আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগে সিংহভাগ নারীদের উন্নতি চাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

যারা উন্নত বিশ্ব থেকে ঐ দুনিয়ার মানুষগুলো সাথে গলা মিলিয়ে নারীদের ক্ষমতায়ন আর নারীদের সমান অধিকারের কথা বলেন তারা এমন একটি বিশ্বের কথা বলেন না কেন যেখানে সব মানুষের সমান অধিকার থাকবে। উন্নত বিশ্বের মানুষের মাথাপিছু আয় গরীব দেশগুলোর মানুষদের চাইতে একশগুন হবে কেন। তাদের কাছে প্রশ্ন দুনিয়ার ৫ শতাংশ মানুষ কেন দুনিয়ার ৯৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করবে। পাশাপাশি তারা কেন নিয়ত্রন করবে দুনিয়ার গরীব মানুষগুলোর রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতি পর্যন্ত। সরকারি মতে ভুমিহীনদের সংখ্যা ৬০ শতাংশের কাছাকাছি।

বেসরকারি মতে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। ক্ষেতমজুর, সাধারন মজুর, ছোট ব্যবসায়ী, ছোট চাকুরে এদের কোনপ্রকার সম্পদ নেই। এদের বৌ ঝিদের সংখ্যা মোট নারীর ৭০ শতাংশের কাছাকাছি হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। এদের সাথে যোগ করা যায় ৩০ লক্ষ নারী শ্রমিকদের যারা বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকুরি করেন। এই ৭০ শতাংশ নারীরা সমাজের সবচাইতে ভংগুর শ্রেনীর।

সামাজিক অর্থনৈতিক কোন নিরাপত্তা নেই। এরাই সবচাইতে ঝুকির মধ্যে থাকে পাশের পুরষটি কর্ত্বক নির্যাচিত হওয়ার। রাহেলার ক্ষেত্রেই তাই ঘটেছিল। এসব নারীরা কোন কারনে একাকী হয়ে পড়লে রাষ্ট্রের উচিত এদের পাশে দাড়িয়ে সামাজিক এবং আর্থিক সহায়তা করা। নারীর উন্নয়ন নীতিমালায় এরা সবচাইতে বেশি অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবী রাখে।

এসব নারীরা বিপদগ্রস্থ হলে একটি আইন করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এদের সাহায্য পাবার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। উত্তরাধিকার সুত্রে আমাদের দেশে সাধারনত জমি ভাগাভাগির মধ্যদিয়েই সম্পদ ভাগাভাগির কাজটি সারা হয়। ব্যতিক্রমও আছে। তাই সম্পদের উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তন খুব ক্ষুদ্র শ্রেনীর নারীদের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে যারা এমনিতেই সামাজিক এবং আর্থিক নিরাপত্তা ভোগ করে আসছেন। আমরা নয় ভাইবোন পৈত্রিক সুত্রে একটি কানাকড়িও পাইনি।

অথচ আমাদের ছোট তিনটি বোনকে পাত্রস্থ করতে গিয়ে আমাদের ভাইদেরকে পরিশ্রম করে উপার্জিত প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয়েছিল। এ ব্লগের পন্ডিত ব্যক্তিরা প্রায়ই সহজাত বিবেক বুদ্ধির কথা বলে থাকেন যা মানুষকে সঠিক কাজটি করতে উদ্ভুদ্ধ করে, ধর্ম বা কোন বাধ্যবাধকতা নয়। তাহলে এক্ষেত্রে কেন তারা শুধুমাত্র আইন দিয়ে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাইছেন। আমাদের সমাজের গরীব মানুষগুলো বেচে থাকে পারষ্পরিক সহায়তা আর সহানুভুতি সুতোয় গাথা অদৃশ্য এক ভালবাসার জাল আকড়ে ধরে। উন্নত বিশ্বের মত আইন করে এ মানুষগুলো বাচিয়ে রাখা যাবেনা।

এত সম্পদ আমাদের সরকারের নেই। কেননা সব সম্পদ চলে গেছে কিছু হাতে গোনা অসত মানুষের কাছে। তাদেরই আছে আইনের প্রয়োজন যা দিয়ে তারা তাদের বৌ ঝিদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে। আপাতত সরকারের কাছে নিবেদন, চালের দাম কমানো হোক, যাতে করে গরীবের বৌ ঝিদের লম্বা লাইনে দাড়িয়ে শেষপর্যন্ত খালি হাতে ফিরতে না হয়। তিনবেলা পুট পুড়ে খেতে পারলেই এরা এখন অনেক সুখে থাকতে পারবে।

বাড়তি সম্পদ চাইবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।