[এমনিতে গদ্য তেমন লেখা হয় না, তবুও গত শরতে শুরু করা একটি লেখা ধীরে ধীরে সবার সাথে শেয়ার করার মানসে]
আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ
বৃষ্টি তোমাকে দিলাম
তোমার হাতেই হোক রাত্রি রচনা
এই আমার স্বপ্ন সুখের ভাবনা
--------------------------------------
শরতের রৌদ্রের তাপদাহে যতটা ঘেমেছি আজ সারা দিন, প্রতিবার উল্টো গেছে অনুভূতির ধরন। মনে হয়েছে আদ্রর্তায় ছেয়ে গেছি প্রতিটি লোমকূপ এর গভীরে। মেঘলা আকাশ নেই দেখেও বৃষ্টি ঝরে গেলো কষেরুকা বেয়ে।
বিকেল কাছে আসতেই এক কাপ চায়ের কথা মনে পড়ে গেলো। সে যখন ছিল কাছে, চায়েরা বেশ রসিক হয়ে যেতো অনেক সময়, চুপচাপ উপরে উঠে যাওয়া ধোয়াঁগুলো তাকিয়ে থাকতো তার অবয়বে, অনুভবে।
আজকাল তেমনটা হয় না, একা একা আমি কিছু একেঁ ফেলি নিজের মনে মনে। একটি ক্যানভাস প্রায় তোলা হয়ে থাকে মনের আকাশে, শুধু মাঝে মাঝে বদলে দেই রং আর তুলির গড়ন। ছবিগুলো এমন হতো -
ক) কখনো মেঘলা আকাশ
খ) কখনো অশ্রু ঝরা বিকেল আর
গ) কখনো শুণ্য দেয়ালের রং
কখনো এলোমেলো সব কিছু মিশেলে ।
ওহ! চায়ের কথা বলছিলাম, বেশ বেরসিক মনে হতে থাকে এমন সময় যখন আলপনা একেঁ যাওয়া পটভূমিতে এসে পড়ে মেঘের ঘনঘটা এক ছলকায় দু'এক ফোটাঁ চলে আসে সুতোর বুননে।
মনে পড়ল হঠাত, সেদিনের কথা।
একাকী শেষ রাতে শুনছি সেই প্রিয় কিছু লাইন। শুনতে শুনতে আবেশে ভরে যায় সমস্ত কিছু। নিভু নিভু আলো অনেকটায় ছেয়ে যায়। দেয়াল আর দেয়াল থাকে না, আসবাব আর আসবাব নয়। যান্ত্রিক সবকিছুই অযান্ত্রিক হয়ে পড়ে।
আমি আমিতে থাকি না। খুলে দেই হৃদয়ের জানালা, অবারিত দিগন্তের সকল উন্মুখতা নিজের ভেতরে ঢুকিয়ে নিতে থাকি ক্রমাগত। তারপর -
তারপর লোডশেডিং আর অন্ধকার। সব অন্ধকার করে এসে পড়ে সান্ধ্য আইন। রাত বাড়ে, বাড়ে নিস্তব্ধতা।
ক্রমাগত খাচাঁবন্দী হয়ে পড়ে মনন এবং মানস। ফোটাঁ ফোটাঁ বৃষ্টিতে হাটঁতে থাকি। হাটঁতে হাটঁতে মনের ভেতর গুনগুন করে উঠে - সেই সুর।
[ক্রমশ.........................]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।