আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নয় মাসের যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়েছে; ছয় মাসের সাধনায় দেশ 'সোজা' করা সম্ভব- স্থপতি মোবাশ্বের

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!! তার জন্য একটাই প্রতিজ্ঞা লাগবে- আইনের শাসন। বিশেষ করে স্ব-দলীয় লোকজনের জন্য বেশী করে আইনের শাসন। আর টিভির একটি টকশোতে স্পস্টভাষী, মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া সংগঠক ও স্থপতি মোবাশ্বের আহমেদ এমনটাই বললেন। তার সাথে শতভাগ একমত। বরং তার চেয়েও বেশী % একমত! নানান ঘাট পেরিয়ে ১৯৭২ সালে দেশের যাত্রা শুরুতেই হোঁচট খায় আওয়ামীলীগের লোকদের আইন না মানার মহামারী রোগের কারণে।

সাম্যবাদ, গণতন্ত্র, বৈষম্যহীনতা, ন্যায়বিচার, শোষনমুক্তি ইত্যাদি বাহারি বুলী কপচিয়ে দেশের দায়দায়িত্ব আওয়ামীলীগ ঘাড়ে নিলেও তারপরই তার আসল চেহারা বেরিয়ে পরে। যেমন- এর পরে ১৯৯৬ ও হালের ২০০৯ এ বেরিয়ে পড়েছে। হাতেগোনা কিছু ভদ্রলোক আওয়ামীলীগবাদে সারাদেশে নানাবিধ লীগ ও ভেকধারীলীগরা ব্যাপক লুটপাটে নেমে পড়ে। ১৯৭২-৭৫ এর জুলুম, অন্যায়, আইন হাতে তুলে নেয়া, চুরি, পাচার, চোরাচালান, সাধারন মানুষকে নিগ্রহ করা সহ কোট-কাচারী ও থানা-পুলিশকে চৌদ্দ শিকে ঢুকিয়ে যেভাবে লীগাররা বেআইনী দেশ লুটে নেমে পড়ে তা ইতিহাসের বিরাট নিকৃস্ট অধ্যায়। মুখে তুবড়ি ছোটালেও নানাবিধ চোরচাট্টাকে পুলিশ/আর্মির হাত থেকে খোদ শেখ মুজিবই উদ্ধার করে আনেনে, নট অনলি দেট, উল্টা চোরধরা আর্মিকে শাস্তি দেন।

এভাবে রাজনৈতিক শেল্টারে আইন না মানার যে সর্বব্যাপী সামাজিক মহামারী শেখ মুজিব তথা আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেন তা থেকে এ দেশ আর বেরুতে পারেনি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা, হাসিনা, খালেদা, মঈণ, হাসিনারা এর মাত্রার ফারাক করেছেন মাত্র। আজ ২০১৩ সালে ঠিক সে গুহাতেই দেশ আছে। এতদ্ভিন্ন এদেশের মানচিত্র, সমাজ ও রাস্ট্র খুব সরল। এটার ব্যবস্থাপনা জলবৎ তরলং।

প্রায় সব মানুষ বাংলায় কথা বলে, ধর্মে মুসলিম, সমতল ভুগোল ও কৃষিভিত্তিক সমাজ। সেরকম ধর্তব্য কোনো বড় সন্ত্রাসী গ্রুপ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন নেই। কোনো রাস্ট্রের সাথে যুদ্ধাবস্থায় নেই দেশটি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বড় নীতিতে বৃহৎ রাজনৈতিক মতভেদ অনুপস্থিত। কম্যুনিস্ট বামধারা পুরোই বিলুপ্ত হয়ে বুর্জোয়া লীগে ও ইসলামী আন্দোলন বিএনপিতে বিলীন হয়ে গোটাজাতির রাজনৈতিক মতবাদ প্রায় একীভুত! এহেন একের দেশে তবু কিসের সমস্যা, কিসের বিভক্তি।

সমস্যা দুটো- আমাকেই ক্ষমতায় থাকতে হবে/যেতে হবে গোছের মানসিকতা ও স্ব-দলীয় লোকদের (মুচি থেকে ভিসি সবার জন্য) জন্য ইনডেমনিটি। পোলিও নির্মুল, ছয়টি টীকা দান, জেএমবির বিচার, বৃক্ষরোপন, নারীশিক্ষা, শিশুশিক্ষা ইত্যাদির ব্যাপারে আমরা কমবেশী একমত ছিলাম। এবং এ সব ক'টি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ উন্নতি লাভ করেছে। মানুষ খুন করা, মারধর করা, গাল দেয়া, মিথ্যা কথা বলা, ট্যাক্স না দেয়া, ঘুষ খাওয়া, সরকারী কাজের টেন্ডার লুট করা ইত্যাদি কাজ সার্বজনীনভাবে নিন্দনীয়। নিছক আওয়ামীলীগ বা বিএনপি করার কারণে ১ জন ২ জন করে অসংখ্যা লোককে ইনডেমনিটি দেয়ার কারণেই এসব অপরাধ বহাল।

কাজের মানসিক চাপের তুলনায় প্রধানমন্ত্রীর পদের বেতন তেমন আহামরি কিছুনা! এ অখ্যাত ব্লগারই এদেশে এর চেয়ে ঢের বেশী বেতন পান। সুতরাং জনগন না চাইলেও 'যেনতেন'ভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে এটা 'সৎ' মানুষের আশা হতে পারেনা। আর যেনতেনভাবে ক্ষমতায় থেকে যাওয়া বা তা লাভের চেস্টা করাই সব সাংবিধানিক অপকর্মের মূল বীজ। অনেকে বিশেষ করে শেখ হাসিনা আজকাল অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের উদাহরন কপচাচ্ছেন। তাকে জিগাই, আর কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীর এত ক্ষমতা আছে? আর কোন দেশের নির্বাচন কমিশন, সুপ্রীম কোর্ট, লোয়ার কোর্ট, পুলিশ, প্রশাসন, দুদক এ দেশের মত দাসানুদাসে পরিণত হয়েছে।

তার পেয়ারের দেশ ভারতের নির্বাচন কমিশন, সুপ্রীম কোর্ট, দুদকের ভয়ে তো মনমোহনরা তটস্থ থাকে। সবচেয়ে বড় কথা পার্লামেন্টকে এমন প্রধানমন্ত্রী তোষনের বৈঠকখানায় পরিনত করেছে আর কোন দেশ? আর তা সাংবিধানিকভাবেই? উপরোক্ত সকল প্রশ্ন খালেদা জিয়ার জন্যও প্রযোজ্য? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।