http://www.paybox.me/r/rihan
মশিউর নিজেও জানে না গত কয়েকদিন ধরে তার কি হয়েছে, কিছুই ভালো লাগছে না তার, সব কিছু কেমন যেন পানসে লাগতে শুরু করেছে, যে মশিউরের চোখে প্রাণময় একটা ব্যাপার সবসময়ই খেলা করতো, যার কথায় আশাপাশের যে কোন মানুষই মুহুর্তেই প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো সে মশিউরের চোখের দিকেই এখন তাকানো যাচ্ছে না, তার চোখ জুড়েই কেমন যেন একটা বিষাদ ঘুরে ফিরে খেলা করছে। গত কয়েকদিন ধরে মশিউর ভার্সিটিও ঠিক মতো যাচ্ছে না। সবাইকে সে বলছে যে তার শরীর খারাপ। আসলে তার শরীরে কোন সমস্যা না, সেটা অবশ্য মশিউরও জানে। কিন্তু তার সমস্যাটা যে কোথায় তাই সে ধরতে পারছে না।
ঘুমও ঠিক মতো হচ্ছে না ইদানিং, গত দুই রাত সে একটুও ঘুমাতে পারেনি। শুধু বিছানার এপাশ ওপাশ করেছে। ঘুম না হওয়ার প্রতিক্রিয়াও তার চোখে মুখে স্পষ্ট। চেহারা ভেঙ্গে যেতে শুরু করেছে, চোখের নীচে পুরু কালো স্তরটাও স্পষ্ট। সে দিকেও তার কোন মাথা ব্যাথা নেই।
সারাদিনই এখন সে তার রুমে বসে থাকে। রুমের দরজা বন্ধ থাকে সবসময়। কেউ এসে দরজায় টোকা দিলে সে যথেষ্টই বিরক্ত বোধ করে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও তখন তাকে দরজা খুলে দিতে হয়। যেমন আজ সকালে মা এসে দরজায় টোকা দিয়েছেন। সে প্রবল বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলে দিলো।
মশিউরকে দেখেই তার মা পুরো চমকে গেলেন। এ কি অবস্থা তার ছেলের। পুরো ব্যাপারটা নিয়ে মশিউরকে শেষে তার মার কাছেও মিথ্যে বলতে হয়েছে। মা মশিউরের মাথায় হাতটা রেখে জিজ্ঞেস করলেন তার সমস্যাটা কোথায়--- ঠিক মতো কারো সাথে কথা বলছে না, ভার্সিটি যাচ্ছে না, চেহারার মধ্যে কেমন রুক্ষ ভাব, কারণ কি এসবের। মশিউর বলেছে তার নাকি টার্ম ফাইনাল সামনে, এখন ভার্সিটি বন্ধ, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে সে খুবই ব্যস্ত, তাই রাত জেগে পড়াশোনা করছে, কারো সাথে কথাবার্তা বলার তেমন একটা সুযোগ হচ্ছে না।
যদিও তার এসব কথায় মা খুব একটা আশ্বস্ত হননি। তিনি তার ছেলেকে চিনেন। এতো পড়ুয়া ছেলে মশিউর না, তাছাড়া অন্যান্য বারও তো সে পরীক্ষা দিয়েছে, কই তখন তো এমন বেহাল অবস্থা হয়নি মশিউরের-- নিজের মনে মনেই তা ভাবতে ভাবতে শেষে আর কোন কথা বার্তা না বাড়িয়েই মশিউরের রুম থেকে চলে এসেছেন তিনি।
আজও মশিউর ভার্সিটি যায়নি। সকালে ঘুম থেকে উঠেছে সে ১১টার দিকে, ঘুম থেকে উঠেছে না বলে বলা ভালো বিছানা থেকে উঠেছে।
গতরাতে তার ঘুম হয়নি। ভোর রাতের দিকে চোখটা একটু লেগে এসেছিলো, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সে ঘুম ভেঙ্গে গেলো, এরপর আর ঘুম আসে নি। মা এসেছিলেন ৯টার দিকে, তার সাথে কথা-টথা বলে আবারও কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলো সে বিছানায়। পরে বিছানা থেকে উঠে গিয়ে চুপচাপ নাস্তাটা কোন রকমে সেরেই আবার নিজের রুমে ফিরে এসেছে মশিউর।
সে এখন বসে আছে তার রুমের বিশাল বিছানাটার উপর।
তার দুপা দুই দিকে ছড়ানো, পিঠটা একটু কুঁজো হয়ে আছে। সে এক দৃষ্টিতে তার রুমের সিলিং ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে আছে। তাকে দেখলে মনে হবে যেন সিলিং ফ্যানটা মাথার উপর ঘোরা জগতের বিশাল একটা রহস্য, আর সে গভীর মনযোগ দিয়ে সে রহস্য উদঘাটন করতে নেমেছে। এমন সময় তার মোবাইলটা বেজে উঠলো। নীরা ফোন করেছে, স্ক্রিনে তার নামটা দেখেই মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলো মশিউর, নীরা মশিউরের সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের একজন, গত চার পাঁছ বছর ধরেই তারা দুইজন দুইজনের খুব ভালো বন্ধু, কাজেই নীরার ফোন পেয়ে সেই ফোনকে অগ্রাহ্য করা কোনভাবেই মশিউরের উচিৎ হচ্ছে না।
ফোন বেজেই চলেছে, অথচ সে ফোন ধরছে না। গত কিছুদিন ধরে আচরণগত যে পরিবর্তংগুলো এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো নিজের কাছের এবং প্রিয় মানুষগুলোকে মশিউর ক্রমাগত avoid করে চলেছে। তাকে ক্লাসে আসতে না দেখে অনেক বন্ধু বান্ধবই মশিউরকে ফোন দিয়েছে। মশিউর বাধ্য হয়ে কারো কারো ফোন ধরেছে এবং অবলীলায় বলে দিয়েছে যে তার শরীর খারাপ। কিন্তু এখন নীরাকে সে কি বলবে তাই সে বুঝতে পারছে না।
নীরা যেভাবে ক্রমাগত ফোন দিয়ে চলেছে তাতে করে তার ফোন ধরা ছাড়া অন্য কোন উপায় নাই। শেষে মশিউর বাধ্য হয়েই নীরার ফোন ধরলো। ফোন করতে করতে বিরক্ত হয়ে যাওয়া নীরা মশিউরের হ্যালো শুনেই কটমট করে বললো, "কি রে শালা, ফোন ধরোস না কেন? তোর কি গায়ে লাগে না আমি যে ফোন করি? নাকি কানের দুইটা ছিদ্রিই বন্ধ হয়ে গেছে? ব্যাপার কোনটা?"
মশিউর ভাবলেশহীনভাবে জবাব দিলো, "কোন ব্যাপার নাই। "
নীরা বললো," কোন ব্যাপার না হলে নবাবের মতো ঘরে বসে আছিস কেন? ভার্সিটিতে আসা বন্ধ করলি কেন? না কি ঘরের মধ্যে মহাজাগতিক কোন ধ্যানে লিপ্ত আছেন আপনি, ঘর থেকে বের হলেই আপনার ধ্যানে ব্যাঘাত ঘটবে" , নীরার এই এক সমস্যা, বেশী রেগে গেলে আপন পর নির্বিশেষ সবাইকে সে আপনি বলতে আরম্ভ করে।
মশিউর যথারীতি ভাবলেশহীনভাবেই বললো, "কি বলতে ফোন করেছিস বল্, এতো কথা বাড়াচ্ছিস কেন?"
নীরা বললো, "বাহ্, আমি কথা বাড়াচ্ছি, না?"
অবশ্যই কথা বাড়াচ্ছিস এবং আমাকে প্রচন্ড বিরক্তও করছিস।
"কি বললি তুই, আমি তোকে বিরক্ত করছি?"
"হ্যাঁ করছিস, তুই তাড়াটাড়ি ফোনটা রেখে দিলে আমি খুবই খুশি হবো। "
মশিউরের এই কথা শুনে নীরা হতবম্ব হয়ে গেলো। এরকম আচরণ মশিউর আগে কখনোই করেনি তার সাথে। নীরা কি করবে বুঝতে পারছে না। মশিউরকে কেমন যেন অস্বাভাবিক লাগছে তার কাছে।
শেষে আর কোন কথা না বাড়িয়ে নীরা ফোনের লাইন কেটে দিলো। মশিউর ফোনটা বিছানায় রেখে পুনরায় সিলিং ফ্যানের দিকে মনযোগ দিলো।
এভাবেই দিন কাটতে লাগলো। সপ্তাহ ঘুরে মাসও চলে যেতে লাগলো। একসময় বাড়ির বাইরে যাওয়া একদমই বন্ধ করে দিলো মশিউর।
ভার্সিটির টার্মগুলোও ড্রপ হয়ে যেতে লাগলো এরই মধ্যে। রুমের বাইরে আসাও সে কম বেশী বন্ধ করে দিলো। এমনকি খাওয়া দাওয়ার জন্যও সে রুমের বাইরে আসতো না। ছেলের এই অবস্থা দেখে মা মশিউরের খাওয়া দাওয়া তার রুমেই পাঠিয়ে দিতে শুরু করলেন। কিন্তু খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে মশিউরের তেমন কোন আগ্রহই দেখা যেতো না।
এমনও অনেক দিন গিয়েছে--খাবারগুলো বাঁশি হয়ে পঁচে যাওয়ায় মশিউরের পুরো রুমটা জুড়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ মশিউরের কোন খবর নাই। না খেতে না খেতে মশিউরের শরীর স্বাস্থ্যও ভেঙ্গে যেতে আরম্ভ করলো। যে মশিউরের চুল সবসময় আর্মিদের মতো ছোট ছোট করে কাটা থাকতো, সেই চুল বেড়ে বেড়ে তার কাঁধ পর্যন্ত নেমে আসলো। মুখে দাঁড়ি গোঁফ জমতে জমতে একসময় ছোট-খাটো একটা জংগলের মতো হয়ে গেলো সেখানে।
কিন্তু সেদিকে তার কোন খেয়ালই ছিলো না। একটা কাজই শুধু সে করতো সারাদিনে , সেটা হলো নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে বিছানার ঠিক মাঝখানটাতে নামায পড়ার ভঙ্গিটার মতো হাঁটু মুড়ে শরীরটাকে টান টান করে রুমের সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকা। রুমে কেউ আসার অনুমতি চাইলে সে দরজা খুলে দিতো ঠিকই, কিন্তু আগত ব্যাক্তির সাথে কোন রকম কথাবার্তা না বলেই সে আবার তার আগের অবস্থানে ফিরে যেত। এরকম অবস্থা দেখে মশিউরের বাবা, মা থেকে শুরু করে ঘরের অন্যান্য লোকজন, কাজের লোক সবাই খুব ভয় পেতো প্রথম প্রথম। পরে অবশ্য ব্যাপারাটা সবার সহ্যের পর্যায়ে চলে যায়, যদিও মাঝে মধ্যেই মশিউরের মা দুকূল ভাসিয়ে কান্নাকাটি করতেন যেহেতু মশিউর তার একমাত্র সন্তান এবং তার এই অবস্থা তিনি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না।
মশিউরের বাবা ছেলের এই উদ্ভট কর্মকান্ডের কোন মাথামুন্ডু খুঁজে না পেয়ে শেষে একদিন মশিউরকে চরম জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন যদিও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি, কারণ বাবার কোন প্রশ্নের জবাবই মশিউর দেয়নি, শুধু ফ্যালফ্যাল করে কিছুক্ষণ বাবার দিকে চেয়ে থেকে আবার সিলিংয়ের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে ছিলো। শেষের দিকে মশিউর সবার সাথে এমনই করতো, কেউ কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলেই সে তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকতো। যদিও প্রথম দিকে মাঝে সাঝে সে কিছু কিছু ফোন রিসিভ করতো, পরে পরে সে সেটা করাও বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে তার শরীর শুকাতে শুকাতে এমনই রুগ্ন অবস্থা ধারণ করে যে মশিউরকে দেখলে মনেই হতো না যে আদৌ সে কোনদিন মানুষের অবয়ব নিয়ে পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করেছিলো কিনা। কিন্তু আশ্চর্য্যের ব্যাপার এই যে এই অবস্থাতেও তাকে কোনভাবেই দুর্বল মনে হতো না।
কিংবা ক্রমাগত খাওয়া দাওয়া না করা সত্ত্বেও তাকে বেঁচে থাকার কিংবা অস্তিত্বের সংকটে ভুগতে হয়নি। যাই হোক, সময়ের সাথে সাথে মশিউরের কর্মকান্ডেও কিছু পরিবর্তন আসে। শেষের দিকে যেটা হতো তা হলো সে তার বিছানার ঠিক মাঝখানটাতে ঠায় দাঁড়িয়ে দুই হাত দুই দিকে দিয়ে ঘাড়টাকে পিছনের দিকে কাত করে মুখটাকে সিলিংয়ের বরাবর এনে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। মাঝে মধ্যেই মশিউর তার রুমের দরজা বন্ধ করতে ভুলে যেতো। তখন তার এই ধরনের কান্ড দেখে বাসার লোকজন রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে যেতো।
মশিউরের বাবা অনেক চেষ্টা করলেন তাকে একজন সাইকোলজিস্টের কাছে নেয়ার জন্য। মশিউর বাবার সেই আহবানে কোন সাড়াই দিলো না। মা অনেক চেষ্টা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকমের পানি পড়া আনিয়ে মশিউরকে খাওয়ানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু তাতেও কোন লাভ হলো না। মশিউরকে দেখলে মনেই হতো না যে আদৌ কারো কথা তার কানে যাচ্ছে। সে পড়ে থাকতো তার আপন ভুবনে।
এভাবে প্রায় বছর খানেকের মতো চলে গেলো। মশিউরের রুমের দিকেও কেউ আর ভয়ে যেতো না। মাঝে সাঝে তার রুমের দরজাটা যখন খোলা থাকতো , যে যেভাবে পারতো দরজাটা বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করতো। এভাবে দিন কাটতে লাগলো। একদিন সকাল বেলা মশিউরের মা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামায শেষ করে মশিউরের রুমের দিকে আসলেন।
তিনি দেখলেন যে রুমের দরজা খোলা। অন্য সবার মতো তিনিও রুমের দরজাটা বন্ধ করার জন্য দরজাটার একদম কাছে আসলেন। এসেই তিনি একটা চিৎকার দিলেন। তিনি নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারলেন না যে তিনি কি দেখেছেন। তার চিৎকার চেঁচামিতে ঘরের সবাই উঠে আসলো।
সবাই দেখলো--মশিউরের ঘরের মেঝেতে তার কাপড় চোপড় এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে, ঘরের জিনিসপত্রও সব ছড়ানো ছিটানো। আর তার বিছানার উপর জগতের সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ঘটনাটা ঘটেছে। বিছানাটার বালিশ, জাজিম, তোশখ সব মাটিতে পড়ে আছে, আর বিছানাটার মাঝের তক্তাটা থেকে আপাত বিশাল এক শেকড় গজিয়ে অতি অদ্ভুত প্রজাতির একটা বৃক্ষ রুমের সিলিংয়ের মাথাটা ছুঁই ছুঁই করে খাটটার ঠিক মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে আছে।
এই দৃশ্য দেখার কিছুক্ষণের মধ্যেই মশিউরের মা জ্ঞান হারান। বাসার কাজের লোকগুলো সবাই প্রচন্ড ভয়ে পেয়ে তৎক্ষনাৎ বাসা ছেড়ে চলে যায়।
ইতিমধ্যে মশিউরের মার মাথায় অনেক পানি টানি ঢলার পর তার জ্ঞান ফিরে আসে। মশিউরের বাবা সেদিন বাইরের কাউকেই কিছু জানালেন না। সারাদিনই তিনি কিছু একটা চিন্তা করলেন। তারপর রাতে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি অ্যাপার্টমেন্টটা বিক্রি করে দিবেন। তার সিদ্ধান্ত মতো পরের দিন গভীর রাতের দিকে কাঠের কাজ করে এমন কিছু লোক এসে মশিউরের রুম থেকে সেই গাছটাসহ পুরো খাটটাকে তুলে নিয়ে চলে গেলো।
লোকগুলো প্রথমে পুরো ব্যাপারটা কিছুটা বুঝতে পেরে খাটটা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে মশিউরের বাবা তাদেরকে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে খাটটাকে তাদের কাছে দিয়ে দেন এবং পুরো ব্যাপারটা একদমই চেপে যাওয়ার জন্য তাদেরকে আরো কিছু মোটা অংকের টাকা ধরিয়ে দেন। এর করেক সপ্তাহ পরেই তিনি মোফাজ্জল হোসেন নামক ৩২/৩৩ বছর বয়সের সদ্য বিদেশ ফেরত এক ব্যবসায়ীর কাছে অ্যাপার্টমেন্টটা বিক্রি করে দেন এবং শেষে মশিউরের মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান।
এই ঘটনার প্রায় বিশ বছর পরে ঐ অ্যাপার্টমেন্টটার ঐ রুমেই হুবুহু একই রকমের ঘটনা ঘটে। মোফাজ্জল হোসেনের ছোট ছেলে জামান মশিউরের রুমটাতেই থাকতো।
একসময় তার অবস্থাও মশিউরের মতোই হতে শুরু করে। মশিউরের মতোই ধীরে ধীরে সে স্বাভাবিক মানুষের জীবনযাত্রা থেকে পুরোপুরিই সরে আসে এবং শেষে একদিন সকাল বেলা বিশ বছর আগের সেই ঘটনার পুনারিবৃত্তি ঘটিয়ে জামানও মশিউরের মতো এক অতি অদ্ভুত প্রজাতির বৃক্ষে রুপান্তরিত হয়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।