"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
বলতে পারেন মানুষের জীবনটা কেন এমন হয়?!! কেন তাকে সমাজের নিযম নামের শিকল পরে বাচতে হয়?!! আমি একটা মানুষ!! আমার চাওয়া খুবই কম, একটু ভালভাবে বেচে থাকা, একজন সঙ্গী পাওয়া ব্যস এটুকুই, একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
উপরের কথা গুলো একদু:খী যুবক ইলিয়াসের। লাজুক ও নরম স্বভাবের জন্য বন্ধুরা তাকে ব্রয়লার মুরগী ডাকে। ছোটবেলা থেকেই এই ছেলেটা চারাক তবে বুদ্ধিমান না। কথায় বলে না!! অতি চালঅকের গলায় দড়ি....ইলিয়াসের ক্ষেত্রেও তাই প্রযোজ্য।
লাজুক বলে কি মনে সাধ আহলাদও থাকতে নেই নাকি!! এই ছেলেটারও আছে।
ইলিয়াসের বিয়ে করার বড়ই হাউশ কিন্তু যেহেতু তার বিয়ের বয়স প্রচলিত সমাজের নিয়মের কাছে হয় নি তাই তার পিতামাতা তার বিয়েশাদীর কথা ভাবছে না।
ছেলেটা লজ্জা শরমের অনেকটা মাথা খেয়েই তার হাউশের কথা বন্ধুবান্ধবদের বলল্। বন্ধুরা বলল, দ্যাখ তোর তো কোন মেয়েকে ভাগিয়ে বিয়ে করবি এমন মুরোদ নেই, তুই সোজাসুজি তোর বাবা-মাকে বল, উনারাই ব্যবস্থা নিবেন।
এবার ইলিয়াস পড়ল মহাঝামেলায়.....কি করে বলবে বাবা-মাকে , তার যে ভয় লাগে!! তার বন্ধু ওমরসানীকে বলল তার করুণ কাহিনি।
ওমরসানী বলল, তুই বলবি ঠিক এভাবে.....ওখানে আমি একা থাকি....আমাকে রাজ্যের কাজ করতে হয়....খাওয়া দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে......তাছাড়া আমার বড় একা একা লাগে....কথা বলার লোক দরকার....এসব।
ইলিয়াস বলে, ঠিকাছে দোস্ত কালকেই তোকে ফিডব্যাক জানাবো
কিন্তু বাসায় ফিরে ইলিয়াস কিছুই বলতে পারে না.....তার যে লজ্জা লাগে ওমরসানীও থামবার নয়...সে পন করেছে, ইলিয়াসের একটা ব্যবস্থা সে করেই ছাড়বে।
এবার ওমরসানী বলল, একটা মেয়ের ছবি দিয়ে....ইলিয়াসের ছোটবোনকে (সেতু যে কিনা ক্লাস ফোরে পড়ে) দেখাতে ইলিয়াসের মায়ের সামনে আর বলবে, কি সুন্দর মেয়ে ...তাই না?
ইলিয়াস একটা টেস্ট ম্যাচ আগে খেলে দেখতে চাইল...সে একটা বানরের ছবি নিয়ে সেতুকে দেখিয়ে বলল, সুন্দর না?
সেতু: হিহিহিহিইহিইহিহি...... (ঘরফাটানো হাসি)
মা: এতো শব্দ করে হাসছো কেন!!
ইলিয়াস আর এগোবার সাহস পেল না। এবার তার বন্ধু নতুন আরেকটা বুদ্ধি দিল। তোর ছোটবোনকে বলবি মায়ের কাছে যেয়ে বলতে, আম্মু ভাইয়ার একটা বিয়ে দিয়ে দিলে হয় না?
সেতু তার মাকে য়েয়ে বলল, আম্মু ভাইয়া বলেছে, ভাইয়ার একটা বিয়ে দিয়ে দিলে হয় না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।