১০৫) মা তোমায় মনে পড়ে(বন্ধু তোমায় মনে পড়ে)
মনের একটা ঘরেই অজস্র দরজা থাকে।
একটা টিভি সিরিয়াল দেখতাম ছোটবেলায়।
নামটা ভুলে গেছি স্মৃতির দূর্বলতায়।
নায়ক একটা দরজা দিয়ে ঢুকছে
সাথে সাথে অন্য একটা দরজা খুলে যাচ্ছে।
এভাবেই অনেক দরজা।
মনের দরজাগুলো খোলা পড়ে থাকে।
এ ঘর থেকে ও ঘরে যাই।
দীর্ঘ নিঃশ্বাসের মত কিছু শুনতে পাই কি!
জাগতিক দৌঁড়ঝাঁপ এর মহড়ায়
ক্লান্ত আজ বড়ই।
কানে বাজে নিজেরই বেঁচে থাকার শব্দ।
গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে যেতে থাকে চেতনা।
নিজের ভিতরের সরলতাকে সামনে এসে বসাই।
তিরষ্কার করি। সারাটা জীবন গেলে এই সরলতায় ভেসে।
মনের ঘরগুলোতে ঘুরি আর ঘুরি।
আয়নায় চোখ পড়ে।
চোখের নীচের কালোকে ছুঁয়ে যায় আঙুল।
খুব বেশী বেশী মাকে মনে পড়ে আমার।
কতদিন মায়ের হাত ছোঁয়নি আমার ক্লান্ত মুখ।
খুব ইচ্ছে করে মায়ের বুকে লেপটে থাকি।
মায়ের শরীরের অবাক করা গন্ধ নেই আর
কথা বলি ।
অনেক অনেক না বলা কথা।
অনেক অনেক বলা কথা।
মাকে বলি মা ,"তুমি না বলেছিলে
আগে মানুষ অপরাধ করলে অথবা
দেশদ্রোহী প্রমাণিত হলে দীপান্তর হতো।
আমি তো কোন কিছু দোষ করিনি মা।
আমার কেনো তাহলে এই দীপান্তর হলো?
কেনো আমার এই নির্বাসিত জীবন?"
(বন্ধু দিবসে শুভেচ্ছা জানাই আমার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্ন্ধু আমার মাকে।
যার গাছে বর্ণমালা শিখেছি,যার হাত ধরে হাঁটতে শিখেছি। যার গল্প শুনে ভাবতে শিখেছি। যিনি চিরটাকাল চেয়েছেন যেনো ভালো মানুষ হই।
শুভেচ্ছা জানাই আমার পথ চলার সংগীকে ,যে আমার সারাটা জীবনের বন্ধু হয়ে থাকছে।
শুভেচ্ছা আর দোয়া রাখি আমার বাবা এবং সেই সব বন্ধুদের যারা হারিয়ে গেছে অসময়ে।
শুভেচ্ছা জানাই আমার ছোটবেলা থেকে আজোবধী সেইসব বন্ধুদের যারা যে যেখানে যত দুরে থাক না কেনো আমাকে মনে রেখেছে।
শুভেচ্ছা জানাই সামহোয়ার এর সব বন্ধুদের যারা নিরন্তর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে লেখায়। প্রার্থণা করি সবার জীবন চাওয়ার মত সুন্দর হোক। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।