আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কল সেন্টার...

এলেমেলো কথাবার্তা tutul@amrabondhu.com

কল সেন্টার কি? টেলিকমিউনিকেশনের মাধ্যমে প্রদানকৃত সেবাই হল কল সেন্টার। কল সেন্টার মূলত একটি ‘কমপিট সলিউশন সেন্টার’। এই বিষয়ে আরিফ জেবতিক এর পোস্ট লক্ষণীয়। বর্তমান বিশ্বে কলসেন্টার ব্যবসা সাড়ে ছয়শত বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ছারিয়ে গেছে। এর এক শতাংশও যদি বাংলাদেশ অর্জন করতে পারে, তাহলে তার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রতি বছর ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

৪০ হাজার কোটি টাকা , যা বাংলাদেশের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভের চেয়েও বেশি। বাসায় ক্যালকুলেটর না থাকলে এখনি একটা ক্যালকুলেটর কিনে হিসাব করতে শুরু করে দিন। তবে শুধু লাভের হিসাব না করে শুরুতে খরচের হিসাব গুলোও করুন। আরিফ জেবতিক এর পোস্ট: ক. কাজ চালানোর মতো ইংরেজী জানা তরুন সমাজ যাদেরকে প্রশিক্ষিত করা সহজ । খ. ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারনে স্বস্তা জনশক্তি ।

গ. চাইনিজদের ইংরেজী চর্চা না থাকায় এই মার্কেটে একটা বড়ো প্রতিদ্বন্ধি না থাকা । ঘ. কলসেন্টারের সবচেয়ে বড়ো ব্যবসায়ী ভারতে রূপীর তেজী ভাবের কারনে তাদের খরচ বেড়ে যাওয়া । সম্ভবত মার্চের শেষের দিকে ইন্টেলের সাথে বাংলাদেশ টেলিসেন্টার নেটওয়ার্ক এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিসেন্টার নেটওয়ার্ক পরিচালিত সব কর্মকাণ্ডে সহায়তা প্রদান করবে ইন্টেল এবং টেলিসেন্টার স্থাপনেও সহায়তা করবে। যেহেতু বাংলাদেশের একটা বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী আছে সেহেতু এই সেক্টরে আমাদের অনেক কিছু করার আছে।

এখন প্রয়োজন শুধু দক্ষ উদ্যোক্তার। দক্ষ এই সেন্স এ যে, হুজুগে না লাফিয়ে বাস্তবতা মেনে ব্যবসা শুরু করা উচিত। হয়তো ক্যালকুলেটর চেপে দেখে যাবে লাভের অংশ অনেক বড়র .. .. কিন্তু ভালো বায়ার না হলো পুরোটাই লস হতে পারে। কারণ লভ্যাংশটা দেশ থেকে নয় আসবে দেশের বাইরে থেকে। খিয়াল কৈরা... বিটিআরসি কল সেন্টারের লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিকভাবে তিন ধরনের লাইসেন্স প্রদান করবে। ১. কল সেন্টার লাইসেন্স - যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় লোকবল, যন্ত্রপাতি, নির্দিষ্ট ক্লায়েন্ট ও প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকবে তাদের কল সেন্টার লাইসেন্স প্রদান করা হবে। ২. হোস্টেড কল সেন্টার লাইসেন্স - যাদের লোকবল ও ক্লায়েন্ট আছে কিন্তু যন্ত্রপাতি নেই তাদের হোস্টেড কল সেন্টার লাইসেন্স প্রদান করা হবে। ৩. হোস্টেড কল সেন্টার সার্ভিস প্রোভাইডার লাইসেন্স - যাদের যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি থাকলেও প্রয়োজনীয় লোকবল নেই তাদের হোস্টেড কল সেন্টার সার্ভিস প্রোভাইডার লাইসেন্স প্রদান করা হবে। প্রতিটি লাইসেন্সের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

লাইসেন্স গ্রহণের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত কল সেন্টারগুলোকে তিন বছর এবং দেশের অন্য জেলায় অবস্থিত কল সেন্টারগুলোকে পাঁচ বছর কোন লাইসেন্স ফি প্রদান করতে হবে না। তবে এরপর ০.৫% হারে রাজস্ব প্রদান করতে হবে বিটিআরসিকে। কল সেন্টারের লাইসেন্স পেতে হলে আপনার ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। লাইসেন্স পেতে বিটিআরসি বরাবর আবেদন করতে হবে। মনোনীত হলে লাইসেন্স গ্রহণের সময় পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে।

আপনার যা প্রয়োজন: # ইংরেজী জানা অথবা ইংরেজী বলতে এবং বুঝতে সক্ষম জনশক্তির তৈরী # কম্পিউটার চালানোয় দক্ষতা বা দক্ষ করে তোলা # আউটসোর্সিং ফার্মগুলোর সাথে ভালো যোগাযোগ... কাজের নিশ্চয়তা # ওয়েল ইকুয়েপট সেটাপ (কম্পিউটার সহ কল মনিটরিং যন্ত্রপাতী) কম্পিউটারের ওপর দক্ষতা এবং কাস্টমার সার্ভিসের ব্যাপারে পারদর্শীরাই এই জবের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাই জবের ভালো সুযোগ ও তৈরী হবে। যেটা বহি:বিশ্বে লক্ষণীয়। আর কিছু লিখার ধৈর্যে কুলাইতেছে না...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।