বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
আলোর ভিতরে থেকে থেকে উপলব্ধি করি অন্ধকার। ধুলি জমা কবিতার খাতাটা খুলে দেখি অনেকদিন পর। দেখি সাজানো অক্ষরগুলো। ধুলো জমা বুকসেলফটাতে রাখা কবিতার বই। এক এক করে পৃষ্টা খুলে বসি।
তারপর অবাক হয়ে দেখি পাখির মতো শব্দরা বসে আছে বাক্যের টেলিগ্রাফ লাইনে। নিজের বোধটাকে নাড়িয়ে দেয় সেইসব শব্দমালা। রাতের নিস্তব্ধতাকে থমকে দিয়ে জোরে জোরে বলে ফেলি-
আলো-অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে!
স্বপ্ন নয়-শান্তি নয়- ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি পারি না তারে এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ মনে হয়, পন্ড মনে হয়,
সব চিন্তা- প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়।
(বোধ- জীবনানন্দ দাশ, ধূসর পান্ডলিপি)
তারপর আমি সেই বোধটা নিয়ে ভাবতে থাকি। অনেক কিছু শূন্য হয়ে উঠার বিনিময়ে পাওয়া বোধটা নতুন হয়ে ধরা দেয় আমার কাছে।
একটা কথা খুঁজে ফিরি। কিংবা হয়তো এমন কিছু কথা শুনতে চাই যার জন্য প্রতীক্ষায় আছি অনেকটা সময় ধরে। এই সমযটাকে বাধতে পারি না মাস বছর, দিনের হিসাবে।
তারপর...............আবার বলতে থাকি.....
আমাকে একটি কথা দাও যা আকাশের মতো
সহজ মহৎ বিশাল,
গভীর-সমস্ত ক্লান্ত হতাহত গৃহবলিভুকদের রক্তে
মলিন ইতিহাসের অন্তর ধুয়ে চেনা হাতের মতন :
আমি যাকে আবহমান কাল ভালোবেসে এসেছি সেই নারীর।
সেই রাত্রির নক্ষাত্রালোকিত নিবিড় বাতাসের মতো;
সেই দিনের- আলোর অন্তহীন এঞ্জিন-চঞ্চল ডানার মতন
সেই উজ্জ্বল পাখিনীর-পাখির সমস্ত পিপাসাকে যে
অগ্নির মতো প্রদীপ্ত রেখে অন্তিমশরীরিণী মোমের মতন।
(আমাকে একটি কথা দাও- জীবনানন্দ দাশ, বেলা অবেলা কালবেলা)
আমি আজও তাই কথা খুঁজে ফিরি নক্ষত্রের রাতে ........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।