১ টা ছেলে এসেছিল। ফার্স্ট ইয়ার এর। ল্যাব এ্যসাইনমেন্ট কপি
করেছিল,তাই ডেকেছিলাম। তারপর বুঝিয়ে বলে ছেড়ে দিলাম।
কিছুক্ষন পর সে আবার আমার রুমে এলো।
বলল.. "স্যার একটু কথা বলব"
.. ঠিক আছে বল।
সে বলল " স্যার আমার বাবা মিলে(খুলনা) কাজ করত। এখন চাকরী নাই। স্যার আমি গত ৬/৭ দিন দিনে ১ টা রুটি খেয়ে আছি। ক্ষুধার জ্বালায় স্যার ল্যাব করতে পারিনা ।
পেটে ক্ষুধা থাকলে স্যার পড়াশুনা হয়না "
আমি ওকে বললাম বন্ধুদের সাথে আলাপ করেছো কিনা, সে বলল যে সে ভিক্ষা নিতে পারবে না। আমি বললাম যদি কিছু মনে না কর তুমি আমার সাথে নাস্তা কর। সে বলল যে সে তা পারবে না। স্যার যদি পারেন আমাকে ১টা টিউশনি দেন।
আমার রুমে প্রায় ৩০ মিনিট ছেলেটা কাঁদল অঝোরে।
চোখের পানির অনেক দাম, ছেলেটা মনে হয় জানেনা। আর অন্যের চোখের পানি দেখা বিশেষ করে স্টুডেন্টের, ১ জন শিক্ষকের জন্য অনেক কষ্টের, এটা আমিও জানতাম না।
পুনশ্চ:
ছেলেটা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটা কৌশল এর প্রথম বর্ষের ছাত্র। আছেন কি কেও খুলনার যিনি একটি মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে ছেলেটিকে ১ টি টিউশনি'র ব্যাবস্থা বা অন্য কোন ভাবে সহায়তা করতে পারেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।