ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট সোমবার জানিয়েছে, রাশিয়ায় জি টোয়েন্টি সম্মেলন থেকে ফিরে শনিবার শ্যালিকার বিয়েতে যোগ দিতে ইয়র্ক যান ক্যামেরন। এজন্য লন্ডনের কিংস ক্রস থেকে ট্রেনে চড়েন তিনি।
এক পর্যায়ে ট্রেনের একটি টেবিলে চাবিসহ প্রধানমন্ত্রীর লাল ব্রিফকেস ফেলে খাবার সরবরাহের স্থানে যান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ওই ব্রিফকেসে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নথি থাকে।
এ সময় পাশের এক যাত্রী ওই ব্রিফকেসের ছবি তোলেন।
তার একটি ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মিরর।
ওই যাত্রী মিররকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর লাল ব্রিফকেস সেখানে পড়ে ছিল। আমি চাইলে ওটা নিয়ে পালিয়ে যেতে পারতাম। ”
অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, সেখানে সব সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা থাকায় ব্রিফকেসটি অরক্ষিত ছিল না।
১৯৯৯ সালে যুক্তরাজ্য সরকার লাল ব্রিফকেস বহন করা নিয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে।
তাতে বলা হয়, গণপরিবহনে ওই ব্রিফকেস সঙ্গে নেয়ার প্রয়োজন হলে যথাযথ গোপণীয়তা রক্ষা করে তা করতে হবে।
ডেভিড ক্যামেরনের ব্রিফকেস ফেলে যাওয়ার খবরে সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী জন প্রেসকট বলেছেন, “সরকারের গোপণীয়তা রক্ষায় একজন প্রধানমন্ত্রী এতো অমনোযোগী হওয়ায় আমি বিস্মিত হয়েছি।
“ওই বক্সে সিরিয়া নিয়ে গোপণ গোয়েন্দা তথ্যের বিস্তারিত থাকতে পারতো। ”
নিজের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত ব্রিফকেস কখনো চোখের আড়াল হতে দিতেন না বলেও জানান লেবার পার্টির এই নেতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।