maanush84@yahoo.co.uk
পঁচিশ নম্বর প্রলাপ লিখিতে লিখিতে মানু ভাবিল, যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, তখন দেখিয়া লইব কিরুপে তোমরা আমাকে বাটে ফেলিতে পারো। শৈশব হইতে অদ্যবধি সে নানারুপে বাটে পড়িয়া আসিতেছে। অদ্য রজনীতে তাহারই এক খানা প্রচার করিব।
একদা বাল্যকালে স্বীয় মতৃদেবীর রন্ধনকৃত চর্ব চোষ্য ভক্ষন করিতে গিয়া সে আবিস্কার করিল তাহার জিহ্বায় আগুন ধরিয়া গিয়াছে। আমি চিনি গো চিনি চাই বলিয়া চিৎকার করিয়া উঠিলে মাতৃদেবি জিজ্ঞাসিলেন, “শ্বশুরালয়ে গমন করিলে শ্যালিকাবৃন্দ যখন শরবতে লংকার গুড়ো মিশাইয়া দিবে কিংবা পঞ্চব্যাঞ্জনে মাত্রাতিরিক্ত ঝাল হইবে তখন তুমি কিরুপে উহা গলধকরণ করিবে? এই বেলা প্র্যাকটিস করিয়া লও”
“শ্যালিকা রহিয়াছে এমন কোথাও আমি বিবাহই করিব না।
আর বিবাহের সময় দেখিয়া লইব শ্বশুরালয়ের সকলেরই যেন গ্যাষ্ট্রিক থাকে। তাহা হইলে উহাদের ব্যাঞ্জনে লংকার লংকা কান্ড থাকিবে না” মানু’র তাৎক্ষনিক উত্তর।
হতভাগা জানিল না সে কোন বাটে পড়িল। মাতৃদেবি দেবি বটে তবে এই ক্ষনে তিনি দেবি দূর্গা হইতে সাক্ষাত কালি রুপ ধারণ করিলেন। তৎকালে মোবাইল আবিস্কৃত হয় নাই।
সূতরাং পত্র মারফত তিনি পরিচিত, অর্ধপরিচিত, প্রায় অপরিচিত সকল প্রকার আত্মীয় স্বজনের নিকট নিজ জৌষ্ঠ পুত্রের বিবাহ সংক্রান্ত শর্তাবলি আপন মনের মাধুরি মিশাইয়া আড়ম্বরের সহিত প্রচার করিতে লাগিলেন। আর যাই কোথা। মানু যাকে বলে একেবারে মোক্ষম বাটে পড়িল। তৎপরবর্তি দীর্ঘ লজ্জাজনক অধ্যায় লিখিতে চাহিলে রবি’দাকে কম্পু মেশিনের সম্মুখে আনিতে হইবে। সেই বাট হইতে মানু’র অদ্যবধি মুক্তি মিলে নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।