৫৫) আর নয় ষড়যন্ত্র
পৃথিবীর অনেক তুচ্ছাতিতুচ্ছ ব্যপারগুলো
তার দু'চোখকে দিচ্ছে শৈল্পিকতার উপমা।
যেদিকে তাকাচ্ছে সে
কেমন যেনো নেশার ঘোর।
ছুটতে চলা বাসের জানালার বাইরে মেলে রাখা চোখ।
ছুটে চলার সাথে সাথে ধারন করছে
গাছগুলোকে। পাতাদের এলোমেলো দোলা।
পাখিদের উড়ে চলা।
সবকিছুতেই খুঁজে পাচ্ছে সে নিগুঢ় আনন্দ।
সুরের মূর্ছণায় মিশে যায় সে।
আকাশ থেকে আকাশে
বাতাসের কাছে সমর্পন করে শব্দাবলী।
প্রতিটা শব্দের নিজস্বতায় সে
গভীর ভাবে মিশে যেতে থাকে
নিভৃতচারী হবার অভিলাষে।
ভাবে এভাবে তো একা একা বেশ কেটে যায় সময়গুলো।
ভীষন ষড়যন্ত্রকারী হয়ে উঠে ও ,
নিজেকে একা করে ফেলবার সুক্ষ প্রয়াসে।
যাপিত জীবনের যা কিছু নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনাবলী
খাওয়া,ঘুমানো এবং কাজ।
অবসরে লেখালেখির মত দারুন অভ্যাস।
হাতের আঙুলে পোড়ানো দাগ।
এরই মাঝে আকাশে ঝুলে থাকা চাঁদটাকে
শৈল্পিক ভাবনার অংশ করে ফেলা ।
চাঁদের দিকে তাকালেই শুধু মনে হয় ষড়যন্ত্রটা থেমে যায়।
যাকে জানা হয়নি তাকে মনে পড়ে।
সেইজন কতদুর?
চাঁদের চেয়ে ও দুরে তার বাস?
সেই চাঁদটা যদি ঘরে এসে পড়ে?
জ্যোছনার মত আলো হয়ে
পরী হয়ে ঘুরে বেড়ায় ঘরের উঠান?
ভিতরের খেয়ালী হৃদয়টাকে শাসন করে কে!
চাঁদে পাওয়া মানুষ হয়ে সে সন্মোহিত হয়ে কাটিয়ে দেয়
কত নির্ঘুম রাত।
তার এই একলা থাকার আয়োজনকে
ছুঁয়ে ফেলেছি বলে নিজেই অবাক হই।
তাকে ডেকে বলি
নিভৃত বাস ছেড়ে জনারণ্যে আসাটাই জীবন।
একা থাকবার জন্য অনন্তকাল তো রইলো।
এই জীবনটা না হয় হোক সাদা কালো,কখনোবা রঙীন ।
ভালোবাসার জন্য।
দুঃখ পাবার জন্য।
মায়া মমতায় মাখামাখি একটা সাদামাটা জীবন।
কালবেলার ডিটেক্টিভ আমি কবিতার অনুভব থেকে লেখা। বলতেছিলো সাজি বু লেখা আসছেনা।
পরে দেখি দারুন একটা লেখা লিখেছে।
আমার লেখাটাও দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।