পাখি এক্সপ্রেস
জীবনে এই প্রথম জন্মদিনে আমি অনেকটাই প্রানবন্ত। আজ আমার মনে যে খুশির দোলাচল ছিলো, তার আমার বড্ড অচেনা। "বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ" এ নিজের সম্পৃক্ততার পর আমি অনেকটাই ব্লগ কেন্দ্রিক হয়ে যাই। আমার ব্যক্তিজীবনে আমি খুবই হতাশার মাঝে কাটাতাম। হতাশার মেঘ অনেকটাই কেটে গেছে।
গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ব্লগারের এসএমএস, ফোন, মেইল আর ব্লগে পোস্ট এবং শুভেচ্ছা মন্তব্য, সবমিলিয়ে আমি হাওয়ায় ভাসছি। সবার কাছে ঋণটা আমার আরও বেড়ে গেলো। অনেক শুভেচ্ছার মাঝে দু'টো ভিন্ন স্বাদের উপহার আমার আনন্দে দিয়েছে নতুন মাত্রা। ব্লগার নিহন গতরাতে আমাকে গ্রামীনফোনের একটি ক্রাচ্ কার্ড উপাহার দেয়। আজ সকালে সাকিব নামের এক ছোটভাই আমাকে আইসক্রিম খাওয়ায়।
সব মিলিয়ে খুবই খুবই খুবই ভালো একটি দিন কাটালাম।
১৯৮৫ সালের এই দিনে আমার মায়ের বুক থেকে জগদ্দল পাথরটি নেমে যায়। কন্যাসন্তান জন্মদানের অপবাদ থেকে দায়মুক্তি ঘটে। ভাদ্রমাস ছিলো শুনেছি। সূর্য্য উঠার সাথে সাথেই নাকি আমার জন্ম হয়েছিলো।
প্রচুর রোদ পড়তো তখন। আমার জন্মের পরপরই বাবা বাজারে গিয়ে বাটা মাছ কিনে আনেন যেন আমার মায়ের বুকের দুধের পরিমান বেড়ে যায়। আমাদের গ্রামের বাজারের ৩টি হোটেলে মোট ১৫কেজি জিলাপী আর ১০ কেজি মিষ্টি অর্ডার দিয়েছিলেন। আর সেদিন নাকি আমার দাদা প্রথম আমার মায়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলেছিলেন।
জন্মক্ষনের উচ্ছাসের সাথে বর্তমান জীবন সমান্তরাল কিনা, এ বিষয়ে এখনও ভাবিনি।
তবে যে সোনার চামচ মুখে নিয়ে আমার জন্ম, তা যে এখন আর সোনা নেই- এতে আমার কোন সন্দেহ নেই।
তবুও ভালো আছি। অনেক ভালো।
সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।