পাখি পর্ব চলছে
এই ছবিটি কিংবদন্তীর শিল্পী এস.এম.সুলতান এর। সুলতানকে নিয়ে বেশ একটা বিতর্ক আছে। কেন বলুন তো?
আমাদের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি কিন্তু ঔপনিবেশিক ধারার। এটা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। এই শিক্ষা ধারার ছাত্র যারা তাদের বরাবরই শিক্ষা দেয়া হয় যা কিছু ভালো তার সবই উচ্চ শ্রেণীর।
এই শ্রেণীর মানুষ যা করে তাই ভালো। তারাই কবিতা লিখবে, ছবি আঁকবে, গান বাজনা করবে, খেলাধুলা করবে। অন্যরাও করতে পারে কিন্তু তা উচ্চ শ্রেণীর মানুষদের মতো ভালো বা মার্গিয় নয়। একারণেই আমাদের সংস্কৃতিতে লোকায়ত একটা ধারার বা লোকসংস্কৃতির কথা বলা হয়ে থাকে। অবশ্য পৃথিবীর সব সংস্কৃতিতেই লোকসংস্কৃতির অস্বিত্ব রয়েছে।
এর কারণ ওই একই।
সুলতান ছবি আঁকতে এসেছিলেন একেবারে গ্রাম থেকে। কিন্তু নিজ প্রতিভাগুনে তিনি উচ্চ শ্রেণীর কারো কারো নজরে পড়ে যান। তারই তাকে লেখা পড়া করান একটা দীর্ঘ সময়। এক পর্যায়ে তিনি লেখা পড়াতে ইতি টেনে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন।
যখন ফিরে আসেন তখন এদেশে তার সতীর্থ বা বয়সে ছোট অনেকই ছবি এঁকে বিখ্যাত হয়েগেছেন। লক্ষ্য করবেন বাংলাদেশে বর্তমানে যাদের অগ্রজ শিল্পীর সম্মান দেয়া হয় তাদের প্রায় সবাই কিন্তু বড় লোকের সন্তান। সুতরাং তারা সুলতানকে তাদের দলে যায়গা দিতে চাইলেন না। দীর্ঘদিন তিনি এলিট শ্রেণীর বাইরে থাকলেন। একসময় চলেগেলেন গ্রামে।
সেখানেই তিনি ছবি আঁকতে থাকলেন। নানান ঘটনার পরে অধ্যাপক আঃ রাজ্জাক, আহমদ ছফা তাকে সাপোর্ট দিলেন। এক সময় সুলতান বেশ বড় একটি সম্মানীত সরকারী পদ পেলেন। কিন্তু তার সমসাময়িক শিল্পীদের একটা বড় অংশ তার প্রতি সদয় হল না। যেটা এখনো অনেক জীবিত বয়স্য শিল্পীর (তার সমসাময়িক) মধ্যেই রয়েছে।
এই বিতর্কের মধ্যে রয়েছে লন্ডনে তার প্রদর্শনী না হওয়া ইত্যাদি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।