দ্য কাপালিক ইজ ব্যাক
ফিলিপাইন দেশটা সম্বন্ধে আমার ধারনা ছিল এইটুকুই যে যেকোন চ্যাটরুমে ঢুকলে অসংখ্য ফিলিপিনো মেয়ের দেখা পাওয়া যায়, এবং এদের সাথে জমানো যায় খুব সহজে। কিন্তু এরা আসলে কি বস্তু সে সম্বন্ধে বিস্তারিত তেমন কোন ধারনা ছিল না। কাতারে এসে দেখি এদের সংখ্যা অগনিত। ফরসা, ছোট-খাট সাইজ, চেহারা চাইনিজদের মতো। ভীষণ স্মার্ট এবং শিক্ষিত।
নিজস্ব ভাষা ফিলিপিনা হলেও ইংরেজিতেও এরা সমানভাবে পারদর্শী। এদেশের যতো ভালো ভালো শো-রুম আছে সেগুলোর সেলসম্যান সব ফিলিপিনো। হেভি ট্রাক এবং লরীর ড্রাইভারও আছে কিছু কিছু। পাবলিক বাসের ড্রাইভার প্রায় সবই ফিলিপিনো।
এদের জীবনযাত্রা ইউরোপীয় ধাঁচের - ফ্রি স্টাইলের।
ধর্ম খ্রিষ্টান। ছেলে-মেয়ে দুই-ই এখানে সমানভাবে উপস্থিত। এদের ইনকামের রেঞ্জটা মোটামুটি ৩-৪ হাজার রিয়েলের মধ্যে। ভারতীয় উপমহাদেশের লোকজন যেখানে ২-৪ 'শ রিয়েল সিট ভাড়া দিয়ে পুরনো আমলের ভাঙা একতলা বাড়ীতে কোন মতে গাদাগাদি করে থাকে, সেখানে এরা কয়েকজন মিলে আস্ত একটা দুপ্লেক্স ভিলা ভাড়া নিয়ে নেয়। অনেক সময় একই ফ্ল্যাটে ছেলে-মেয়ে সব একসাথে থাকে।
যা আয় করে তা এদেশেই শেষ। ভবিষ্যতের চিন্তা তেমন একটা নেই। চাকরী জোগাড় করা এদের জন্য কোন ঘটনাই না, এদেশে না হলে অন্য কোন দেশে। ভদ্র এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় সবাই এদের পছন্দ করে। সারা পৃথিবীতেই এরা এখন সমানভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
এরা যে কখন সঙ্গী বদল করে তার কোন ঠিক নেই। পরস্পরের উপর বিশ্বাস এদের একদম কম। আমার এক ফিলিপিনো বন্ধু, নাম এলপিডিও, বয়স ৩৮, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার - এখনো সে বিয়েই করেনি। কবে করবে তারও কোন ঠিক নেই। বেচারা তার সর্বশেষ গার্লফ্রেন্ড নিয়ে খুবই হতাশ।
সে একদিন গার্লফ্রেন্ডকে ফোন করে জানতে পারে সে বাসায়ই আছে। অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাসায় ফেরার সময় দেখে আরেক ছেলের সাথে এক রেস্টুরেন্ট থেকে বের হচ্ছে। সুতরাং ঝগড়া এবং সম্পর্কচ্ছেদ। বিরক্ত হয়ে নারীসঙ্গই ছেড়ে দিয়েছে। এখন সে Gay।
পোষ্টের সব ছবি এখানে।
কাতার সমন্ধে আরো পোষ্ট এখানে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।