তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
আজকে প্রথম আলোর হেডিং দেখেই মনটা খারাপ। একজন রাষ্ট্রপতি, উনার আবার ড: উপাধি আছে। উনার বিবিসাহবেরও জ্ঞান ব্যাপক। দুজনের টাকা পয়সার কমতি হওয়ার তো কথা নয়।
তারপরও এই গরীর দেশের খাল-বিল, পতিত জমির প্রতি উনাদের লোভ শেষ হয় না। । এই জমিতে নাকি ব্রিটিশ স্কুল হবে। বড়লোকের ছেলেমেয়েরা পড়বে। গালি দিয়েও মনটা শান্তি পায় না।
বেশ কয়েকমাস আগে দেখেছিলাম উনার ছেলেও নাকি সরকারি রাস্তার উপর সি.এন.জি স্টেশন বানাইছে। শিক্ষিত নামের দুর্গন্ধযুক্ত কিটগুলো দেশের কর্নধার হইছে। তোমাদের মরনের পরও ভুমি কিভাবে এক্সেপ্ট করে বুঝি না। ধিক তোমাদের।
নিজস্ব ভাবনা:
সেই ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সবার ব্যস্ততা দেখে নিজেকে অন্যরকমভাবে চিন্তা করে আসছি।
যেখানে ইন্টারের পর সবার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া। সেখানে পরিবারের অন্যান্য ডাক্তারের ব্যস্ততা, ক্যারিয়ারের সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার প্রতিযোগিতা দেখে মন কখনো সায় দেয়নি। সম্মানজনক একটা চাকরী করবো, দিনে ৯/১০ঘন্টা কাজ, সপ্তাহে দুইদিন ছুটি, বছরে একমাস কোথাও ঘুরতে যাওয়া। ইউরোপে আসার পর স্বপ্নটা আমাকে আরও বেশি প্রভাবিত করেছে। বেশ কয়েকমাস থেকে ব্যবসার জন্য ভাইয়ার পিড়াপিড়ি।
কি দরকার জিঞ্জেস করলে বলে সবাই কি রকম উপরে উঠে যাচ্ছে। আমি বলি উপরে উঠা কি খুবই দরকার। তুমি তো এখনই volkswagen গাড়ি চালাও। ইচ্ছে করলে মার্সিটিজ, বি.এম.ডব্লুউ চালাতে পারো। যারা উপরে উঠেছে ওদের পরিবারের দিকে একবার চেয়ে দেখেছো? এর থেকে যা আছো সেটা নিয়েই সুখি থাকো।
খেয়ে-দেয়ে বছরে একবার বউ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে যাচ্ছো। আর কি চাও?? দরকার কি এতো এতো টাকা দিয়ে যদি সুখটাই না থাকে।
অফিসে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এক হচ্ছে। সবার মাঝে চাপা উত্তেজনা। দুই-একজন এসে জিঞ্জেস করছে কিছু জানি নাকি? বল্লাম গত মিটিংয়ে ম্যানেজার বলেছিলো।
আমি এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেকদিকে বের করে দিয়েছি। আমার এসব জেনে লাভ নাই। কোম্পানি আছে লাভের ধান্ধায়। আমার তো একই কাজ করে যেতে হবে। এমন না যে মার্জ হলে আমার বেতন বাড়বে।
ইউনিট বস মার্জ উপলক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে পার্টি দিয়েছে। শেম্পেনের বোতলের ছড়াছড়ি থাকবে চারিদিকে। শালা ব্যাপক চালাক। পার্টি দিয়েছে উইকডে তে সকালে। তখন কেউই বেশি টানবে না।
তবে অন্যান্য খাবার ভালোই হবে আশা করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।