জন্মোপার থেকে পৃথিবী হয়ে অনন্তে >>> ©www.fazleelahi.com
পূর্বে: Click This Link
আরবের প্রশাসনিক অবস্থা:
দু'ধরনের শাসন ব্যবস্থা ছিল-
(১) মুকুটধারী বাদশাহ: পরিপূর্ণ স্বাধীন ছিল না।
(২) গোত্রীয় সর্দার: ক্ষমতা প্রয়োগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে মুকুটধারীদের মতই।
প্রকৃত বাদশাহী ছিল-
এক) ইয়েমেনের বাদশাহ্
দুই) সিরিয়ার গাসসান বংশের বাদশাহ্
তিন) ইরাকের হীরার বাদশাহ্
ইয়েমেনের বাদশাহী:
'আরবে আরেব'র প্রাচীন ইয়েমেনি গোত্র ছিল 'সাবা' যাদের চারটি ঐতিহাসিক সময়কাল নিম্নরূপ-
এক) খৃষ্টপূর্ব ৬৫০ থেকে পূর্বে: উপাধি- মাকরাবে সাবা, রাজধানী- সরওয়াহ্, বর্তমান নাম- খরিবা, এ সময় বিখ্যাত মা'আরেব বাঁধের ভিত্তি স্থাপন এবং আরবে নতুন বসতি স্থাপন বৃদ্ধি পায়।
দুই) খৃষ্টপূর্ব ৬৫০ থেকে ৩০০ সাল: 'মাকরাব' উপাধি বদলে 'বাদশাহ্' উপাধি ধারণ, সরওয়াহর পরিবর্তে মা'আরেবকে রাজধানী হয়।
তিনি) খৃষ্টপূর্ব ৩০০ থেকে ১১৫ সাল: সাবার বাদশাহদের উপর হেমইয়ার গোত্রের আধিপত্য, মা'আরেবের পরিবর্তে রাইদানকে রাজধানী ও রাইদানের নতুন নাম জেফার করা হয়।
চার) খৃষ্টপূর্ব ১১৫ থেকে ইসলামের সূচনা: বিভেদ-বিশৃংখলা চলতে থাকে, রোমকদের সাহায্যে আবিসিনীয়রা হেমইয়ার ও হামদান গোত্রের সংঘাতের সুযোগে ৩৪০ থেকে ৩৭৮ সাল পর্যন্ত ইয়েমেন দখলে রাখে। ৪৫০ বা ৪৫১ সালে মা'আরেবের বাঁধ ভাঙ্গে, কুরআনের সূরা সাবায় উল্লেখ রয়েছে।
৫২৩ খৃষ্টাব্দে বাদশাহ্ জুনুয়াস খৃষ্টধর্ম ত্যাগের জন্য ঈসায়ীদের উপর হামলা করে। প্রজ্জ্বলিত অগ্নির পরিখা তৈরী করে অটুট বিশ্বাসীদের তাতে নিক্ষেপ করে, কুরআনের সূরা আল-বুরূজে বর্ণনা রয়েছে। প্রতিশোধ নিতে রোমকদের সহযোগিতায় আবিসিনীয়রা ৫১৫ সালে আরিয়াতের নেতৃত্বে ৭০ হাজার সৈন্যসহ ইয়েমেন পূনর্দখল করে ও শাসন শুরু করে।
কিছুকাল পর সেনাধিনায়ক আব্রাহা আরিয়াতকে হত্যা করে এবং আবিসিনিয়ার সম্রাটকেও তার বশ্যতায় বাধ্য করে।
আব্রাহা একটি ঘটনা সাজিয়ে কা'বা ধ্বংসের জন্য দুর্ধর্ষ সৈন্যদল ও বেশ ক'টি হাতী নিয়ে মক্কায় অভিযান পরিচালনা করে এবং আল্লাহর আযাবে পর্যদুস্ত হয় যার বর্ণনা কুরআনের সূরা ফীল-এ রয়েছে।
এ সুযোগে ইয়েমেনবাসী পারস্যের সাহায্য চায় ও আবিসিনীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। সাইফে যী ইয়াযানের পুত্র মাদিকারাবের নেতৃত্বে আবিসিনীয়দের বিতাড়িত করে ও মাদিকারাবকে বাদশাহ্ বানিয়ে ৫০৫ খৃষ্টাব্দে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
মাদিকারাব শখের বশে কিছু আবিসিনীয়কে রাখে, তারা সুযোগ বুঝে তাকে হত্যা করে এবং এর ফলে যী ইয়াযান পরিবারের বাদশাহী সমাপ্ত হয়।
পারস্য সম্রাট কিসরা সুযোগ নিয়ে পারস্য বংশোদ্ভুত গভর্ণর নিয়োগ করে ইয়েমেনকে পারস্যের প্রদেশ করে। সর্বশেষ গভর্ণর বাযান ৬২৮ খৃষ্টাব্দে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ইয়েমেন একটি ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।