দুঃখটাকে দিলাম ছুটি, আসবে না ফিরে
ওর সাথে অনেকদিনই দেখা-সাক্ষাত নেই, ম্যাসেঞ্জারে মাঝে মধ্যে কথা হয়। বৃহস্পতিবারে এমন কথা হচ্ছিল। কথা প্রসংগে ও আসতে চাইল বাসায়। সবজি খাবে, সাদরে গৃহীত হলো।
বন্ধুটি ভীষণ রকমের একদিকধর্মী।
কোন কথা শুনতে চাই না, বাট তার কথা শুনতে হবে! এমন আজব লোক কমই আছে জগতে! অনেক দিন ঝগড়া ফ্যাসাদ হয় না, ভাবলাম ভালই হলো! একই ঝগড়া আমরা ঘুরে ফিরে করি। কোন সল্যুশন নেই। সল্যুশন আছে, তবে তাল গাছটা তার করে দিতে হবে। তো! বললেই হলো! এর আগে টানা দুই বছর তার সাথে কথা বন্ধ ছিল। বন্ধের হেতু আর কিছুই নয়, তার লেজ কাটা পড়েছিল সে এখন আমারও লেজ কাটবে।
এইসব ভন্ডামির আমি ধার ধারি! এরপর আবার রাগারাগি, তবে তা অল্প ক’দিনের। প্রতিবারই রাগটা বলা যায় সে-ই ভাঙ্গিয়েছে। হয়ত ঝগড়া করার লোক পায় না বলে।
জুমার নামাজের পর আসল। এসেই এটা সেটা শুরু হলো।
খাইতে দিলাম, সবজি আর রুই মাছ। সে ভাতের ব্যাপারে চাল নিরপেক্ষ, মোটা চিকন সবটারই নাকি একই স্বাদ। যাক, এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম। বেশ খেল মনে হলো। বাসায় ফুফু রান্না করেন, তাঁর রান্না আমি বেশ এনজয় করি।
সে বলে, যে লবণ বেশী খায় এবং যে লবণ কম খায় কেউই এই খাবারে আপত্তি করবে না। খাওয়া চলছে, আর পুরান সেই তর্ক। যে তর্কের কোন ইতি নেই। আজীব ব্যাপার, তুমি খাইতে আসছো... মেহমান মানুষ, মেহমানের মত থাক। তা না, দরজা আটকে তর্ক শুরু করবে।
সে নিজেই বলে, আমার বউ বেশিদিন আমার সাথে থাকবে না। আমি বলি, এক্কেবারে ঠিক কথা! এত এক্সট্রিমিজম নিয়ে চললে কেমনে থাকবে! আসরের আজান হলে মসজিদে গেলাম, প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেরী হয়েছে, তাতেও খোটা! যাই হোক, ওর অজান্তে এত কথা লিখলাম! জানলে আবার কি করে কে জানে!
বন্ধু দুর অজানায় চলে যাচ্ছে শীঘ্রই, ওর জন্য দোয়া রইল। নামাজ শেষে জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা তোমার ঘড়ি ৪০ মিনিট ফার্স্ট থাকে কেন? ও বলে কি! I am 40 minutes ahead from my country man!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।