যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মেধাবী ছাত্র শাশ্বত সত্য প্রাণঘাতী রিউমেটয়েড আর্থারাইটিসে আক্রান্ত। ১৬ লাখ টাকা দামের ৪ টা ইনজেকশন দেয়া না গেলে শাশ্বতকে বাঁচানো যাবে না। রাজশাহীর ব্লগারদের আহবানে সাড়া দিয়ে ব্লগাররা শাশ্বতের চিকিৎসা তহবিল সংগ্রহের জন্য নানাবিধ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। আজকের ইভেন্ট বসুন্ধরা সিটিতে ফান্ড রেইজিং। সকাল দশটায় এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
এ পর্যন্ত ক্যাম্পেইনের অগ্রগতি হচ্ছে -
১২ টা পর্যন্ত
ক্যাম্পেইনে যে সমস্ত ব্লগাররা ইতোমধ্যে পৌছে গিয়েছেন তারা হচ্ছেন প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, মেজবাহ য়াযাদ, রাসেল ......., মিলটন, মহারাজা, যীশু, এফ আই দীপু, ক্যামেরামান, শেরিফ আল সায়ার, আনিসুজ্জামান উজ্জ্বল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে এসেছে অর্থী অর্ণব, মিতা, তনু, বাপী। আরো ব্লগারদের আসার কথা, অন দ্যা ওয়ে।
কয়েকটা ব্যানার লেখা হয়েছে। ব্লগার যীশু ব্যানারটা লিখেছেন।
গেটগুলোর সামনে টানানো হয়েছে। ব্যানারে লেখা হয়েছে, মৃত্যুর অপচয় থামাই, শাশ্বতকে বাঁচাই।
এছাড়া কিংবদন্তী থেকে এ ক্যাম্পেইনের জন্য বিশেষ টি-শার্ট তৈরী করা হয়ছে। যা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। অবশ্য ছাত্রদের জন্য এর দাম রাখা হচ্ছে ১৫০টাকা।
প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের সাথে কথা হলে সে ব্লগারদের অনুরোধ করেছে দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে যে যে সময় পারে যেন একবার বসুন্ধরায় ঢু মেরে যায়। [উৎসঃ প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব]
১ টা পর্যন্ত
বসুন্ধরার তিনটা গেটে যারা দাড়িয়েছেঃ একটা গেটে মহারাজা, দীপু। আরেকটাতে টুটুল, য়াযাদ সহ আরো কয়েকজন, আরেকটাতে ক্যামেরাম্যান, শেরিফ আরো কয়েকজন।
তিন গেটেই কিছু কিছু অর্থ-সংগৃহিত হয়েছে। জুম্মার জন্য ক্রাউড এ মুহূর্তে তেমন নেই।
তবে দুপুরের পর থেকে বৃদ্ধি পাবে লোক-সমাগম। আশা করা যাচ্ছে তখন ভাল এমাউন্ট উঠবে। [উৎসঃ মিলটন]
২ টা পর্যন্ত
এরই মধ্যে সাড়ে তিনহাজার টাকার মত উঠে গেছে। ব্লগাররা একটা মজার তথ্য দিল। মেয়েদের এপ্রোচিং এ টাকা নাকি ভাল উঠছে।
আশা করছে বিকেল হতে থাকলে সংগ্রহের মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। প্রত্যেকে বেশ অনুপ্রাণিত মানুষের রেসপন্স দেখে। তারা অনুরোধ করেছে আরো ব্লগারদের সেখানে যাবার জন্য। [উৎসঃ মহারাজা ও মেজবাহ য়াযাদ]
৭ টা পর্যন্ত
উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বিস্তর। প্রথমতঃ বসুন্ধরার সপ্তম তালার মেলাকোর্টের সামনে একটা সাহায্য-বক্স স্থাপন।
এই বক্স আগামী সাতদিন পর্যন্ত সেখানে স্থাপন করতে দিতে কর্তৃপক্ষ রাজী হয়েছে।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছে, দীপা, শ্রাবনী, বনশ্রী।
চ্যানেল আইতে ক্যাম্পেইনের সংবাদ প্রচার হবার সম্ভাবনা আছে। রাত্রের যেকোন সময়ের নিউজের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যেতে পারে।
ব্লগাররা বিভিন্নমুখি ক্যাপাসিটির হওয়াতে মানুষজনের কাছে এপ্রোচিং এর ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্নমুখী ধরণ।
নিজেদের তথাকথিত রেস্ট্রিকশন বাদ দিয়ে শাশ্বতের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে মরীয়া। অর্থ-সাহায্যের পরিমাণ আশানুরূপ।
পরে আরো যারা যোগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে শওকত হোসেন মাসুম, বৃত্তবন্দী, নিশিচর, অদ্ভুত আঁধার এক, পথিক !!!!!!!, জানা, কিন্নরী রয়েছেন। [উৎসঃ মিল্টন, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, মেজবাহ য়াযাদ, শওকত হোসেন মাসুম]
৮ টা ও পরিসমাপ্তি পর্যন্ত
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত ক্যাম্পেইনে প্রায় ১৭ হাজার টাকা সংগৃহিত হয়েছে। প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের সাথে কথা বলে মনে হলো আসলেই তারা একটা মিরাকাল ঘটিয়েছে।
প্রায় কুড়ি/পচিশজন ব্লগার অমানুষিকভাবে দশ ঘন্টা দাড়িয়ে দাড়িয়ে এই অর্থ সংগৃহিত করেছে। দশ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকা! ওহ মাই গড!
শাশ্বতের জন্য টি-শার্ট বিক্রি হয়েছে ১৩টি। আশা করা যাচ্ছে সামনে আরো বিক্রি হবে।
আজকের মত ক্যাম্পেইন সমাপ্ত হয়েছে। শনিবার দুপুরের পর থেকে আবারও শুরু হবে।
এরপরে আবার সামনের শুক্রবার ও শনিবার। শনিবার অনেকের অফিস থাকাতে আজকে যারা উপস্থিত ছিল তাদের কেউ কেউ অংশ নিতে পারবে না। আরো ব্যাপক মাত্রায় ব্লগারদের আন্তরিক অংশগ্রহণ প্রয়োজন। অংশগ্রহণকারী ব্লগাররা জানালো আরো বেশী ব্লগার অংশ নিলে আরো বেশী অর্থ সংগ্রহ করা যেতো। আপনার অংশগ্রহণ যদি আরো একটা টাকা বেশী সংগ্রহ করতে সাহায্য করে, তবে সেটা শাশ্বতকে বাঁচাবার আশাকেও উজ্জীবিত করে।
এই অসম্ভব কাজকে সফল করার জন্য প্রত্যেক ব্লগারের জন্য হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা রইলো।
ফটোগ্রাফের উৎস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।