ঝি কে মেরে বৌকে শেখানোর মতো কতিপয় অসাধু রাজনৈতিক নেতার সামনে মূলো ঝুলিয়ে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো। দুটি প্রধান দলের নেতৃত্ব থেকে গোয়ার দুই নেত্রীকে হঠানোর। তাদের রাজনৈতিক ময়দান থেকে নির্বাসনে পাঠানোর প্রকল্পটা যেকোনো ভাবেই হোক ভেস্তে গিয়েছে। এখন সেসব অসাধু রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করছে সরকার। সামনে আরও কিছু নেতার বিরুদ্ধে মামলা হবে হয়তো।
একটা কৌতুক পড়েছিলাম-
এরোপ্লেন আর রকেটের ভেতরে গল্প হচ্ছে। এরোপ্লেন রকেটকে বললো, ভাই তুমি এত দ্রুত ছুটো কেনো?
রকেট পাল্টা জবাব দিলো তোমার পাছায় আগুন লাগলে তুমিও অনেক দ্রুতগামী হতে।
সংস্কার নিয়ে উন্মাদনা এবং তাদের এই শুভবোধের উন্মেষ দেখে এই কৌতুকটাই মনে এলো। তবে আওয়ামী লীগের নেতাদের এই শুভবোধ বাস্তব বোধের সাহায্য উবে গিয়েছে পূর্বেই। এছাড়াও দলগত ভাবে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা আরও কঠোর কর্মসুচি চাইছে।
তারা প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত। লড়াই করাটা উপযুক্ত কোনো পন্থা হতে পারে কি না এটা তারা যাচাই করবে না। ভক্তিবাদে আচ্ছন্ন কর্মীরা যত দ্রুত সম্ভব শেখ হাসিনার নিশর্ত মুক্তি দাবি করছে সরকারের কাছে। শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাক কি না এটাও তারা খতিয়ে দেখতে চাইছে না।
সরকার খুবই সস্তা একটা মামলা করেছে, কঠোর কোনো অবস্থান সরকারের নেই, তারা দর কষাকষির উপায় হিসেবে হাসিনা কিংবা খালেদাকে রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে আড়াল করতে চেয়েছিলো।
অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দুর্বল। তারা আটক করে সেই অবসরে তাদের নিয়ে কি করা যায় এটা ভেবেছে। একটা মামলা দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমন নিশ্চিত করেছে যেনো কোনোভাবেই পাখী খাঁচা ছেড়ে উড়ে যেতে না পারে। আইনের কেতাবকে মধ্যমা দেখিয়েও তারা এটা করতে রাজী।
কথা হলো আদৌ কি খালেদা জিয়া কিংবা শেখ হাসিনাকে কারাগারে রেখে নির্বচন সম্ভব হবে? তাদের কোনোভাবে বিচারের রায়ে দোষী সব্যস্ত করে কি তাদের রাজনৈতিক প্রভাব এবং তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে ধ্বংস করা যাবে?
সংলাপ নিয়ে সংশয় থাকতো না যদি এমন হাস্যকর দুর্বল অভিযোগে রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি করা না হতো।
এখন যারা মূল খেলোয়ার তাদের বাইরে রেখে দ্বদশ ত্রয়োদশ চতুরদশ খেলোয়ারদের মাঠে নামানোর প্রক্রিয়াটা সফল হচ্ছে না।
নিজের থুতু নিজে গিলে ফেলবার মতো একটা পরিস্থিতি সরকারের সামনে। সংলাপ কি সফল হবে? বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদুত পরোক্ষ ভাবে বলেছেন বিএনপি এবং আওয়ামী লীগকে সংলাপে অংশগ্রহন করতে। এটা তারা চায়। তাদের দাবী, আওয়ামি লীগ কিংবা বি এন পি যে গোঁ ধরেছে তারা তাদের দলীয় প্রধান ছাড়া সংলাপে যাবে না , সেটা থেকে তারা পিছু সরে আসুক।
জামায়াত এই ভুল করবে না, তারা নির্ধারিত সময়েই সংলাপে অংশগ্রহন করবে। এ নিয়ে আমার সংশয় নেই। বিএনপি হয়তো সংলাপে অংশগ্রহন করবে খালেদা জিয়াকে ছাড়াই- এটাও একটা ক্ষীণ সম্ভবনা। তবে তাদের মূল লক্ষ্য কিংবা দর কষাকষি হবে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের আগে মুক্ত করে দেওয়া এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহরের। খালেদা জিয়া যেনো নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারে এই পরিবেশ নিশ্চিত না হলে বিএনপি নির্বাচন করবে না।
খালেদা জিয়া যেমনই রাজনৈতিক হোক না কেনো। বাংলাদেশে তার জনপ্রিয়তা হাসিনার তুলনায় অন্তত ভোটারদের কাছে বেশি। খালেদা জিয়া ৫ আসনে দাঁড়ালে ৫ আসনেই নির্বাচিত হবে। এমনটাই ধারা এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে। শেখ হাসিনা যদি ৫টা আসনে দাঁড়ায় তাহলে হয়তো ২টা থেকে ৩টা আসনে জিতবে।
সংলাপে আওয়ামী লীগ অংশ গ্রহন করতে চাইছে না, তাদের কর্মীরা আরও কঠোর কর্মসূচি চাইছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে স্পষ্ট দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে প্রস্তুত। শেখ হাসিনা নিশ্চিত করেছেন নিশর্ত মুক্তি না পেলে তিনি নির্বাচন সংলাপে যাবেন না। অর্থ্যাৎ তিনি জেলেই অন্তরীণ থাকবেন। যদি কর্মীরা জেলের তালা ভেঙে তাকে মুক্ত করে আনে তাহলে তিনি নির্বাচন কমিশনে যাবেন বিজয়ীর বেশে। যদি তা না করে তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের খাতিরেই তাকে অন্তরীণ রাখতে পারবে না তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
কষ্টটা এখানেই। আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম পরিকল্পনা- দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠিয়ে বাংলাদেশে একটা কর্পোরেট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সেটা সফল হয় নি। সরকার যাদের উপরে ভরসা করেছিলো তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির হাফিজ, মান্নান এযেড খান- এরা কেউই সফল হয় নি তাদের কাজে। তারা খালেদা জিয়াবিহীন বিএনপিকে কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিতি দিতে ব্যর্থ।
খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত ভাবে নেতৃত্বে যতই অযোগ্য হোন না কেনো, তার সাধারণ মানুষের ভেতরে গ্রহনযোগ্যতা এখনও প্রচুর। শুধু তার অমতের জন্যই সংস্কারপন্থীদের পায়ের নীচের মাটি সরে গেলো। অহেতুক এক উজবুক দেলোয়ার বিএনপির নেতা তোরি হয়ে গেলো।
আওয়ামী লীগের সুরঞ্জিত তোফায়েল আর আমুর উপরে যে নির্ভরশীলতা ছিলো, সেটার প্রতিদান দিতেও তারা ব্যর্থ। শেখ হাসিনা কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই তারা ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে।
সুতরাং আমাদের এখানে বর্তমান পরিবেশে যা দেখা যাচ্ছে তাতে কোনো তথাকথিত সংস্কার, যেখানে প্রধান দুই নেত্রীর রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহনের একটা সময়সীমা থাকতো-সেটা পালিত হবে না। আজীবন নির্বাচিত প্রধান থাকবেন তারা।
আমাদের রাজনীতির প্রাক ১১ ই জানুয়ারী এবং ১১ই জানুয়ারী পরবর্তী বলে কোনো অবস্থান কি থাকবে? এই ভয়টাই আক্রান্ত করছে আমাকে? যদি রাজনৈতিক নেতৃত্বে সেই পরিবর্তন না আসে তাহলে আমাদের ভবিষ্যতের রুপরেখা কেমন হবে?
যদি রাজনীতিতে গুনগত কোনো পরিবর্তন না আসে তাহলে আমাদের এত দিনের ত্যাগ কিংবা অমানবিক জীবন যাপনের পরিণতি কি হলো? সুতরাং আমাদের একটা মেমোরেন্ডাম সই করতে হবে ,যেটা বর্তমান সরকারের দাবী, তাদের রাজনৈতিক দলগুলো মুচলেকা দিয়ে, তওবা করে রাজনীতিতে ফেরত আসবে।
এই যে শর্ত কিংবা মুচলেকা এটা যদি প্রতিপালনে ব্যর্থ হয় রাজনৈতিক দল তাহলে তাদের বিচারের সম্মুখীন করবে কারা? সনদের আদৌ কোনো উপযোগিতা আছে? আরও প্রশ্ন হলো বর্তমানের সরকারের প্রকল্পের ভেতরে সামরিক পদবীধারীদের ক্ষমতায়নের একটা উৎকট খেয়াল রয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করা, অবসর গ্রহনের পরেও যেনো তারা নিয়মিত উপার্জন করতে পারেন বেসমরিক সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে সেটা নিশ্চিত করবার নানাবিধ প্রকল্প সরকারের আছে।
সংলাপে অংশ নিয়ে সেনাবাহিনী যদি নিজেই দেন দরবার করে এটা আদায় করে নিতো তবে সেটা প্রশ্নের জন্ম দিতো। তাই সেনাবাহিনী এখানে প্রকাশ্যে নেই।
সনদে রাজনৈতিক স্থিরতা, কতিপয় উন্নয়ন মূলক প্রকল্প এবং অবকাঠামোকে হরতাল কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখবার পরিকল্পনা দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করবে হয়তো। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির আওতা মুক্ত রাখবার দাবিটাকে প্রধান দুই দল বাস্তবায়ন করলে সেটা কি কার্যকর রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলোকে বাস্তবায়িত হতে দিবে?
আমার জানা নেই।
নির্বাচন হবে এই নিয়ে আমার সংশয় নেই।
নির্বাচন হবে ডিসেম্বরেই। আমরা ২০০৯এ নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিও পাবো। আমার সংশয় মূলত আদৌও এত প্রচেষ্টা সাবধানতা এবং এত পরিশ্রমের পরে আমাদের নিরপেক্ষ অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না এ বিষয়ে। নিরপেক্ষ বাহ্যিক প্রভাবমুক্ত পেশীশক্তির প্রভাব বিহীন একটা নির্বাচন আমরা আশা করতেই পারি। তবে এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত এটাই বিবেচনা করতে হবে এখন।
আমাদের নির্বাচন কমিশনারেরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করেছেন।
কেচে গন্ডুস এই ভোটার তালিকা তৈরির বৈধতা তারা পেয়েছেন কিংবা তাদের এই কাজটাতে বাধ্য করা হয়েচে যেনো আমাদের নির্বাচন বিলম্বিত হয়- এইসব কন্সপিরেসি থিওয়রী নিয়ে পরেও মাথা ঘামানো যাবে। সমস্যাটা গোড়ায় গলদের। আমাদের ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি হয়েছে, এবং সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে সেখানে বিস্তর ভুলভ্রান্তি এখন। এসব সংশোধন করবার মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই জলপাই বাগানে।
তারা কি করতে পারে? তারা সংশোধন প্রক্রিয়া স্থগিত করে রাখতে পারে। তাদের সারাদিনের কর্মঘন্টায় অনেক কিছুই করবার আছে- বসে বসে নামের তালিকা ধরে ধরে নাম সংশোধন, ঠিকানা সংশোধন, বাবার নাম আর মায়ের নামের ভুল বানান সংশোধন এইসব করতেও সময় লাগে।
হয়তো সেনাসদস্যরা নির্ধারিত হাঁটাহাঁটির বাইরে দৈনিক ঘন্টা অবিরাম খেটে আমাদের আগামী ৬ মাসের ভেতরে মোটামুটি সঠিক এবং নির্ভুল একটা ভোটার তালিকা দিতে পারবে।
এই কাজটা একেবারে নির্ভুল করতে অসীম সময় লাগবে, নিদেনপক্ষে আমরা যদি ৩ বছর এই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করি তাহলে একটা নির্ভুল তালিকা পেতে পারি। আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ভোটার আই ডি বানাতে আমাদের লাগছে ৩ বছরের মতো।
আমাদের ১৫ কোটি মানুষের জন্ম নিবন্ধন এবং তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজে অন্তত ৫ বছর লাগবে। যদি আমরা বর্তমান লোকবলকে নিয়মিত রেখে কাজ করতে চাই। ভোটার তালিকা তৈরিতে যে জনবল নিয়োগ দিয়েছি আমরা সেই পরিমাণ লোকবল কি আমরা ৫ বছর কাজে লাগাবো? এটা কি উচিত হবে?
এর পরে প্রশ্নটা হলো এর উপযোগিতা নিয়ে। আমাদের ছবিসহ ভোটার কার্ড প্রয়োজন, নির্বাচনে ভোট চুরি ঠেকানোর জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ ততটাই গুরুত্বপূর্ণ এটা ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য।
ছবিযুক্ত ভোটার তালিকায় একজন ভোটার তার নিজের ভোট দিতে পারবেন।
এইটুকু নিশ্চয়তা দেওয়া যায়, জাল ভোটের পরিমাণ কমবে। তবে অন্য একটা সম্ভবনা এড়িয়ে যাওয়া যায় না- আগে যারা জালভোট দিতো এইবার তারা প্রকৃত ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আসতে দিবে না। এটাও একধরণের কারচুপি , তবে এই কারচুপিতে ভোটকেন্দ্রের অনেক দুরে শক্তি প্রদর্শনের বিষয়টা থাকবে।
আমরা যদি ৫ বছর, বছর সময় নিয়ে কাজটা করতে পারতাম। আমরা অন্তত নিশ্চিত করতে পারতাম আমাদের কাজটা সুসম্পন্ন হয়েছে।
২০০৮ এর নির্বাচনেই আমাকে ছবিসহ ভোটার আইডি দিয়ে ভোট দিতে হবে এমনটা চাই নি, চেয়েছিলাম এই কাজটা এমনভাবে সম্পন্ন হোক যেনো ২০১৩ সালের নির্বাচনে ছবিসহ ভোটার তালিকা কিংবা একটা জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে লোকজন ভোট দিতে পারে।
হয়তো এ বার নির্বাচনেও ভোটার আইডি দেখানোর বাধ্যবাধকতা থাকবে না। যদি এই বাধ্যবাধকতা না থাকে তাহলে ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রেখে বাজারে গিয়ে শাড়ী বাছাই করবার মতো এই ভোটার তালিকা করবার প্রয়োজনীয়তা তেমন ছিলো না।
আইন কিংবা আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ হয়েছে প্রথমত- কারণ আদালতের নির্দেশনা কিংবা প্রচলিত বিধি হলো সর্বশেষ যে ভোটার তালিকা হয়েছে সেটাকে প্রামাণ্য ধরে ভোটার তালিকা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন এই কাজটা না করে সম্পূর্ণ তালিকাটাই প্রথম থেকে তৈরি করা শুরু করেছে।
দ্বীতিয়ত এই অর্থের অপচয়, সময়ের অপচয়।
যদি ছবি নিয়ে মাতলামি না করতো তাহলে ভোটার তালিকা সংশোধন, যোজন বিয়োজন করতে হয়তো সর্বাধিক ৬ মাস সময় লাগতো- নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠিত হওয়ার পরে পার হয়েছে ১৬ মাস এখনও কাজ সমাপ্ত হয় নি।
তৃতীয় যে বিষয়টা পীড়াদায়ক মনে হয়েছে নির্বাচনী আসন বিন্যাস পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। প্রথম থেকেই এটা অনুমিত ছিলো এই আসন বদলের সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না মানুষ। রাজনৈতিক দলগুলো মানবে না।
এবং এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হবে। আদালতে অন্তত হাজার খানেক মামলা হয়েছে এই আসনের সীমানা পরিবর্তন বিষয়ে- এইগুলো সুরাহা না হলে নির্বাচন হবে না
নির্বাচন হবে, এবং তখন যা হবে সেটা হলো এই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্থগিত রাখবে আদালত। অহেতুক অস্থিরতা এবং জটিলতা বাড়িয়ে কি পেলো নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত?
সংবিধানে বিধি আছে প্রতিবার নির্বাচনের আগে আসনের সীমান বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে, প্রয়োজনমতো আসনের সীমানা পরিবর্তন করতে হবে। এই বিধিটা অনুমোদন এটার গ্রহনযোগ্যতা যাচাই- এসবের জন্য একটা নির্বাচিত সংসদ প্রয়োজন, নির্বাচন কমিশন বড়জোর সুপারিশ করতে পারে, সেটাকে অনুমোদন দেওয়া এবং সেটাকে বিধিতে পরিণত করবার কাজটা সবসময়ই নির্বাচিত সংসদের।
কথা হলো যদি হঠাৎ করেই এই ভোটার আই ডি কার্ড প্রদর্শন ঐচ্ছিক একটা বিধিতে পরিণত হয় তাহলে আমাদের এত পরিশ্রমের ঘামের নদী কি কারণে বইলো? আমরা অবশেষে কি পেলাম?
সান্তনা আর আশাবাদ? গণতন্ত্রায়নের রেল লাইনে উঠে পড়লাম আমরা? আমরা দক্ষ চালক পেলাম? সব কিছুই অমীমাংসিত রয়ে গেলো।
রাজনৈতিক চরিত্রের কোনো পরিবর্তন আসলো না। কোনোভাবেই এটা নিশ্চিত করা গেলো না যে আমরা ১১ ই জানুয়ারীর আগের গণতন্ত্রে ফিরে যাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।