মাঝে মাঝে নি:সঙ্গতা গ্রাস করে আমায়, জীবনের মানে খোঁজা তখন আমাকেই মানায়
বুশ একবার ব্রিটেনে গেল। তো, বিকেলে রানীর সাথে চা খাচ্ছিল। রানীকে জিজ্ঞেস করল, তিনি কিভাবে সবকিছু মেইনটেন করেন। রানী বলল, আমি আমার চারপাশে শুধু বুদ্ধিমান লোকদেরই রাখি। আচ্ছা দাড়াও, দেখাচ্ছি তোমাকে; এই বলে তিনি টনি ব্লেয়ারকে ফোন দিলেন।
: ব্লেয়ার, আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো।
: জ্বী ম্যাডাম বলেন।
: ধর, তোমার বাবার একটা সন্তান আছে। তোমার মারও একটা সন্তান আছে। কিন্তু সে তোমার ভাই বা বোন না।
তাহলে সে কে?
: ম্যাডাম, সে হচ্ছে আমি নিজেই।
: গুড। ধন্যবাদ তোমাকে।
তারপর বুশকে বললেন, এইবার বুঝেছ? আমি এভাবে সবার বুদ্ধি পরীক্ষা করে নিই।
তো বুশ দেশে ফিরে এল।
কিছুদিন পর সে ঠিক করল তারও এরকম পদ্ধতি চালু করা উচিত। সে একজন সিনেটরকে ডেকে বললেন,
: আমাকে এই প্রশ্নটার উত্তর দাও দেখি।
: জ্বী স্যার।
: ধর, তোমার বাবার একটা সন্তান আছে। তোমার মারও একটা সন্তান আছে।
কিন্তু সে তোমার ভাই বা বোন না। তাহলে সে কে?
সিনেটর খুব টেনশনে পড়ে গেল। কিছুক্ষন চিন্তাভাবনা করে বলল, স্যার আমাকে কিছুক্ষন সময় দিন। বুশ রাজী হওয়ার সাথে সাথে সে বাইরে প্রায় উড়ে এল। দেরী না করে সিনেটরদের একটা মিটিং ডাকল তাড়াতাড়ি।
কিন্তু তিনঘন্টা আলোচনা করেও কোন ফায়দা হল না। শেষে কলিন্স পাওয়েল কে ফোন দিল।
: আচ্ছা পাওয়েল, একটা প্রশ্নের উত্তর জানো নাকি দেখতো।
: বল...
: ধর, তোমার বাবার একটা সন্তান আছে। তোমার মারও একটা সন্তান আছে।
কিন্তু সে তোমার ভাই বা বোন না। তাহলে সে কে?
: আরে গাধা, এটা হচ্ছি আমি।
সিনেটর ফোন রেখে তাড়াতাড়ি ফিরে গেল বুশের কাছে। সে খুব উৎফুল্ল।
: স্যার, আমি এখন উত্তরটা জানি।
আমি জানি , স্যার...
: কি?
: স্যার, এটা হচ্ছে কলিন্স পাওয়েল।
: (একটু বিরক্ত হয়ে...) আরে গাধা, হয়নি। এটা হচ্ছে টনি ব্লেয়ার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।