আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর কতদিন এই ভাংচুর?

বাউন্ডুলে মনের আবর্জনা

গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিউটের ছাত্ররা তাঁদের সহপাঠীর মৃত্যুর বিচারের দাবীতে রাস্তায় নেমে ভাংচুর করেছেন। একজন দায়িত্বহীন গাড়িচালকের কারণে একজন ছাত্রের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু ছাত্ররা যে তার পর যে বিশৃংখলা ডেকে এনেছেন তাও ঘৃণা পাবার যোগ্য। একটি জিনিষ আমাকে খুবই কষ্ট দেয় যে, আমাদের দেশের কিছু বিবেকহীন ছাত্র-ছাত্রী দেশের যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্যই অরাজকতার আশ্রয় নেন। পৃথিবীর কোন সভ্য দেশেই এই ধরণের মানসিকতা দেখা যায় না। আর এই ধরনের অরাজকতার সাহায্য নিয়ে দূর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিবিদ এবং তাদের পোষা সন্ত্রাসীরা এই অরাজকতাকে আরো বড় রূপ দেন। যার প্রমাণ আমরা দেখেছি গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমার একটিই প্রশ্ন, এই যে এতগুলো গাড়ি ভাঙ্গা হলো, এই গাড়িগুলোর মালিকের কি দোষ? কোন নির্দোষ মানুষের অকারণে শাস্তি পাওয়া উচিত নয়- যদি এ'টুকু মুল্যবোধ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার ছাত্রদের দিতে না পারে, তা'হলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে রেখে, বছর বছর সরকারী অনুদান দিয়ে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর যুক্তি কি? আমরা আর কতদিন পরে বুঝবো যে, আমাদের নিজেদের সম্পত্তি নষ্ট করা আমাদের দেশের জন্য ও আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না? আমার একটি জিনিষ খুবই জানতে ইচ্ছে করে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে যে যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষাজীবনে রাজনীতি এবং ভাংচুরে যোগ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে কতজন তাদের একাডেমিক জীবনে সাফল্য পেয়েছেন? সৌভাগ্য/দুর্ভাগ্যক্রমে আমার যেসব বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, তাদের কেউই ছাত্র-রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু তারা সবাই আজ কর্মক্ষেত্রে সফল। আমার খুবই জানতে ইচ্ছে করে, যারা ছাত্র-রাজনীতি করতেন, তারাও কি সাফল্যের সাথে ডিগ্রী শেষ করেছেন? নাকি এখনো কোন রাজনৈতিক দলের পাতি-নেতা হয়ে জেলের ভাত খাচ্ছেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।