বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ জানে কোন খাবারটিতে তার অ্যালার্জি আছে। যেমন বহু মানুষের গরুর মাংস খেলে অ্যালার্জি হয়, চিংড়ি খেলেও হয়। অ্যালার্জির কোনো স্থায়ী নিরাময় নেই। প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণই একমাত্র উপায়। প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি হচ্ছে নিজের রোগ, অ্যালার্জেন ও ঋতু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা।
যেসব বিষয় অ্যালার্জি সৃষ্টি করে, তা থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকাই চিকিৎসার প্রথম ও সর্বোত্তম পন্থা। এ ক্ষেত্রে এই সময়ে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে পারেন। যেমন—
১. খুব ধুলোবালির সময় জানালা বন্ধ রাখতে পারেন।
২. বিশেষ ঋতুতে জনবহুল ও খোলা স্থানে যেখানে অ্যালার্জেনের প্রকোপ বেশি, সেসব স্থান এড়িয়ে চলতে পারেন, যেমন মেলা, মার্কেট, পিকনিক, পার্ক ইত্যাদি।
৩. যদি বাইরে বেশি বেরোতেই হয়, তবে নাকে মাস্ক ব্যবহার করেও সুফল পাওয়া যায়।
৪. ঘরদোর, বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন, নিজেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন। তবে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় কাছে না থাকাটাই ভালো।
৫. পরিবেশ ও বায়ুদূষণ এসব রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সবারই সচেতন হওয়া উচিত।
৬. স্বল্পমাত্রায় অ্যালার্জি হলে মুখে খাবার অ্যান্টিহিস্টামিনই যথেষ্ট।
কয়েক দিন ওষুধটি খেতে হয়। তবে বেশির ভাগ অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খানিকটা ঘুম ভাব উদ্রেক করে। তাই সারা দিন ঘুম ঘুম পায়।
৭. ত্বকে র্যাশ বের হলে অ্যান্টিহিস্টামিনের সঙ্গে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি স্টেরয়েড ক্রিম যেমন হাইড্রোকর্টিসন আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। আক্রান্ত স্থানে বরফের সেঁক দিলেও উপকার পাওয়া যায়।
দেহ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।