ইমরোজ
অন্ধকার কেমন রোমান্টিক হয়। মন কেমন উদাসীন। অথবা একটা একটা করে স্বপ্নগুলো এলোমেলো উড়তে থাকে। মনের দেখা পাওয়া যায় না।
অনেকদিন ধরেই এমন একটা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে অনবের।
হাতের কাছে কোন স্থির কিছু নেই। সবকিছুই চলমান মনে হচ্ছে। একটা একটা করে দিন যেমন আকাশের চাঁদের দেহটা খেয়ে ফেলে তেমনি করে দিনগুলো অনবকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছিল।
মানুষ সব যুদ্ধেই জিততে পারে। কিংবা হেরে যেতে পারে।
কিন্তু নিজের সাথে মানুষ যখন যুদ্ধ করে তখন সেই যুদ্ধে হারা বা জিতা অনেক কষ্ট। একেক সময় মনে হয় জিতেছি, আরেক সময় মনে হয় হেরে গেলাম।
এমন করেই যেসব দিন কাটে অযথা তার একটা অর্থ বের করা সঙ্গতিহীন। যাই হোক, ফাঁকা রাস্তায় যখন অনব আজকাল হেটে বেড়ায় তখন বার বার হেরে যাওয়ার গ্লানি তাকে স্পর্শ করে যাচ্ছে। কিন্তু রিয়েলিটি বলে একটা কথা আছে তো।
ধানমন্ডির ভেতরের রাস্তা দেখে একবার তার বন্ধু বলেছিল, "এটা কী বিশ্বাস হয় এই দেশে জুরাইনের মত কিছু জায়গা আছে যেখানে শ্বাস ফেলা যায় না"?
সুখের বালিশে শুয়ে শুয়ে অসুখের চাষ করতে কার না ভালো লাগে? তাই ভাবছিল অনব। এমন সময় একটা গাড়ি পেছন থেকে জোড়ে হর্ণ দিল। কী মুরদে অনব জায়গাটায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। শুরু হলো ড্রাইভারের গালাগালি। কিন্তু অন্ধকারটা অনেক রোমান্টিক ছিল।
ড্রাইভারের বেপরোয়া লাইট সেই রোমান্টিকতাকে নিঃশ্বেষ করে এক গাদা গালাগালিতে ভরে তুলল চারিদিক।
এদিকে মনের সাথে অনবের যুদ্ধ চলছে। একদিক বলছে তুমি সরে যাও, আরেকদিক বলছে তুমি সরো না! কিন্তু কোনদিকটা ঠিক সেটাই প্রশ্ন। বাস্তবতায় সরে আসাটাই সবাই করে। অনবেরও তাই করা উচিৎ।
তবে কী আজ সে হেরে গেছে? নাকি জিতে বাড়ি ফেরা হবে?
কোনটা ঠিক?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।