বৃষ্টি রাতে ... ভাবনা গুলো মেঘের সাথে উড়ে ...
মোমের নারীত্বের কাছে স্থির চোখ রেখে, মারাত্বক সংবাদ আঁধারের প্রেমকাতর,
নিভু নিভু শিখার কাছে পৌছে দেই -
"আমি ভালো নেই, আলো ! "
ঘাম ও মিইয়ে পরা ক্রোধের বাষ্পে "বিষন্নতা" শব্দটির অপমৃত্যু হয় ।
তাঁর এলিজির ফুলগুলো গন্ধহীন;
তারপর, এক পর্যায়ে অস্পষ্ট হয়ে আসে নাক্ষত্রিক কথোপকথন;
আবাল পরাবাস্তবতার দেবদূতেরা গরম ও ঘামের নৃশংস স্বাদ
বুঝতে পেরে চম্পট দিচ্ছে হাভাতের বাংলাদেশ ছেড়ে ।
হয়তো পশ্চিমের কোন
আফ্রিকান শিশুর হাড্ডি ফেলে মাংস চিবানো ক্লান্ত কোন কামুকীনির
ব্লো-জবে ব্যস্ত জিভের কাছে আবিষ্টের মত থমকে দাঁড়ায় ।
কিছুক্ষণ সুখ ভেবে বিহবল হয়;
তারপর দেবদূতির সোমাটিক ট্রান্সগ্রেশান দেখে শ্লাঘায় ফুলে উঠে
ফুলে উঠে বিগত পরাবাস্তবতার দেবদূতের বুক ।
বুক ঢাকতে বিশ্বায়নের ভারতীয় পচা মদ, স্টার প্লাসের সুলক্ষণা লেড়কির উদ্দীপনায় ,
আমাদের "ঢাকাইয়া" গলায় ঊড়না ফেলা বেইবীদের মত, বুক ঢাকে ভোগী পরাবাস্তবতার দেবদূত ।
বিদায় নেয়া দেবদূতকে আমি একটু অভিমানের চিমটি কেটে দেই ।
ফেরে না , সে ফেরে না ।
পূজির আদূরে ছোট মেয়েটির মত লাস্যের ঘরে শিল্পের চন্দন ফুল গন্ধসহ বন্দী ।
ক্ষুধা নেই সেখানে,
বাঙ্গাল-পরাবাস্তবতা, সদ্য গ্রাম থেকে আসা সহজ যুবক টির মত খেত ।
ঘাম ও মিইয়ে পরা ক্রোধের বাষ্প তাকে বিকর্ষণ করে ।
তাই, নক্ষত্ররা নতুন প্রেম জাগা কিশোরী বুকের মত নির্জন শব্দহীন থেকে যায় ।
তুমি দেখে যাও এসে থুরথুরে জীবনানন্দ -
তোমার বাংলাদেশে কোন পরাবাস্ততা নেই, সুন্দর নেই,
তোমার কবিতার মত বিশুদ্ধ শিশির নেই,
ঘাস নেই - তোমার মত করে ।
আছে শুধু ঘাম ও মিইয়ে পরা ক্রোধের বাষ্প অন্ধকারে (তোমার ঘাই হরিনী ডাকা অপ্রাকৃতিক অন্ধকার ভেবোনা যেন ! ) ।
আবার ফিরে আসতে চাও? প্লীজ এসোনা । তোমার আকাঙ্ক্ষা ভাংগছে দেখতে চাই না ।
তাই এই ফাঁকে, অসময়ের দুর্বলচিত্ত মহাপুরষ, হয়ে রয়েছি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।