আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া জনসভায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইলে দোষ হয় না। কিন্তু শেখ হাসিনা দলীয় জনসভায় ভোট চাইলে দোষ হয়। এ ধরনের অভিযোগ প্রতিষ্ঠা করার সর্বাÍক চেষ্টা চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারি অর্থে দলের প্রচার চালাচ্ছেন, নৌকায় ভোট চাচ্ছেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও টেলিভিশনের টকশোতে আলোচনায় এ বিষয়টি তোলা হচ্ছে। মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মির্জা ফখরুলের এ অভিযোগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অতি কৌশলে এ ধরনের মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানোর মূল উদ্দেশ্য হলোÑ ‘এ দলকে ঠেকাও। ’
গত ২০০৫ ও ৬ সালের প্রত্যেকটি জনসভায় খালেদা জিয়া ধানের শীষের জন্য ভোট চেয়েছেন। তখন তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
একই সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনও ছিলেন। আমাদের কারও স্মৃতিশক্তি যদি দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে ওই সময়ের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত তথ্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এটা ভুলে গেলে চলবে নাÑ আগে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী। জনগণ ২০০৮ সালের ভোটে তার দল ও তাকে নির্বাচিত করেছে বলেই আজ তিনি প্রধানমন্ত্রী। একথাটিও স্মরণ করা দরকার আমাদের বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াও আমাদের সরকারের অংশ।
তিনি পার্লামেন্টের অধিবেশনে অংশ না নিলেও সরকারের সবরকম আর্থিক সুবিধা ভোগ করেন। এমনকি সরকারের সবরকম আর্থিক সুবিধা ভোগ করেও সরকার উৎখাতেরও ষড়যন্ত্র করেন মর্মে অভিযোগও রয়েছে। শুধু তাই নয়Ñ তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী ঘাতকদেরও সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
এমনকি গতকাল রোববার যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে ব্যানার টানানো হয়েছে নরসিংদীতে।
যুদ্ধাপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাদের মুক্তির দাবিসংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে নরসিংদীতে খালেদা জিয়ার জনসভায় অংশ নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা।
‘আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বাতিল কর’, ‘জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল বেআইনি’Ñ ইত্যাদি স্লোগান লেখা ডিজিটাল ব্যানারও দেখা গেছে নরসিংদীর দোগরিয়ার বালুর মাঠের দুপাশ এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে।
বালুর মাঠের দুপাশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক জামায়াত আমির গোলাম আযম, মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এম কামারুজ্জামানের ছবিসংবলিত ব্যানারের পাশাপাশি একই ধরনের মামলায় অভিযুক্ত মতিউর রহমান নিজামীর ছবিসহ ডিজিটাল ব্যানার দেখা যায়, যাতে এই জামায়াত নেতাদের মুক্তি চাওয়া হয়েছে।
জনসভা মঞ্চের সামনের দিকে ও পূর্ব পাশে জামায়াত ও শিবিরের ব্যাপক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
এর আগেও বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের বিভিন্ন সমাবেশে একই দাবি জানিয়েছে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটি।
গঠনতন্ত্র দেশের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় হাই কোর্ট ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে।
একাত্তরে ভূমিকার জন্য সুপ্রিম কোর্টে জামায়াত নিষিদ্ধেরও দাবি জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায় এদেশের মানুষ। আমরা রাজাকার, সন্ত্রাস, জঙ্গি ও দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জনগণের ভোট চাই। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।
এটা প্রমাণিত, বর্তমান সরকারের আমলে সাড়ে পাঁচ হাজার নির্বাচনে ৬৩ হাজার ৯০৪ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতীয় নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ীই হবে। এ সরকারের আমলে নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়নি। সব নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।
‘দুর্নীতি আর মানুষ খুন বিএনপি-জামায়াতের বড় গুণ’Ñ এমন মন্তব্য করে সম্প্রতি শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে তারা মানুষ খুন করে, মসজিদ ও কোরান শরিফ পুড়িয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি আর লুটপাট করে।
জনগণের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। আর যাই হোক তারা দেশের মানুষকে শান্তি দিতে পারবে না, শান্তি চাইলে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে আসুন।
৫ মে ঢাকায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সবসময় ইসলামের হেফাজতের কথা বলেন। তারাই মসজিদে আগুন দিয়েছে, বাইরে দোকানে কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে। আর আমরা সবসময় ইসলামের জন্য কাজ করি।
অথচ আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। সুত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।