জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।
‘’তুই কি আমার পুতুল পুতুল সেই ছোট্ট মেয়ে’’
যাকে নিয়ে স্বপ্ন আমার কিছুই আসেনি। দুটি ছেলের পর এই কন্যার আগমন। অনেকেই মেয়ের মুখ দেখে ঈর্ষায় শেষ। শ্বশুর বাড়ীর এক কুচক্রীর তো মেয়ের বিয়ের চিন্তায় ঘুম নাই! অনেকেই জানেন না চট্টগ্রামে মেয়ে বিয়ে দেওয়া কি কঠিন, এত যৌতুক দিতে হয় সে প্রসঙ্গে আর এক দিন যাবো।
সারাদিন মেয়েকে সাজিয়ে কোলে করে রাখাই ছিল আমার ধ্যান –জ্ঞান। ছেলে দুটি তখন ও হাতে করে ভাত খেতে পারতোনা। মেয়েকে পায়ের উপর রেখে ছেলেদের খাওয়াতাম। এটা দোষের ছিল নিন্দুকদের কাছে। বাচ্চাদের নাকি পরান ভরে খেতে দেইনা আমি! তিন মাস বয়সে খুব সখ করে কানে দুল পরিয়ে দিলাম মেয়ের জ্বর ছাড়ে না এরপর বাধ্য হয়ে দুল খুলে ফেলি।
কতটা বেলা শেষ হোল টের পাইনি হুশ হোল মেয়ে চুল বাঁধতে চাইলো তখন। কি লক্ষ্মী আর মিষ্টি মাশাআল্লাহ আমার বাচ্চাগুলি। মেয়ে কবে এতো বড় হোল ? সেদিন বললাম আম্মু যাও তো বরবটি ভাজি করো। দেখি প্রতিটা টুকরা এক সমান অল্প তেল দিয়ে কি পরিচ্ছন্নভাবে রান্না করে বাটিতে খুলে রেখেছে। খেতে গিয়ে তো আমাদের সবার চোখ কপালে।
এত চমৎকার হয়েছে মাশাআল্লাহ।
আমি অনেক স্বপ্ন দেখি বাচ্চাগুলিকে নিয়ে জানিনা কি পুরন হবে আর কি হবেনা? তবে বড় ভয় হয় তখন যখন পত্রিকার পাতায় দেখি যৌতূকের দাবিতে মেয়েদের কি নির্মম যাতনা সয়ে অকালে প্রান হারাতে হয়। আহারে কত আদরের এই মেয়েরা। স্বামী নামক সিমারদের কি অন্তরে দয়ামায়া নাই? কেন এরা বিয়ে করে। এদের সঙ্কোচ ,আত্মসম্মান সব কি শেষ যে বউয়ের কাছে দাবী করে? কন্যাদের ভবিষ্যৎ চিন্তায় আমি আল্লাহার কাছে অনেক কাঁদি যেন মানুষের মর্যাদা নিয়ে থাকতে পারে।
সবাই দোয়া করবেন আমার কন্যাদের জন্য।
লিখেছেন---------------
(লিলি ফারুকী)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।