কাব্য-দিনের কথাঃ স্পর্শের আগুনে! অন্যদিগন্ত: www.fazleelahi.com
লিখিনা বহুদিন। বিতৃষ্ণ মনের সাথে বুঝাপড়া করেছি অনেক। কোথায় লিখবো, কাদের জন্য লিখবো, কেন লিখবো,,,,ইত্যাদি ,,,,ইত্যাদি। অবশেষে এই ভেবে আবারো কলম তুলে নিলাম যে, সবকিছুর পূর্বসত্য এই যে, আমি পৃথিবীর পথে ক'দিনের পথিক। আমাকে আমার দায়িত্ব হোক, অবদান হোক অথবা পথচলার নিদর্শন হোক; কিছু না কিছু রেখে যেতে হবে।
তাই আবারো শুরু করছি পথে পথে পদচিহ্ন আঁকা.....
রাজনীতি নিয়ে আগে খুব একটা মাথা ঘামাইনি, চেষ্টা করেছি দূরে দূরে থাকতে। কিন্তু বাস্তব আর ভার্চুয়াল মিথ্যাচার দেখে দেখে অতিষ্ট এখন ভাবছে এ বিষয়টি নিয়েও নিজের মতামতগুলো তুলে ধরবে। সেই থেকে এ "রাজনীতি" নামক বিভাগ।
গতকালের বিবিসি বাংলা সংবাদে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাধা হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করে বলেন:
"...........জরুরী আইন প্রত্যাহার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা, তার হত্যার বিচার সমাপ্ত করা, চার নেতার বিচার সমাপ্ত করাসহ আরো যে যে বিষয়গুলোকে আমরা অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বাধা হিসেবে আমরা মনে করবো, সেই প্রশ্নগুলো আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে উত্থাপন করব। "
বিবিসি বাংলা সংবাদ, পরিক্রমা, ১৪ জুন ২০০৮
দৃষ্টি দেয়ার বিষয় হচ্ছে যে, প্রথমতঃ এটি একটি অনির্বাচিত সরকার।
এর সরকারের প্রধানতম দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। একথা আওয়ামী লীগ যেমন জানে ও বহুবার বলেছেও তেমনি অন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও পরিস্কার। তথাপে দেশে বিদেশে এ সরকার তার ক্ষমতা বহির্ভূত বহু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে; যা দেশের জনগণ পূর্বের সরকারগুলোর দ্বারা ঘটতে দেয়নি।
তাহলে নিজেদের স্বীকৃত ও ঘোষিত এমন একটি সরকারের কাছে এমনসব দাবী করছে আওয়ামী লীগ যা করা উচিত একটি নির্বাচিত সরকারের নিকট; এর মাধ্যমে কি অবচেতনায় আওয়ামী নেতা তোফায়েল তাদের সে উক্তিকেই তাজা করছে না যে, "এ সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল"?
পরন্তু, একটি "অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন"-এর বাধা হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শেখ মুজিব হত্যার বিচার ও চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন করা কিভাবে যুক্তিযুক্ত তা এক বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রকারান্তরে তারা কি এর সরকারের সাথে এ ব্যাপারে চুক্তি বদ্ধ যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শেখমুজিবের হত্যার বিচার ও চার নেতার হত্যার বিচারের নামে বাকশালীয় পন্থাকে সংস্কার করে নির্বাচন পূর্ব বিজয় নিশ্চিত করে একটি সাজানো নির্বাচন দিতে চাইছে?
যে দেশে একজন আসামীর সাথে স্বয়ং সরকার প্রধান ফোনালাপ করে নিজের গরজে, যে দেশে একজন আসামীর সাথে সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের লোকেরা নিজ গরজে আসামীর বাসায় গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মিটিং করতে পারে, যে দেশের একজন আসামীর বিদেশ গমনের পর সংশ্লিষ্ট দেশে দায়িত্ব পালনরত রাষ্ট্রদূত অভ্যর্থনা জানাতে আসে, সে দেশের জনগণ কতটা গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার তা এখন সাধারণের কাছেও পরিস্কার হতে শুরু করেছে।
আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে জনগণ এখন দারুন এক অন্ধকারে নিমজ্জিত। আমরা জানিনা এ অন্ধকার পেরিয়ে যে দিনের আলোর সূচনা হবে, তা কি হবে এদেশবাসীর জন্য কল্যাণের?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।