যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
খবরে জানা গেল - জি ৮ সম্মেলনের আয়োজক জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়াসুও ফুকুদা সোমবার সারা রাত আলোচনার পর মঙ্গলবার এ চুক্তির কথা ঘোষণা করেন। সেই চুক্তি অনুসারে ২০৫০ সালের মধ্যে জি ৮ দেশগুলো কার্বন ইমিশন ৫০% কমাবে।
জি ৮ ভুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান এবং রাশিয়ার শীর্ষ নেতারা ছাড়াও আরো ১৫টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এতে অংশ নিয়েছেন।
জি ৮ শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করার লক্ষ্যে ২০৫০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ৫০ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তারা জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ২০০টি দেশের সঙ্গে আলোচনা করার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।
কর্পোরেট স্বার্থের ধারক-বাহক কানাডার সরকার দ্রুত এই খবর প্রচার করে নিজেদের জাহির করার চেষ্টা করছে।
কানাডার পরিবেশ মন্ত্রী হাস্যমুখে টিভির সামনে দাড়িয়ে বলছে - এইটা একটা বিরাট ব্যাপর যে আমরা একটা "মেজর ব্রেকথ্রু" পেয়েছি।
কথা যখন বলছিলো তখন মনে হচ্ছিলো ওর বসকে বিরাট ধরনের আনন্দ দিতে পেরেছে এই মন্ত্রী মহোদয়।
সমস্যাটা হলো - অর্থনীতিতে দ্রুত বর্ধনশীল ভারত ও চীন তাদের কার্বন ইমিশন দ্রুততার সাথে বাড়িয়ে চলছে। আর জি আট তাদের সকল শিল্প কারখানা আগামী দশকের মধ্যে ভারত, চীন সহ উন্নয়নশীল দেশে পাঠিয়ে দেবে। এতে তাদের কোন ধরনের পদক্ষেপ ছাড়াই কার্বন ইমিশন কমে যাবে।
দ্বিতীয়ত আজকের কার্বন ইমিশনের মাত্রা নিয়ে বিরাট বিতর্ক আছে। জি ৮ এর সরকারগুলো এখনও একটা সুনির্দিষ্ট মাত্রাকে মেনে নেয়নি। সুতরাং যে দৌড় প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে - তার সুরু কোথা থেকে হবে তা নির্ধারন না করেই নিজেদের বিজয়ী ঘোষনার একটা চালাকি করেছে।
পৃথিবীকে পরিবেশগত বিপর্যয় থেকে রক্ষার লক্ষ্যে এই ভন্ডমী থেকে মুক্তি অবশ্যই জরুরী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।