কাঁদছো !! কান্নাতে তোমাকে দারুণ দেখায় ! সম্প্রতি আমাদের বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া টাইমস্ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের গনতন্ত্র ও অন্যান্য নিয়ে নালিশ করেছেন এবং হাসিনা সরকার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন। গতকাল (৩০.০১.২০১৩ তারিখে) টাইমস্ ওয়াশিংটনে আমাদের বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিবেদনটি লিখেছেন বলে জানা গেছে। আমি মুগ্ধ হয়েছি যে, ক্লাস এইট পাস হয়েও এমন অসাধারন প্রতিবেদনে লেখা যায়। তবে আমার কাছে খুব অবাক লেগেছে, খুব গুছিয়ে লেখার ধরন।
যাই হোক, আসল কথায় আসি, যুক্তরাষ্ট্র কেন বাংলাদেশকে সহায়তা করছে না সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে লেখা।
কেন গ্রামীন ব্যাংক থেকে ডঃ ইউনুসকে সরানো হলো সেটার কথা রয়েছে। পদ্মা সেতু অর্থায়নের বিষয় বিশ্বব্যাংক কেন সরে আসলো সেটির কথা জানানো হয়েছে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক নিরীহ মানুষ হত্যার প্রসংগ উঠে এসেছে।
শান্তির মডেল নিয়ে প্রধান মন্ত্রী হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে নোবেল পুরস্কারের ব্যাপারে অনেক দৌড়ঝাপ করেছেন। কিন্তু নোবেল পাওয়া যায় নি।
প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, বাংলাদেশে কারোর যদি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার অধিকার থাকে সেটি হবে শেখ হাসিনার। পরবর্তীতে মায়ানমারের নেত্রী আং সুচি শান্তির জন্যে নোবেল পুরুস্কার পান এবং হাসিনা সরকারের পক্ষে বেগম মতিয়া চৌধুরী আং সুচিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তাদের নেত্রীও তার মতন কারাবন্দি ছিলেন।
৯০ সালের দিকে গনতন্ত্র পাওয়ার জন্যে দুই নেত্রী অনেক মিছিল মিটিং করেছেন। তাদের সাথে ছিল জামায়াত। তখন কেউ জামায়াতকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে নি।
বিএনপি বিগত বছরে যখন জয়লাভ করেছিল তখন জামায়াত ১২% ভোট পেয়েছিল। এখানে বোঝা যায় বিএনপির জন্যে জামায়তের ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অথচ জাসদ,আরো ছোট ছোট দল মিলে জামায়তের কাছাকাছি ভোট পাচ্ছে না। তাই তারা উঠে পড়া লেগেছে জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদেরকে গ্রেফতার করা। তাদের ভিতর যারা বয়স্ক তারা কয়েকজন চিহ্নিত রাজাকার।
সেটা আমজনতা সবাই জানে। তাই বিএনপি জোকের মতন পড়ে আছে তাদের সাথে। তাই আওয়ামী লীগ তাদেরকে দূর্বল করতে জামায়াত রাজনীতি কিভাবে বন্ধ করা যায় সেটি নিয়ে নতুন নতুন গবেষনা চালাচ্ছে।
এতগুলো বছর ধরে জামায়াত নির্বাচিত হয়ে আসছে এবং তারা নিজেরা দল ভারী করে ফেলছে। আওয়ামী-বিএনপি দু'দল নিজেদের ভিতর মারামারি করে জামায়াতকে ভিতরে ভিতরে শক্তিশালী করে ফেলছে।
জামায়াত সমর্থক বাড়ছে দ্বিগুন হারে, শক্তিশালী হচ্ছে ক'দিন ধরে। তারা সরকারকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে। হাজার ধরপাকড়ে বিএনপির প্রতিবাদী কন্ঠ ঝিমিয়ে গেছে। কিন্তু জামায়াত পার্টি দিনের পর দিন শক্তিশালী হয়ে গেছে। যা সত্যি শংকার বিষয়।
আমরা চাই সকল রাজাকারের ফাঁসি। কিন্তু রাজনীতির হাজার গ্যারকলে পড়ে ফাঁসি কার্যকর হবে কিনা সেটি নিয়েও আমাদের সবার ভিতর সংশয়। কেননা, এ বিষয়ে আওয়ামী-বিএনপি কেউ নিজেদের ভিতর সমঝোতায় পৌছাবে না।
সূত্র: Click This Link
৩১ই জানুয়ারী , ২০১৩
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২৩৪/৩৬৫
(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।