সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে
এদানিং ট্রেন দূর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে! মাস খানেক আগে ট্রেনের যে দূর্ঘটনা ঘটেছিল তা রেলক্রসিং না থাকায়, লাইনম্যানের অসাবধানতায়। গতকাল আবার ঘটল ট্রেন দূর্ঘটনা, একটা দাঁড়ানো ট্রেনকে আর একটা ট্রেনের ধাক্কা! দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে এমন ঘটনা! তাহলে ষ্টেশন মাষ্টারের কাজটা কি?? এরা কি ঘুমায় না ডিউটি করে??? আশুগন্জে ট্রেন দূর্ঘটনাটা আরও ভয়াবহ হত, যদিনা শেষের বগিটা মালবাহী না হত! সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রেলওয়ে প্রশাসনের অবহেলা আর গাফলতির জন্যই একদিকে যেমন অকালে প্রাণহানি ঘটছে, আবার অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে! এবারও যথারীতি তদন্ত কমিটি হয়েছে, কিন্তু কোন তদন্ত কমিটিরতো রিপোর্ট পেশ হয়না, বা সুপারিশ আসে না! তাহলে আর কত এভাবে প্রাণ/সম্পদের হানি ঘটবে??? বহির্বিশ্বে যোগাযোগের প্রধান ব্যবস্থা বলতে ট্রেন এ যাতায়াতই বোঝায়, অথচ, আমাদের দেশে এটা এখনও মানধাত্বার আমলেই পড়ে আছে, মানুষ পারতপক্ষে ঠেকায় না পড়লে বা আযাইরা সময় না থাকলে ট্রেনে ভ্রমন করে না! যদি ট্রেনে যাতায়াত আধুনিকীকরন আর নিরাপত্তা বাড়ানো যায় একদিকে যেমন বাড়বে সরকারে আয়, তেমনি বাড়বে ট্রেন কেন্দ্রিক কর্মসংস্থান! এখনো যে অবস্থা আছে, এতেও যদি সেবা আর নিরাপত্তার মান বাড়ানো যায়, তাহলে হয়ত যাত্রী সংখ্যা বাড়তে পারে! তবে তার আগে দরকার পুরা রেলওয়ে ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অপসারন, অযৌক্তিক ব্যয় কমানো! যেসব ট্রেন দূর্ঘটনা ঘটছে, এগুলার কার্যকারন নিরুপনে করে দূর করতে না পারলে এই যোগাযোগ ব্যবস্থা একদিন পুরাপুরি ভেঙ্গে পড়বে! এভাবে চললে সেদিন হয়ত আর দূরে নয় যে, ট্রেন শুধু শিশুপার্কগুলিতেই প্রদর্শিত হবে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।