FB -- nahid.djmc@gmail.com
অপ বাক, অনুসন্ধিতসু মানুষের মনে প্রশ্ন আসবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার মনে আসা প্রশ্নগুলোকে তাই দোষ দিব না। মনে প্রশ্ন আসলে তার উত্তর খোজা মানুষের স্বাভবিক প্রবৃত্তি। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছে, আপনার মনে যতটা না ছিল জানার ইচ্ছা তার চাইতে অনেক বেশী ছিল ইসলামকে খাটো করার ইচ্ছা। আপনি আপনার ব্লগে Click This Link পোস্টে আপনার মনে উদয় হওয়া কিছু প্রশ্ন তুলেছেন।
আপনার লেখার একটা বড় অংশ জুড়ে আছে সূরা আন-নুরের ৩৩ নং আয়াত। আপনি আয়াতটির আংশিক উল্লেখ করে আয়াতটির সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। পাঠকের সুবিধার্তে আমি সূরা আন-নুরের ৩৩ নং আয়াত এর সম্পূর্ণ অর্থ পেশ করছি।
পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা আন-নুরের ৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,
"যারা বিবাহে সমর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করেন। তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জানো যে, তাদের মধ্যে কল্যান আছে।
আল্লাহ তোমাদেরকে যে অর্থকড়ি দিয়েছেন, তা হতে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা তাদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যাভিচারে বাধ্য করনা। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের জোর-জবরদস্তির পর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালূ। "
এই আয়াতে আল্লাহ বলতে চেয়েছেন, সে সময় আরববাসীরা চাইলে তাদের দাসীদের বিয়ে করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সেইক্ষেত্রে তাদের সম্পত্তির বন্টনসহ পূর্ণ স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে।
আর একই সাথে আল্লাহ আরববাসীদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, "তোমাদের দাসীরা তাদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যাভিচারে বাধ্য করনা। " - অর্থাৎ দাসীরা যদি সম্পত্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা সত্ত্বেও বিবাহে আবদ্ধ হতে না চায় সে ক্ষেত্রে কোনভাবেই যেন তাদের পার্থিব জীবনের সম্পদের লোভ দেখিয়ে বিবাহপূর্ব সম্পর্কে জড়ানোর জন্য জোর না করা হয়। অথচ আপনি সম্পূর্ণ আয়াত না বুঝেই সম্পূর্ণ লেখা জুড়ে চেষ্টা করেছেন ইসলামে নাকি পতিতাবৃত্তির স্বপক্ষে কথা বলা হয়েছে। অদ্ভুত!!!
শুধু তাই নয় আপনার পুরো লেখা জুড়েই ছিল ইসলামকে ছোট করার চেষ্টা। সূরা আন-নুরের ৩৩ নং আয়াতটির আংশিক উল্লেখ করে আয়াতটির সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা ছাড়াও আপনি আপনার পোস্টে যে যে ধৃষ্টতামূলক কথা বলেছেন তা খেয়াল করুন।
আশা করি নিজের ভুলগুলো বুঝতে পেরে শুধরে নেবেন।
১ম কথা, মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর নাম বলার পর একটা বারও আপনি "(সাঃ)" বলেননি। "(সাঃ)" বলার মাধ্যমে আমরা নবীজী (সাঃ) এর উপর দরুদ পেশ করি। যে অধিকার স্বয়ং আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। আর এই "(সাঃ)" না বলাটা নবীজী (সাঃ) কে অসম্মান করা।
অথচ আপনার সম্পূর্ণ পোষ্টের একটা জায়গাতেও মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর নাম বলার পর আপনি "(সাঃ)" বলেননি। আপনি এতকিছুর ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। আর সেই আপনি এত বড় ভুল করলেন কিভাবে? ভবিষ্যতে আপনি যে কোন কথা বা প্রশ্ন করলেও তাতে নবীজী (সাঃ) এর যেন কোন অসম্মান না হয় তা খেয়াল রাখবেন আশা করছি।
২য় কথা, আপনি আপনার লেখার একপর্যায়ে বলেছেন,
"উমাইমাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করিবার চেষ্টা করিয়াছিলো আল্লাহর দাস আবদুল্লাহ। " - "আল্লাহর দাস আবদুল্লাহ" না বলে তো আপনি শুধু "আবদুল্লাহ"ও বলতে পারতেন।
এটা কি আপনার "আল্লাহ" শব্দটার প্রতি কোন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ? যদি তাই হয় তবে বলছি, নিজেকে সংযত করুন।
৩য় কথা, আপনি আপনার লেখার শেষ পর্যায়ে বলেছেন,
"সর্বশেষ বুখারির হাদিস যা আরও উপাদেয়-
মুহাম্মদের তীব্র কুকুর ভীতির কারণ জানা নেই তবে সেই ঘৃন্য কুকুরকে পানি খাওয়ানোর জন্যও এক পতিতার বেহস্ত নসিব হয়েছিলো।
Volume 2, Book 23, Number 441:
Narrated Abu Huraira :
Allah's Apostle said, "Every child is born with a true faith of Islam (i.e. to worship none but Allah Alone) but his parents convert him to Judaism, Christianity or Magainism, as an animal delivers a perfect baby animal. Do you find it mutilated?" Then Abu Huraira recited the holy verses: "The pure Allah's Islamic nature (true faith of Islam) (i.e. worshipping none but Allah) with which He has created human beings. No change let there be in the religion of Allah (i.e. joining none in worship with Allah). That is the straight religion (Islam) but most of men know, not." (30.30)
অন্য কোনো কারণ কি ছিলো?"
অপ বাক, আমার প্রশ্ন আপনার লেখা শেষ বাক্যটি নিয়ে। "অন্য কোনো কারণ কি ছিলো?" - আপনার এই বাক্যটি উপরে ইংরেজীতে লেখা হাদিস সর্ম্পকে যে না তা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। কারন, "অন্য কোনো কারণ কি ছিলো?" - এই বাক্যটির সাথে সম্পর্কযুক্ত কোন বাক্যই উপরের ইংরেজি লেখা হাদিসটিতে নেই।
সে ক্ষেত্রে আপনার এই বাক্যটি সম্ভবত ইংরেজিতে লেখা হাদিসটির উপরের লেখাটির সাথে সম্পর্কযুক্ত। সেক্ষেত্রে লেখাটি এ রকম দাড়াচ্ছে -
"সর্বশেষ বুখারির হাদিস যা আরও উপাদেয়-
মুহাম্মদের তীব্র কুকুর ভীতির কারণ জানা নেই তবে সেই ঘৃন্য কুকুরকে পানি খাওয়ানোর জন্যও এক পতিতার বেহস্ত নসিব হয়েছিলো। "
"অন্য কোনো কারণ কি ছিলো?"
অপ বাক, "অন্য কোনো কারণ কি ছিলো?" - এই প্রশ্নটির মাধ্যমে আপনি এখানে কি ইংগিত দিতে চেয়েছেন??? আপনি যে ইংগিত এখানে দিতে চেয়েছেন তা কতটা ধৃষ্টতাপূর্ণ তা কি আপনি জানেন???আপনার লেখা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার এই লেখায় যতটা না সত্য জানার ইচ্ছা ছিল, তার চাইতেও বেশী ছিল মহানবী (সাঃ) কে ছোট করার ইচ্ছা। আমি একজন মুসলমান হিসেবে আপনার এই পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ করছি। তীব্র প্রতিবাদ করছি।
তীব্র প্রতিবাদ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।