যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
সাটার ফেলার ঘড়ঘড় শব্দটা থেমে গেলেও চুপ হয় না কথারা। যার কাছে গোপন তথ্য আছে সেই সাক্ষীকে রক্ষা করতে হয় যক্ষের ধনের মত। আল কায়েদা কি তার মেম্বারদের সাথে কৃত কম্যুনিকেশন সবাইকে দেখার ব্যবস্থা করে দেবে, উন্মুক্ত ওয়েব খুলে! কেউ যদি আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ করতে চায় - সে চাইবে বিশ্বস্ত ও নিদৃষ্ট একদল কর্মী। তাদের জন্য ওপেন ওয়েব নয়, তাদের তা দরকার হয় না।
দেশে মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননাকারী শক্তি বেশ জোড়ালোভাবেই বিদ্যমান।
তাদের আছে শক্ত অর্থনীতি, মিডিয়া আর ধর্ম। এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে যদি ভালো লেখকদের সময় নষ্ট হয় তবে তারা ভালো ভালো সাহিত্য কিভাবে করবেন! তার চেয়ে এমন একটা জায়গা চাই যেখানে তাদের কোন অস্তিত্বই নাই - লেখালেখির ক্ষেত্রে এই শর্ত কোন সাহিত্যিকই বোধহয় দেবেন না।
কিন্তু এই ভেবে অনেক ভালো লেখক আকৃষ্ট হয়েছে এবং সচলায়তনে তারা সাহিত্য করছেন। দেশ ও ব্লগ আলাদা চরিত্র বহন করে বলে এটা নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার সুযোগ নেই। ক্ষমতায়ন ও আদর্শবাদ প্রেক্ষিতে নবজন্মের সূচনা হয় যুগেযুগে - এ তদ্রুপই বৈকি।
সেখানে কোন ভিন্নমত নেই, সবাই ইউনিফর্মধারী। এটা হতেই পারে। এ প্রচলিত অনেক ধারার মতই একটা বটে। রাষ্ট্রে পালিত যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে লিখতে পারছেন নিঃসঙ্কোচে, কঠোরভাবে - তা সাহিত্য হয়, তা ভয়ংকরও হয় বটে, যেমন সরকার হয়তো ভেবেছে।
এইসব লেখকদের আচরণে একধরণের স্ববিরোধীতা রয়েছে; উদ্যোক্তাদের ক্ষমতার চর্চা রয়েছে যা মতামতের যৌক্তিক অবস্থানের চেয়ে প্রকৃত সুশীলিয় অবস্থানের পরিচয় দেয়।
যদিও মেরুদন্ড সোজা করে নির্দয়ভাবে রুদ্ধ বা ফিরিয়ে দেয় অন্যের প্রবেশ - কিন্তু বিকর্ষিত করে যৌক্তিক উচ্চারণের আহবান। বাঙালির তালগাছ নিজের বলে দাবী করার জেনেটিক ঐতিহ্য। আমরা যত সহজে মানুষকে আপন করে নেই, তত দ্রুতই তাকে আবার শক্র পরিগন্য করি। নিদৃষ্ট মতদ্বৈততার বিষয় গৌন করে দেয় মতৈক্যের ক্ষেত্রগুলো। অপর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণে আমরা সিদ্ধান্ত নেই এবং তাও তড়িঘড়ি।
এই অবস্থান আমাদের মজ্জাগত বলে আমরা খুব সহজে অপছন্দকে বাতিল করে দেই, মুখোমুখি অবস্থানের চেয়ে ছায়া মারাতেও অনিচ্ছুক প্রথা আমাদের সামাজিক, রাষ্ট্রীক সর্বক্ষেত্রের কালচার। ফোকাস কেবল হারিয়ে যায়।
নিজেদের শক্তি খর্ব করি। ঐ প্লাটফর্মের লোক এই প্লাটফর্মের বিপদে উল্লসিত, এই প্লাটফর্মের লোক তেমনই তাদের বিপদে মিলাদ দেয়। কিন্তু এই উল্লাস যে একদমই ক্ষণিকের বুঝতে দেরী হয় না সচলায়তনের উপর খড়গ নেমে আসায়।
অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে মিলিতভাবেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।