লন্ডন প্রবাসী বন্ধু এসেছে বেড়াতে । চাকরী ছেড়ে দিয়ে আমিও মোটমোটি ফ্রি !
প্রবাসী বন্ধু , বড় ভাইয়া , আমি আর মিমি ( ব্লগের অনেকেই আমার এই অ-ব্লগার সাথীকে চেনেন ) রওনা হলাম চিটাগাং। সেখান থেকে রাঙামাটি।
গিয়ে পড়লাম বিপদে - মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই । মনে মনে অবশ্য খুশি হলাম ।
একটা দিন অন্তত সব যন্ত্রনা থেকে দূরে থাকা যাবে । কিন্তু তখন বুঝিনি এই একটা দিন শেষ পর্যন্ত অনেক ভারী হয়ে যাবে ।
একদিন রাঙামাটি বেড়ানো শেষে যখন চিটাগাং ফিরলাম , তখনই মিমির বাসা থেকে ফোন , " আপু , আব্বা গতকাল রাতে মারা গেছে , আপনাদেরকে অনেক চেষ্টা করেও কোন খবর দিতে পারিনি , তাই অপেক্ষা করে করে দাফন করে ফেলেছি । বড় আপাকে কিছু বলবেন না এখন , যত তাড়াতাড়ি পারেন আপাকে নিয়ে বাসায় আসেন "
হঠাৎ পৃথিবীটা শূন্য মনে হলো ! রাতটা পার হচ্ছিল না । আমি কোন ভাবেই এই একটা রাতের অনুভূতি বর্ণনা করতে পারবো না ।
মিমি বার বার বলছে , " সারিয়া আপা , আমার কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে । " শান্তনা দিয়ে বললাম , অনেক জার্নি হয়েছে তো তাই , ঘুমাও ঠিক হয়ে যাবে । " মনে হচ্ছিল ট্রেন টা টেনে নিয়ে যাই । অসহ্য এই রাত !
সকালে মিমিকে বললাম , " চল তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি "
মিমির ভিষণ অবাক করা চাহুনি ! কিন্তু কিচ্ছু বললো না ।
( ওর সাথে পরিচয় প্রায় ৭ বছর , কিন্তু কখনই ওর বাসায় যাওয়া হয়ে উঠেনি )
বাড়িতে পৌঁছানোর পরের বর্ণনা না হয় না-ই দিলাম ।
ফকরুদ্দিন সাহেব নাকি রাঙামাটিতে মোবাইল নেটওয়ার্কের অঙ্গিকার করেছেন । আমরা থাকতেই দেখেছি সব মোবাইল কম্পানির লোকজন শহরে কাজ করছে । নেটওয়ার্ক আর কয়টা দিন আগে আসলে একজন সন্তান অন্তত শেষ সময়ে তার পিতাকে দেখতে পেত ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।