(এনড্রিস সেগোভিয়া-কে,সেবাস্টিয়ান বাখ-তোমাকে,কিন্তু আমাকে নয়,রবিন ভাইকে,যে করেই হোক-ভুলবো তোমার শোক;নিলয় দাস)
প্রত্যখ্যাত হতে হতে যে পথ সৃস্টি হয় তা রহস্যময়তা নিয়ে আসে,
নিগূঢ় হারমোনির মতো করে সংগীত নয়,যন্ত্রানূসঙ্গ বাজে মাথায়।
রমণীর সরু কোমর জড়িয়ে ধরবার মতো বেদনায় ফিরে আসি,'গিটার'
তোমার কাছে সকল প্রতারণা শেষ করেই ফেরত আসি যান্ত্রিক গোলোযোগে,
কয়েকটা কর্ড আমাকে শেখায় নির্ভরতা,সমালোচনাবিহীন কিছু আঘাতে
আমি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠি....
তবুও সুর সপ্তমে উঠে গেলে একটি তার ছিড়ে যেতে পারে,
এই আশংকায় আমার সারারাতই নির্ঘুম কেটে যায়,
সারারাত আমার পাঁচটি আঙুল বেঁধে রাখে ছয়টি তার।
যখন সমুদ্রে ছিলাম,লোনাজল খেয়ে নিতো সুর,
জং ধরা তারের শব্দ আমাকে সাগরে নিক্ষিপ্ত করে,
আজ কোনো তারে এতটুকু জং নেই
তবু নগরের এই জংশনে নেমে দেখি,
আমার হাতে ধরে গেছে জং,লোহার মরিচা!
যে সুর নিঃশব্দে বেজে চলে প্রতিদিন
সেই সুর সকল মানুষেরা শোনে আর পথ চলে,
আমরা আসলে নৈশব্দের সেই সুর উদ্ধার করতেই
গানের মনোযোগী শ্রোতা হই,তবুও তাকে কি আর এভাবে পাওয়া যায়।
হাজার ভণিতা শেষ করে,লোকালয় হতে সুকৌশলে পলায়ন করে
আমি বাজিয়েছি সেই সুর....
একজন কবি জানে পত্র পতনের কেমন শব্দ হতে পারে,
পরিচিত মানুষ মৃত হলে পচনের যে শব্দ হয়
কবি সেই শব্দে পথে পথে থমকে যেতে পারে,
হাজার হাজার মাইল দুরের সমুদ্রের গর্জন শুনতে শুনতে
হয়তো কবি একদিন দেখলো তার
পায়ের কাছে একটি ট্রেন হার্ডব্রেক করে থেমে আছে।
শব্দ প্রকৌশলী হতে গিয়ে যে কবি ছয়টি হিমালয় ঘুরেছে
ঝড়ের নিঃশ্বাস তার ঘাড়ে লেগে আছে,নিশ্চয়ই।
কোথাও বজ্রপাত,বজ্রপাত হলো গিটারের সর্বকনিস্ঠ সন্তানের মৃত্যু,
একটি তারের ছিড়ে যাওয়া অতঃপর পুনর্জন্ম।
সেই কবি যখন আমাদের ভীড়ের এই নগরের
সবচাইতে লোকসমাগমের রাস্তার ধারে অতিস্ঠ হয়ে একদিন,
রাস্তার সমস্ত শব্দশীল বাহন,এমনকি ভোক্সওয়াগন গাড়ির
আর্তনাদকেও থামিয়ে দিয়ে
শুনিয়েছিলো কবিতায় গিটার।
(পোস্টর ছবিটি পাবলো পিকাসো-র "দি ওল্ড গিটারিস্ট")
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।