিভি চ্যানেল আমরা দেখব কিনা? ভারতের গরু আমরা খাব কিনা? ভারতের চিনি-মসলা আমরা নেব কিনা? ভারতের ফেন্সি-ডাইল আমরা ঢুকতে দেব কিনা? ভারতে আমরা চিকিৎসার জন্য যাব কিনা? এসকল বিষয়ে বাংলাদেশের একটি মাস্টার প্লান করেই আগানোর সময় এখন। নইলে ভারত তীলে তীলে বাংলাদেশকে নানাভাবে মেরে ফেলার যে পায়তারা করছে, তা একদিন বাস্তবে রূপ নেবে। সেই সুযোগে ভারত আবার রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।

ট্রানজিট নেবে। আমাদের গ্যাস নেবে। আমাদের বন্দর নেবে। আর কি কি নেবে তা আমাদের মাথা মোটা রাজনীতিবিদরা এখনো ঠাওর করতেও পারেন না। ভারতের সঙ্গে যে কোনো ধরনের দ্বিপাক্ষিক বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গেই বাংলাদেশকে বিবেচনায় নিতে হবে।

নইলে ফারাক্কা বাঁধের মত বাকি সব ব্যাপারে আমাদের তীলে তীলে ঠকতে হবে। ভুগতে হবে। দুঃখে কষ্টে ঝুঁতে হবে। আর তীলে তীলে মরতে হবে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে শুধুমাত্র ভারতের সঙ্গে কি ধরনের সম্পর্ক হবে সে বিষয়ে এখনই আমাদের আলাদা নীতি গ্রহন না করলে, অদূর ভবিষ্যতে এমনিতেই ভারতের আধিপত্য ও তীলে তীলে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার যে নীতি তা বাস্তবায়ন হবে।

অতএব সময় যতো গড়াবে ভারতের ততো লাভ। কারণ, ফারাক্কা কাঁটা তো আমাদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য কাঁটা সময়ে ঢুকবে। মমতা ব্যানার্জি ভারতের একটি কৌশল। আর বাংলাদেশ মনে করছে আহারে ভারতের দরদ।

ভারতের প্রতি দরদ দেখানোর সময় শেষ। বাংলাদেশকে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। সো, সাধু সাবধান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।