আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছো বসি আমার ব্লগখানি কৌতুহল ভরে
১৯৬২ সালে এ দেশে এসেছিলেন প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার রজার উড , চষে বেড়িয়েছিলেন ঢাকা , নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত । যাবার সময় নিজের দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন ক্যামেরার লেন্সে বন্দী অনেক রঙিন ছবি ।
ঢাকা টু নারায়ণগঞ্জে হেলিকপ্টার বা সড়কপথে তার ধারণ করা কিছু ছবি , সাথে আমার জুড়ে দেয়া ক্যাপশন :
১: শহর পেরিয়ে মেঘনা নদীর তীরে । মসজিদ আর শিল্প কারখানা , গুদাম স্পষ্ট করে দেখতে পাচ্ছি ।
২,৩ : বন্যা শুরু হয়েছে , বুড়িগঙ্গার পানিতে প্লাবিত ঢাকার আশেপাশের ধানক্ষেত ।
৪,৫ : সুতায় রঙ করায় ব্যস্ত অনেক তাঁতীকে পাওয়া গেলো যাবার পথে
৬ : নদী , নৌকা , মাঝি এগুলো চোখ এড়ালো না
৭ : নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যস্ত রাস্তার পাশে আনারস বিক্রেতাকে পাওয়া গেলো আনারস কেটে বিক্রি করতে
৮: রাস্তার আরেক পাশে মুচিদের দেখা মিললো , যত্ন করে স্যান্ডেল আর জুতো পালিশ করতে
৯: নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের দিকে যাচ্ছি আমরা
১০,১১,১২: সোনালী আঁশ পাট বোঝাই অনেক নৌকার দেখা মিলছে । পাট শুধু পূর্ব বাংলা না পুরো পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অর্থকরী ফসল , আর নারায়ণগঞ্জ হলো পাটের সবচেয়ে বড় বেচাকেনা কেন্দ্র
১৩ : আবার শহরে আমরা । শাহবাগ হোটেলের সামনে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা। ফোয়ারার সামনে বসে একজন পত্রলেখক অন্যের চিঠি লিখে দিচ্ছেন। সামান্য কিছু পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পত্র লিখে দেন এমন লোকের দেখা সারাদেশেই মেলে
(কৌশিক বলেছেন : এটা ঠিক নয়।
এই ভাস্কর্যটা বঙ্গভবনের সামনে। এখনও এমনই আছে। দেখে আসতে পারেন। )
আসলে যে সূত্র থেকে ছবিটি পেয়েছি , সেখানে এমনটিই লেখা ছিল , ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ব্লগার কৌশিক আহমেদকে অনেক ধন্যবাদ
১৪: নারায়ণগঞ্জ দেশের সবচেয়ে বড় নদীবন্দর , তাঁর পরিচয় মিললো এখানে
১৫: বিশাল পাটশিল্পের জন্য ব্রিটেনের ডান্ডি শহরের সাথে তুলনা করে নারায়ণগঞ্জকে বলা হয় "প্রাচ্যের ডান্ডি" । তার প্রমাণ এই ছবি , বড় একটি পাটকল দেখতে পাচ্ছি আমরা
১৬: এরপর চললাম রেলস্টেশনে ।
সময়সূচির বোর্ড দেখে বুঝতে পারছি এখান থেকে ট্রেনে সরাসরি কলকাতা যাওয়া যাবে। মাঝে অবশ্য ফরিদপুরের গোয়ালন্দ ঘাট পাড় হতে হবে
১৭: হেলিকপ্টার থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জ শহরটা একটা ফ্রেমে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।